বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দেবডাঙ্গা মথুরাপাড়ায় হিন্দুসম্প্রদায়ের ৬০ জনের খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে নেতারা আবেদন করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ চেয়ারম্যানের এক আত্মীয়ের বাসা ভাড়া নেয় ‘ফেইথ বাইবেল চার্চ অব গড’ নামের একটি সংস্থা। সংস্থাটির দুজন কর্মকর্তা সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর ভাঙনপীড়িত দরিদ্র এলাকা হিসেবে চিহ্নিত দেবডাঙ্গা মথুরাপাড়া গ্রামকে তারা খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের স্থান হিসেবে বেছে নেয়। এরই মধ্যে একে একে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬০ জনকে খ্রিস্ট ধর্মের নিয়ম মোতাবেক দীক্ষা দেয়। বিষয়টি সারিয়াকান্দি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির নজরে আসে। এ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু হয় তোলপাড়। এ ঘটনায়র প্রতিকার চেয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে মর্মে একটি আবেদন করেন সারিয়াকান্দি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী। এ সম্পর্কে সারিয়াকান্দি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরুণাংশ কুমার সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমাদের খুবই উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে। বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে কেন সারিয়াকান্দি উপজেলাকে তারা খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছেন, তা ভাবিয়ে তুলছে।
এ ব্যাপারে ফেইথ বাইবেল চার্চ অব গডের সারিয়াকান্দি উপজেলা অফিসের টিম লিডার মি. তনু শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা যিশু খ্রিস্টের ধর্মের কথা শুনে প্রভু যিশুকে পরিত্রাণ কর্তা হিসেবে মেনে নিয়ে এ পর্যন্ত ৫৯ জন খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষা নিয়েছেন। আমরা তাদের কোনো ধরনের প্রলোভন দেখাইনি। তবে তাদের এবং তাদের ছেলেমেয়েদের সুখ-দুঃখে আমরা পাশে আছি এবং থাকব। বিশেষ করে দীক্ষিত পরিবারের ছেলমেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্যই আমরা বেশি দেব।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান খান জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বিষয়টি থানা অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
Click This Link