সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের মন্তব্যে সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। তথ্যটি ছিল 'পর্ন সাইট ব্যবহার করা সকলের তালিকা প্রকাশ করা হবে'। যদিও তিনি এই কথাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, তারা এমন তালিকা প্রকাশ করছেন না বরং দেশীয় পর্ণ সাইট গুলো বন্ধ করার জন্য কাজ করছেন। সেই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।
বর্তমানে ইন্টারনেট সহজলভ্য একটি বিষয়। দেশীয় পর্ন সাইট বন্ধ খুব একটা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে মনে হয় না। বরং এ বিষয়ে দীর্ঘ মেয়াদী এবং অনেক বড় পরিকল্পনার প্রয়োজন। প্রথমে চিন্তা করতে হবে মানুষ পর্ন কেন দেখে?
পর্ণ কেন দেখে:
শতকরা ৯৫ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের
ছেলে-মেয়েরা বন্ধু-বান্ধবের দ্বারা প্রভাবিত
হয়ে প্রথম পর্ণ দেখতে আগ্রহী হয়। এর পেছনে
তাদের নানা ধরণের চিন্তা কাজ করে। প্রথম চাড়া গজায় পরিবার থেকেই। আমাদের দেশে বেশির ভাগ পরিবার অসচেতন। খুব ছোট বয়সে যখন বুদ্ধি হয়নি তখন তার বাবা মা তাদের সাথে ঘুমায়।রাতে কোনভাবে ঘুম ভেঙে বুঝতে পারে তাদের বাবা মা কি যেন করছে। সে বুঝে উঠে না, নিজে নিজেই লজ্জা পায় আবার ঘুমিয়ে যায়।পরিবারের মুরুব্বিরা তাদের সামনে অশ্লীল কথা বলে। খেলার সামগ্রী হিসেবে খুঁজে পায় বেলুন।সেই বেলুনে হাত দেওয়ার জন্য তার মা তাকে মারধর করে।সে বুঝতে পারেনা বেলুনে হাত দেওয়ার জন্য তাকে কেন মারা হলো।কৌতুহল জন্মায় সেই শিশু বয়স থেকেই।
তার পর শুরু হয় বড় ভাইদের পালা।ছোটদের কাছ থেকে এইটা ওইটা লুকানো।বিভিন্ন ভাবে ছোটদের নিয়ে হাসাহাসি করা। সংকেত দিয়ে কথা বলা। এই সব কিছুর পূর্ণরুপ দেয় বন্ধুরা।কৌতুহল দূর হয়।আর সময়টা বেশির ভাগ হয় ক্লাস সেভেন এইট থাকা কালীন।শুরু হয় পর্ন দেখা, যৌনতা বিষয়ে আগ্রহ।ছোট বাচ্চা ছেলে মানসিক দিক থেকে হঠাৎ করেই বড় হয়ে যায়।
কিভাব পরিত্রাণ করা যায়:
এই অবস্থায় সরকার যদি দেশীয় পর্ন সাইট বন্ধ করে তাতে কি রকম ফল আশা করা যায়।হাজার হাজার বীদেশী পর্ন সাইট রয়েছে। যদি রেসট্রিকেট করে দেয়া হয় তারপরও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভিপিএন সুবিধা।নেট অফ করে দিলেও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার সিডি ডিভিডি ব্যবস্থা।তার মানে বোঝা যাচ্ছে কোন কিছু অফ করে পর্নগ্রাফী দেখা বন্ধ করা সম্ভব না। যদি না নিজ থেকে কেউ বন্ধ করে।
সরকারীভাবে পর্ন কত জন দেখে এ বিষয়ে কোন জরিপ নেই। কোন পরিবার ছেলেমেয়েরা বেশি পর্ন দেখছে তারও নির্দিষ্ট কোন জরিপ নেই।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ধর্মীয় সচেতনা বৃদ্ধি পারে পর্ন এর মত ব্যধি দূর করায় সাহায্য করতে।
যৌন শিক্ষা পরিবার থেকেই দিতে হবে। সরকারি উদ্যগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পর্ন এর মত ভয়াবহ রোগ থেকে সমাজকে রক্ষা করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৯