বিশ্বামিত্রের তপস্যা ভঙ্গ করতে দেবরাজ ইন্দ্র অপ্সরা মেনকাকে প্রেরণ করেন। মেনকা কাজে সফল হন। রূপ ও লাবণ্যের মোহে বিশ্বামিত্র বিচলিত হন। সংযম হারিয়ে তিনি মেনকার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
আমাদের জীবন একটু এলোমেলো করে দেয়ার জন্য শত অপ্সরা মেনকা আসে ।যে জীবন শুধুই প্রশ্ন করে -
সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা – প্রার্থনায় সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয় !
অরুনিমা পার্থকে বিয়ে করল না।অথচ পার্থ অরুনিমাকে সময় দিয়েছে সে যতটা চেয়েছে ততটা ।
ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভেলপুরি , হাটতে হাটতে হঠাৎ বৃষ্টিতে আটকে যাওয়া কোন দোকানে বসে চা খাওয়া ।পুরনো ঢাকার গ্রান্ড নবাব বিরিয়ানী ।
দূর্দান্ত সময় পেয়েছিল অরু ।
পারিবারিক মর্যাদায় অরুনিমা ,পার্থদের নীচের স্তরেই ছিল ।
অরুর বাবা পৃথবীর কোন এক প্রান্তে বসে কঠিন অধ্যাবসায় করা এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিল।
যে ছেলে জানেই না জ্যোৎস্না রাতে গল্প করতে হয়।হাই পেলে চা খেতে হয় ।
অরু কিভাবে পারল !!একদা যে অরু বলেছিল - আজ সুন্দর চাঁদ উঠেছে দেখ !
পার্থ আর কিছু ভাবতে পারে না।
পাঞ্জাবীর ডান পকেট থেকে সস্তা দামের সিগারেট বের করে হাটতে থাকে ।
আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে !
স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা – প্রার্থনায় সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয় !
(কবিতার লাইন জীবনবাবুর বোধ )
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৯