আমার হাওয়াঘড়ির মরচে ধরা চাবি হারিয়ে গেছে, দম দেয়া হয়না বলে তার কাটাজোড়া আটকে গেছে অসীম সময়চক্রের একপ্রান্তে। নিরন্তর দুলে চলা পেন্ডুলামটির ছুটি হয়েছে বেশ কদিন হলো। তুই নেই বলে অনেকদিন হাসেনা বাগানের গ্লাডিওলাস। রোজসন্ধ্যায় জোনাকির অতর্কিত আক্রমণে দিশেহারাও হতে হয়না! আজকাল রাতগুলোকে ক্ষুরধার আগুণশলাকায় পুড়িয়ে বিক্ষত করে ভোরবিরেতে ঘুমাতে যাই। হঠাৎ কোনদিন মাঝদুপুরে ঘুম ভেঙ্গে গেলে লালচে চোখ কচলে রাস্তায় নামি। পুরনো চরাচর অপরিচিত লাগে! অচেনা পথ আর ভয়ঙ্কর রকমের নিস্তব্ধতা ছিড়ে ফেলার প্রয়াসে নগরের সবচেয়ে পুরনো পার্কে হাজির হই। কোনকালে এখানে একটা অ্যাম্ফিথিয়েটারও ছিলো। অদূরে পড়ে থাকা জাদুকরের পরিত্যক্ত পোশাক দেখে শিরদাঁড়ায় হিমবাহ বয়ে যায়। আমিতো সবসময় জাদুকরই হতে চেয়েছিলাম! পরক্ষণে ধুলো জমা কালো হাতমোজা থেকে টেনে বের করি সাদা হায়েনা, নাকি আমারই দ্বৈত সত্ত্বা। ভুলে যাওয়া ম্যাজিক ট্রিক মনে করে আকাশ কাঁপিয়ে হাসি। আমার হাসি অ্যাম্ফিথিয়েটারের অবশিষ্টাংশে ধ্বনিত হয়। প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসা হাসিটুকু আর চেনা যায় না, টুঁটি চেপে ধরা বাজপাখির আওয়াজের মত মিলিয়ে যায় হঠাৎ।
(নেপথ্যেঃ) লোকালয় ছেড়ে বিরানভূমিতে- অনেক সময় হারানো পথে- ওখানে কি পাবে সাত্ত্বিক মুক্তি? তোমার চেতনা দ্বিধান্বিত। অদ্ভুত তোমার দ্বৈত সত্ত্বা। অতীত অহংবোধ আর গর্ব বিচূর্ণ হোক দাম্ভিক আকাশে!
আলোর অসহ্য তীব্রতায় অথবা আঁধারের গাঢ় শীতলতায় বিলীন হতে হতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার আগে আমাকে জানতেই হবে, বোধ, ব্যাধি, রোগ, শোক সারানোর মন্ত্র। হাটতে হবে অনন্তকাল। জানতে হবে সব পথের উৎসস্থল।
জানতেই হবে!
(ড্রাফট)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪২