‘রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযাত্রা’ (মিশন এন্টি রোহিঙ্গা) নাম দিয়ে নিজেদের ফেসবুক ফ্যান পেজে প্রচারিত তথ্যে বার্মিজ হ্যাকাররা দাবি করেছে যে বাংলাদেশের সরকারি, রাষ্ট্রীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে এ প্রচেষ্টা ভারতীয় হ্যাকাররা তাদের সহযোগিতা করছে।
বাংলাদেশ সরকার তথাকথিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রহণ করে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না নেয়া পর্যন্ত নাকি তাদের এ হ্যাকিং অভিযান চলবে!
বার্মিজ হ্যাকার ইউনিটিম নামে এ গোষ্ঠিটির ফেসবুক ফ্যানপেজে দেয়া লিংক অনুসরণ করে দেখা যায় শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত বার্ড ফাউন্ডেশন ও বোয়েসেল-এর মত প্রতিষ্ঠান সহ প্রায় ১৩টি বাংলাদেশ ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেখানে মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের জাতিগত রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নানা বর্ণবাদী আক্রমণমূলক তথ্য দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যখন আরাকান প্রদেশে সন্ত্রাসী রাখাইন বৌদ্ধ ও সরকারি বাহিনী যৌথভাবে বার্মিজ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, লুণ্ঠন, গ্রমের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তখন কথিত হ্যাকিং অভিযানের ঘোষণায় আগুনে ঘি ঢালছে যালিম বৌদ্ধ হ্যাকাররা।
১৯৭৮ সালের প্রথম দমনাভিযানের পর কয়েক দশক ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির স্থায়ী হওয়ায় বাংলাদেশকে প্রচুর সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারওপর সর্বশেষ সহিংসতায় যখন নতুন করে বাংলাদেশের দিকে শরনার্থীর স্রোত শুরু করেছে, তখনও বাংলাদেশের সরকার এ বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতি কোনো ধরনের চাপ তৈরি করতে দৃশ্যত কোনো প্রচেষ্টা করতে পারছে না।
এমনকি কথিত আর্ন্তজাতিক মুসলিম সংস্থা ওআইসি এবং কথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের প্রতি কোন চাপ তৈরী করছেনা।
Click This Link