৭০ লাখ টাকাসহ রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক ও রেলওয়ের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা ‘আটক’ হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী এ কথা জানান। তবে মন্ত্রী ও বিজিবি তাদের আটক হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, গাড়ির মধ্যে ছিলেন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম, পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ও এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার।
জিএম ইউসুফ আলী মৃধার বিষয়ে তদন্তের জন্য রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) শশী কুমার সিংহকে নিয়ে একটি এবং ফারুকের ব্যপারে মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) আখতারুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে!
এবং ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ওমর ফারুকের কাছে এতো টাকা কীভাবে এলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এটা তার ব্যক্তিগত টাকা। তবে আমি শুনেছি ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়েছিল।’’
বার্তা২৪ ডটনেট জানায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর জিগাতলা মোড়ে বিজিবি সদর দপ্তরের মূল ফটক থেকে গাড়িটি ভিতরে ঢুকিয়ে দেন চালক আলী আজম। চালক বিজিবি সদস্যদের গাড়িতে বিপুল অংকের টাকা রয়েছে বলে জানান। সে সময় তাদের আটক করে বিজিবি।
বিজিবির উর্ধতন এক কর্মকর্তাকে তাদের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাদের পরিচয় না জানার কারণে আটক করা হয়েছিল। পরিচয় পাওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর সঙ্গে রেলসচিবসহ রেলের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকতা ছিলেন।
ওমর ফারুকের ঘনিষ্ট কয়েকজন জানান, নিন্মবিত্ত পরিবারের ছেলে তিনি। কিন্তু এপিএস হওয়ার পর ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাটসহ বিপুল টাকার মালিক বনে যান তিনি।