দুপুরে খাবার পর...বাহারি জর্দা দিয়ে একটা পান! আহ! কি শান্তি!
আপনি কি জানেন এই শান্তি অচিরেই আপনার অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ৩৫ বছর বয়েসের একজন যুবক, গাল ঠাসা থাকত পান-জর্দায়, বলেছিলাম, এই অভ্যাসটা ত্যাগ করেন। ছয় মাস পর ওনার নাম্বারে ফোন করলাম, কান্না ভেজা স্বরে উনার স্ত্রী বল্লেন ” এক মাস আগেই উনি চলে গেছেন”।
ক্যানসার প্রাথমিক অবস্তায় ধরা পড়লে, এটি চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব। তবে বেশির ভাগ সময় দেখা যায় এটি অনেক ছড়িয়ে যাওয়ার পরই রোগীরা ডাক্তারের কাছে আসেন, তখন আর করার কিছুই থাকেনা।
আসুন জেনে নেই মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওার সম্ভাবনা কাদের বেশি...
১। ধূমপায়ী।
২। পান, সাদা-জরদা ব্যাবহারকারী।
৩। অ্যালকোহলে আসক্ত।
৪। গুল ব্যাবহারকারী।
৫। হাতুড়ে চিকিৎসকের চিকিৎসা।
মুখের ক্যানসার হওয়ার উল্লেখযোগ্য স্থানঃ
১।জিহবার উপরের ও পাশের অংশ।
২।গালের ভেতরের অংশ। উপরে ও নিচের অংশ।
৩। তালু
৪।ঠোঁট
৫।জিহবার নিচের অংশ।
৬।মুখের ভেতর এমন কোনও স্থান যা প্রতিনিয়ত আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে, এটি আপনার ধারালো দাঁতের মাধ্যমে হতে পারে অথবা হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারা বাঁধানো দাঁতের মাধ্যমে হতে পারে।
৭।গলা।
মুখের ক্যানসারের লক্ষণ সমুহঃ
১। মুখের ভেতর অলসভাবে পড়ে থাকা ‘Ulcer’ বা ‘ঘা’, যা অনেক দিন ধরে ভালো হচ্ছেনা। এটি খুবই গুরুত্তপূরন।
২। সাদা /লাল, খসখসে ‘ঘা’। যা অনেক দিন ধরে মুখের ভেতর আছে।
৩। ধোঁক গিলতে, কথা বলতে কষ্ট হওয়া।
৪। মুখের কোন অংশ ফোলে যাওয়া।
৫। হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই মুখ দিয়ে রক্ত পড়া।
৬। হঠাৎ করে ওজন অনেক কমে যাওয়া।
৭। আক্রান্ত স্থানে ব্যাথা হতে পারে।
সব আলসার বা ‘ঘা’ ক্যানসার নয়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান হতে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিস্যু নিয়ে “ Biopsy” পরীক্ষার মাধ্যমে সত্যিই এটি ক্যানসার কিনা নিশ্চিত করা হয়।
চিকিৎসাঃ
১। কেমোথেরাপি।
২। রেডিওথেরাপি।
৩। সার্জারি।
প্রাথমিক অবস্তায় রোগ নির্ণয় সম্ভব হলে উপরের চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো অনেক ফলপ্রসূ হয়।
এ লেখাটি যখন লিখছিলাম, তখন অকালে হারিয়ে যাওয়া মুখগুলোর ছবি চোখে ভাসছিল।আমার আঙ্গুল গুলো কি বোর্ডে আটকে যাচ্ছিলো। সবাইকে এতটুকুই বলা, “প্লিজ, আমরা সবাই ঐ বদ অভ্যাস গুলা বাদ দেই, অনেক অনেক ভালো থাকি।“
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮