গর্ভাবস্থায় দাঁত ব্যাথা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও ঝুকিপূর্ণ একটি ব্যাপার। তাই গর্ভধারণের পূর্বে দন্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। গর্ভাবস্থায় দাঁতের চিকিৎসা করা দুরুহ ব্যাপার। কারণ এ অবস্থায় একজন ডেন্টাল সার্জন দাঁত ফেলতে পারবেননা, কারণ এতে বেশি রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকে। রোগী যদি রক্তসল্পতায় ভুগেন তাহলে ওনার জন্য দাঁত ফেলা হারাম। এ অবস্তায় এক্সরে করা যাবেনা। এক্সরে করলে বাচ্চার রেডিয়েশন হেজারড হতে পারে।
শুধু দাঁত ব্যাথা নয়, যেকোনো ব্যাথার জন্য গর্ভাবস্থায় পেইন কিলার জাতিয় ঔষধ সেবন করা একদম নিষেধ। কারণ এতে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভধারণের পূর্বে একজন ডেন্টাল সার্জনের শরণাপন্ন হয়ে আপনার মুখ ও দাঁতের কোনও চিকিৎসা প্রয়োজন আছে কিনা তা পরীক্ষা করিয়ে নিন।
গর্ভাবস্থায় দাঁত ব্যাথা হলে কি করবেন?
১। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে প্যারাসিটামল জাতিয় ঔষধ সেবন করতে পারেন।
২। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ব্যাথাযুক্ত স্থানে ‘OROGEL’ ব্যাবহার করতে পারেন। তবে ব্যাবহারের পর ব্যাথা বেড়ে গেলে ঔষধটি বন্ধ করে দিতে হবে।
৩। ‘Clove Oil’ বা লবঙ্গের তেল এর সাথে কয়েক ফোঁটা পানি মিশ্রিত করে দাঁতে লাগালে, ব্যাথা কমে যেতে পারে। এটি একটি প্রাচীন কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি। তবে বার বার এটি ব্যাবহারে দাঁত ভঙ্গুর হতে পারে। সাময়িক আরামের জন্য এটি ব্যাবহার করা যাবে। তবে এটি খুব ঝাঁঝালো।
৪। যদি সম্ভব হয় এক দিনে রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট করানো।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯