আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কে বলতে চাই, আপনার বাবার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কেন মানুষ উৎসব করছে।
১৫ আগষ্ট সরকারি ছুটি।
১৫ আগষ্ট এলাকার মোড়ে কাঙালি ভোজ ( কাঙালির নামে বড় বড় নেতাদের পকেট ভরে)
১৫ আগষ্ট ছিচকে নেতা, হাইব্রিড নেতাদের যেন উৎসব।
এই যে আপনার বাবাকে নিয়ে অতি উৎসাহীরা এক এক সময় এক এক কিছিমের কান্ডককারখানা করে এদের বিরুদ্ধে কি আপনার কোনই অভিযোগ নেই!
আপনার দলের হয়তো তারা পা টিপছে কিন্তু এ দল কার! কোথায় পেয়েছেন? যার থেকে আপনার এতো কিছু তার সম্মান কি আপনাকে একটুও ভাবাই না?
আপনার কাছে অনুরোধ রাজনীতির খেলায় বঙ্গবন্ধুকে আনবেন না। তাকে সাধারণ মানুষের হয়ে থাকতে দিন। সে কোন দলের না। সে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা। তার ভালোবাসার জায়গাটা নষ্ট করবেন না।
পাগলের কান্ড দেখুন:
বঙ্গবন্ধু গাফফার চৌধুরীকে বলেছিলেন, ‘দ্যাখো চৌধুরী, আওয়ামী লীগ একটি মাল্টিক্লাস পার্টি। আমি তার নামের আগে কৃষক শ্রমিক লাগিয়েছি বৈকি, কিন্তু দলটির চরিত্র এখনও বদলাতে পারিনি, রাতারাতি তা সম্ভবও নয়। আমার দলে নব্যধনীরাও আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় তাদের লুটপাটের সুযোগ বহুগুণ বেড়ে গেছে। আমি তাদের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই বাকশাল করেছি। যদি এই ব্যবস্থা সফল করতে ব্যর্থ হই এবং আমার মৃত্যু ঘটে, তাহলে দলকে কব্জা করে ওরা আরও লুটপাটে উন্মত্ত হয়ে উঠতে পারে। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশের মূলমন্ত্রের শত্রুপক্ষের নীতি ও চরিত্র অনুসরণ করে আওয়ামী লীগেরও চরিত্র ও নীতি পাল্টে ফেলতে পারে। যদি তা হয়, সেটাই হবে আমার দ্বিতীয় মৃত্যু। সেজন্য আগেই বলেছি, আমার দল, আমার অনুসারীদের হাতেই যদি আমার এই দ্বিতীয় মৃত্যু ঘটে, তাহলে দীর্ঘকালের জন্য বিস্মৃতির অন্ধকারে চলে যেতে হবে। কবে ফিরব তা জানি না।’
আওয়ামীলীগ এর নামসর্বস্ব সমর্থকেরা কি বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার হত্যা করছে না এখন?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭