অবশেষে বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু চুক্তিটি পূনর্বহাল করেছে । তাদের আরোপিত শর্তসমুহ মেনে নেয়ায় বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলারের ঋনচুক্তি পূনর্বহাল ছাড়াও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে আরো ৫২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের ঋনের অনমোদন দেয়। এদিকে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা থেকে তিনটি প্রতিনিধিদল শীগ্রই বাংলাদেশে আসবে নির্মানকাজের কর্মপন্থা ঠিক করতে। জানা গেছে এসএনসি-লাভালিনকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা বা বাকীদের মধ্য থেকে কাউকে কাজের প্রস্তাব দেয়া হবে।
আমরা অপেক্ষা করছি আরেকটি দূর্নীতি নাটকের; হতেও পারে, নাও হতে পারে। তবে বলতে পারি এবারের দূর্নীতি আরো clever way তে হবে।
আমরা ইতিমধ্যে জানি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু হবে বলে declare করেছিলেন এবং সে সুবাদে তিনি প্রাবসীদের জন্য একটি ও দেশীদের জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাইন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা এও জানি যে বিভিন্নভাবে সারচার্জ বসিয়ে আমাদের থেকে টাকা নেয়া হয়েছিলো পদ্মাসেতুর নামে। ছাত্রলীগের কর্মীদের কথা আমরা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছি। আমরা দেখেছি কিভাবে তারা আমাদের থেকে চাঁদা আদায় করেছিলো পদ্মাসেতুর নামে । আমরা এও দেখেছি জায়গায় জায়গায় বিনা অনুমতিতে পদ্মাসেতুর নামে টাকা তোলা হয়েছিলো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মাঝে পদ্মাসেতু উপলক্ষে তোলা চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যে গোলাগুলি হয় আর তাতে যে সোহেল নামের ছাত্রলীগের নেতা মারা যায় সেটা আমাদের কারোরই অজানা নয়।
কিন্তু একটা কথা থেকেই যায় - আমাদের থেকে চাঁদা বা সারচার্জ এর কথা বলে যে টাকা নেয়া হয়েছে তার কী হবে? ছাত্রলীগ আর আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীসহ যারাই এই টাকা উঠিয়েছে, তাদের কি হবে? আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। পদ্মাসেতুর নাম দিয়ে দেশি ও প্রবাসী ভাই-বোনদের কাছ থেকে যে টাকা তোলা হয়েছে সেটা আবশ্যিকভাবে ফেরত চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৯