আঘাত পাওয়ার সাথে সাথে কি করনীয় । এটা আমাদের সবারই জানা দরকার । শুরুতে ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসাবিহীন রাখলে, পরে আর সহজে ভাল হয় না ।তাই শুরুতে কি করবেন , এটা মনে রাখতে PRICE ( R= Rest , I = Ice , C= Compression, E = Elevation ) শব্দটি মনে রাখুন । তবে বড় আঘাতের ক্ষেত্রে অবশ্যই এক্সরে করে নিবেন, কোন ভাঙ্গা ছুড়া হয়েছে কিনা ।
প্রোটেকশনঃ আঘাত প্রাপ্ত অংশকে সাথে সাথে কিছু দিয়ে সার্পোট নিয়ে রাখবেন, যাতে পুনরায় আঘাত যেন না পায় ।
রেস্টঃ যেকোন কারণে আঘাত পেলে প্রথমে ২/৩ দিন রেস্ট নিতে হবে । রেস্ট আসলে কতদিন নেব এবং কি ধরনের রেস্ট নেব । এটা নিয়ে অনেকের কিছু ভুল ধারনা আছে । যেমনঃ রেস্ট বলতে শুধুমাত্র শুয়ে থাকা নয় । কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে ১/২ দিনের বেশি বেড রেস্ট নেওয়া উচিত নয় । এতে করে মাসল দুর্বল হয়ে যায় , নার্ভে অনুভূতি কমে যায় । ফলে ব্যথা আর সহজে ভাল হয় না ।
বরফ ঃ আঘাত পাওয়ার পর সাথে সাথে বরফ দিন । ২০মিনিট করে ২/৩ ঘন্টা পর পর বরফ দিন ৪ দিন পর্যন্ত । অনেকেই কনফিউশনে পরে যায় বরফ দিবে নাকি গরম দিবে ? আঘাত পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গরম দিবেন না , গরম দিলে রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং ফোলা বেড়ে যেতে পারে ।
কম্প্রেশন ঃ আঘাত জনিত জয়েন্টকে অনেক সময় ব্যান্ডেজ করে দিতে হয় যাতে ফুঁলে না যায় ।
ইলিবেশন ( উপরে উঠিয়ে রাখা )ঃ আঘাত প্রাপ্ত অংশকে আমাদের হার্টের লেভেলের চেয়ে একটু উপরে তুলে রাখতে হয় । কারণ হার্ট হল রক্তসঞ্চালনের মূল কেন্দ্র , তাই উপরে থাকলে আঘাতপ্রাপ্ত অংশ ফুলে যায় না । যেমন পায়ে আঘাত পেলে ,বিছানায় শোয়া অবস্থায় পায়ের নিচে একটা বালিশ দিয়ে রাখতে হয় ।
গবেষণায় দেখা গেছে আঘাত পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ফিজিওথেরাপি দিলে অনেক ভাল উপকার পাওয়া যায় ।
তবে আপনি যদি বিনা চিকিৎসায় আপনার সমস্যা কিছুদিন রেখে দেন অস্বাভাবিকভাবে কিছু টিস্যূ তৈরি হয়, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় , মাসল দুর্বল হয়ে যায় । ফলে আঘাত জনিত সমস্যা ভাল হতে তিন মাসের অধিক সময় লাগে, অনেক সময় বছরের পর বছর লেগে যায় ।
ধন্যবাদ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
প্রতিষ্ঠাতা , ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার , উত্তরা , ঢাকা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫