ঘটনাচক্র ১- মেয়েটার বয়স ১৭। কলেজে পড়ে! তার বাবা একজন ডাক্তার। মেয়েকে ভালো পাত্র দেখে বিয়ে দেয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই পাত্র খুঁজছে। অনেক দেখা শোনার পর পাওয়া গেলো কাঙ্খিত পাত্র। মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির সেলস ম্যানেজার। ধুম ধাম করে বিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু কিছুদিন পর যখন মেয়ে তার নিজের বাড়িতে বেড়াতে এলো সে আর শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যেতে চাইলো না। কারণ হিসেবে সে জানালো তার স্বামী শারীরিক চাহিদা মেটাতে অক্ষম। তার মানে সে নপুংশক। কিন্তু ১৭ বছরের সুন্দরী মেয়েকে সে বিয়ে করে নিয়ে ঘরে তুলেছে
ঘটনাচক্র ২ - মেয়েটার সাথে ছেলেটার ফোনে আলাপ। পাশাপাশি জেলায় বাসা। দীর্ঘ ২ বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর মেয়েটা পালিয়ে গিয়ে ছেলেটার সাথে বিয়ে করে। কিন্তু এখানেও পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেই ছেলেটা নপুংশক এবং বিকৃত যৌন চাহিদা। সে নিজের শরীরের বদলে অন্য কিছু দিয়ে বউ এর শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে চাই। মেয়েটা বিষায়ন্ত বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে আবার বাপের বাড়ি ফিরে আসে।
দুইটি ঘটনাতেই ছেলে দুইটা জানতো তারা এ বিষয়ে অক্ষম। তবুও তারা অবিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করে তাদের জীবনটা নষ্ট করছে। পরবর্তীতে সেই মেয়েদের অন্য কোন জায়গায় বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলাফল, মেয়েটার জীবন নষ্ট। হতাশা আর অবহেলা জীবন সাথী হচ্ছে।
এখন কথা হচ্ছে শারীরিক চাহিদায় কি সব! শারীরিক চাহিদা সব না হলেও একজন মেয়ে মা হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আর মানুষ হয়ে যেহেতু জম্মেছে সেহেতু তার চাহিদা তো থাকবেই।এটি একটি সাধারণ বিষয়।
তাহলে যারা এমন ভাবে মেয়েদের জীবন নষ্ট করেছে তাদের কি কোন শাস্তি হচ্ছে! তারা তো দিব্যি ঘুরছে। কোন সমস্যাই তাদের হচ্ছেনা। আমার মনে হয় শুধু তাদের শরীর অক্ষম না তাদের মানসিকতাও অক্ষম। মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে যাদের বাধেনা তারা আবার কিসের মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩