[গঙ্গা-তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও
হত্যা, ছিটমহল সমস্য, বাণিজ্য ঘাটিতসহ অমিমাংসিত সমস্যাসমূহ সমাধান এবং
ট্রানজিটের নামে করিডোর প্রদানর উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম
মোর্চার উদ্যোগে আজ ২৮ আগস্ট ২০১১ সকাল ১১.৩০টায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি
মিলনায়তনে (নীচতলায়) এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনের লিকিত বক্তব্য প্রকাশ করা হল।]
গণতান্ত্রিক বামমোর্চার পক্ষ থেকে আমাদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বাংলাদেশ সফর, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও দুই দেশের
মধ্যে অমীমাংসিত সমস্যাসমূহ নিষ্পত্তির দাবিতে এবং ভারতকে
ট্রানজিট-করিডোর সুবিধা প্রদানসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন
আহ্বান করা হয়েছে।
আপনারা অবগত আছেন যে, আগামী ৬-৭ সেপ্টম্বর ২০১১ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.
মনমোহন সিং এর বাংলাদেশ সফরকালে অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, কাঁটাতারের
বেড়া, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ছিট মহল সমস্যার সমাধান না করেই ভারতকে
ট্রানজিট-করিডোর প্রদান সংক্রান্ত চুক্তিসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ
চুক্তি সাক্ষর হবে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য এই সমস্ত
চুক্তি ও সমঝোতা সম্পর্কে সরকারের তরফ থেকে এই পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে
কোনকিছুই দেশবাসীকে জানানো হয়নি। এমনকি শাসকশ্রেণীর বক্তব্য অনুযায়ী সকল
বিষয়ে আলোচনার কথিত কেন্দ্র বিন্দু জাতীয় সংসদেও এসব নিয়ে কোন আলোচনা
হয়নি। কারা, কোথায়, কিভাবে দেশের এসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ
করছেন বাংলাদেশের জনগণ তার কিছুই জানে না। বোঝাই যাচ্ছে, সমগ্র বিষয়ে
ন্যূনতম কোন স্বচ্ছতা নেই। এক ধরণের রাখ-ঢাক প্রক্রিয়াতেই ভারতের সাথে নানা
ধরণের চুক্তি সাক্ষরের আয়োজন চলছে। যেসব চুক্তি সম্পর্কে জনগণ কিছু জানে
না বা যেসব চুক্তি জনস্বার্থ ও দেশের স্বার্থের পরিপন্থী জনগণ সেসব দেশবিরোধী
চুক্তি কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না, নেবে না।
গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা খানিকটা জানতে পেরেছি যে, বাংলাদেশ-ভারত
দ্বি-পাক্ষিক অমীমাংসিত বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে ট্রানজিট ও নিরাপত্তা ইস্যুর
মতো ভারতীয় পক্ষের এজেন্ডাসমূহই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গত ৪০ বছর
ধরে উত্থাপিত দাবি অভিন্ন নদীর পানি বন্টন তথা ন্যায্য হিস্যা আদায়,
ছিটমহল ও সীমান্ত সমস্যার মতো বাংলাদেশের এজেন্ডাসমূহ কার্যত অনেক পিছনে,
টেবিলের নীচে রেখে দেয়া হয়েছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের অমীমাংসিত
সমস্যাসমূহের সমাধান না করে এবং দেশবাসীর কাছে সমগ্র বিষয়গুলো পরিষ্কার
না করে ভারতের চাহিদা মতো ট্রানজিট-করিডোর সুবিধা প্রদান ও ভারতের
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট চুক্তি সাক্ষরের কোন অবকাশ নেই। ভারতের সরকার তথা
ভারতের শাসকশ্রেণীর চাপের মুখে এই ধরনের চুক্তি এই অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি
নিরাপত্তা সৃষ্টির পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদে অনাস্থা, অস্থিতিশীলতা ও সংঘাতের
পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। চাপিয়ে দেয়া কোন চুক্তি এ পর্যন্ত পৃথিবীর
কোথাও উন্নয়ন ও শান্তি নিশ্চিত করতে পারেনি।
প্রিয় বন্ধুগণ,
আপনার অবগত আছেন যে, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহের উপর বাংলাদেশের
ন্যায্য হিস্যা এখনও নিশ্চিত হয় নি। গঙ্গা নদীর মতো্ তিস্তার পানি বন্টন
সংক্রান্ত সম্ভাব্য চুক্তিতেও বাংলাদেশ ঠকতে যাচ্ছে বলে আমাদের আশঙ্কা।
আমাদের ফেনী নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের কথাও শোনা যাচ্ছে। ভারত
টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে জল বিদ্যুৎ তৈরির সর্বনাশা প্রকল্পও অব্যাহত রেখেছে।
আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহারের
পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতের। সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক
বাংলাদেশীদের নির্মম হত্যাকাণ্ড, গুম, অপহরণ, নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে।
বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে এক ধরণের উত্তেজনা ও বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা
জিইয়ে রাখা হয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতার
মধ্যে রয়েছে। ইসরাইল সীমান্ত এবং মেক্সিকো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ছাড়া
পৃথিবীর কোথাও প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া না থাকলেও
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ভারত বাংলাদেশের প্রতি
বন্ধুত্বের এক অনন্য (!) দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
জুড়ে ৩৭৮৩ কি.মি. ভারতের কাঁটাতারের প্রাচীর নির্মাণ ও বিভিন্ন অংশে তাকে
বিদ্যুতায়িত করা সীমান্তের জনগণকে আরও নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে।
বাংলাদেশের তিন দিকে বিপদজনক এই কাঁটাতারের বেড়া বাংলাদেশকে এক ধরণের
কারাগারে পরিণত করেছে। সীমান্তে ধারাবাহিক এই হত্যাকাণ্ড উত্তেজনা ও
যুদ্ধ পরিস্থিতি অবসানে এই পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যেসব সমঝোতা
হয়েছে বিএসএফ তথা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সেসব কোন আমলেই নেয়নি। ১৯৭৪ সালে
সংবিধান সংশোধন করে বাংলাদেশের দক্ষিণ বেরুবাড়ী ইউনিয়ন ভারতকে হস্তান্তর
করা হলেও গত ৪০ বছরে বাংলাদেশকে তিন বিঘা করিডোর স্থায়ীভাবে হস্তান্তর
করেনি ভারত। ছিটমহল সমস্যার এখনও পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি। এই অবস্থায়
সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি না করে ২০ আগস্ট ভারতের সাথে সীমান্ত
নকশা সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তি সাক্ষর আমাদেরকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে
তুলেছে। এই চুক্তির হাত ধরে দেশের স্বার্থ বিপন্ন হবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাণিজ্য ভারসাম্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও খুবই নাজুক। ভারতের
আরোপিত শুল্ক ও অশুল্ক বাধার কারণে বাংলাদেশী পণ্য ভারতের বাজারে ঢুকতে
পারছে না। ভারতের প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল
ভারতীয়দের দেখার কোন সুযোগ নেই। অথচ ভারতের বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে
বাংলাদেশ সয়লাব হয়ে আছে এবং এর মাধ্যমে ভারত এক ধরনের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন
পরিচালনা করে চলেছে। বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা বাংলাদেশের দক্ষিণ
তালপট্টির উপর ভারত এখনও তার অবৈধ দাবি পরিত্যাগ করেনি। তদুপরি আমাদের
সমুদ্রের তেল-গ্যাস ব্লকের উপর ভারতের দাবি ও জবরদখলের কারণে বাংলাদেশের
জাতীয় স্বার্থ গুরুতর হুমকীর মধ্যে পড়েছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্দী
বিনিময় চুক্তি না থাকলেও ভারতীয় চাপের মুখে বাংলাদেশ ভারতের কথিত
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ট্রেনিং, আশ্রয় ইত্যাদি বিষয় কূটনৈতিক ফয়সালার বদলে
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বহু বিষয়ের উন্মোচন ও নতজানু নীতি নিয়ে চলছে
বাংলাদেশ সরকার। এ ধরনের বহু সমস্য রয়েছে যার তালিকা আর দীর্ঘ না করে
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বাংলাদেশের সার্বভৌম অস্তিত্ব, জাতীয় স্বার্থ,
জাতীয় নিরাপত্তা. শান্তি ও উন্নয়ন সম্পর্কিত এ সকল সমস্যার যৌক্তিক ও
ন্যায়সঙ্গত সমাধান না করে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতকে
ট্রানজিট-করিডোর প্রদান সংক্রান্ত চুক্তিসহ ভারতের প্রতি নতজানু নীতি
গ্রহণ করে কোন চুক্তি সাক্ষর করা যাবে না। এই ধরণের চুক্তি হবে বাংলাদেশের
জন্য আত্মঘাতী। আমরা এই ধরণের তৎপরতা মেনে নেব না। বাংলাদেশের
গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক মানুষও মহাজোট সরকারের ভারতের প্রতি নতজানু ও
দেশবিরোধী অশুভ পদক্ষেপকে বরদাস্ত করবে না।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
সরকার ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেবার যে চুক্তি সাক্ষর করতে যাচ্ছে
তা নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলেও গুরুতর আপত্তি ও নানা প্রশ্ন উত্থাপিত
হয়েছে। বহুপাক্ষিক ট্রানজিট অবকাঠামোর বিশাল ব্যয়ভার, ট্রানজিট
প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা, অবকাঠামোর দায়িত্ব, ট্রানজিটের কারণে বাংলাদেশের
সীমিত জমির বিশাল ক্ষতি, পরিবেশ ও স্বাস্থের বিরাট ঝুঁকি এবং সর্বোপরি
ভারতকে ট্রানজিট-করিডোর দেবার বিনিময়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্টভাবে কি অর্জন
করবে, এই সমস্ত বিষয়ের সুরাহা না করে তাড়াহুড়া করে ভারতকে
ট্রানজিট-করিডোর সুবিধা দেবার কোন সুযোগ নেই। ভারত এই সুবিধাকে যে
নিরাপত্তা করিডোর হিসাবে ব্যবহার করবে না তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যে এটা নিয়েও তাদের
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর বস্তুত: বাংলাদেশের সড়ক, রেল, নৌ বন্দর প্রভৃতি
কোন দিক থেকেই ভারতকে ট্রানজিট-করিডোর দেবার প্রস্তুতি নেই; বর্তমান
অবকাঠামোয় যেখানে বাংলাদেশের চাহিদাই মিটছে না, সেখানে ভারতের এসব সুবিধা
দেবার অবকাশ কোথায়? আর ভারত গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুসুলভ
কোন আচরণ করেনি বরং ভারত বৃহৎ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের চরিত্র অনুযায়ী অপরাপর
প্রতিবেশী দেশের মতো বাংলাদেশের উপর তার খরবদারী ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার
চেষ্টা করে এসেছে। বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হিসাবে
আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ-বিরোধী বৈরী প্রচারণাও অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন-ভারত অশুভ আঁতাত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ভারতকে
বাংলাদেশের দেখ-ভাল করার দায়িত্ব দেবার পর বাংলাদেশের প্রতি ভারতের
আগ্রাসী মনোভাব ও তৎপরতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বঙ্গোপসাগরে মার্কিন
কর্র্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কনোকো ফিলিপস-এর সাথে গ্যাস ব্লক ইজারা
চুক্তি সাক্ষরের পর বাংলাদেশের উপর ভারতের নানামুখী চাপও আরো বৃদ্ধি
পেয়েছে। আগেকার সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট
সরকার মার্কিনের পর এখন ভারতের রাজনৈতিক সমর্থনকে ১০০ ভাগ নিশ্চিত করতে
ভারতের ইচ্ছা অনুযায়ী ও তাদের শর্তে ট্রানজিট সহ বহুবিধ চুক্তি সাক্ষরেরর
উদ্যোগ নিয়েছে। ট্রানজিটের নামে করিডোর এর সুদুরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব
এর বিষয়টি আড়াল হয়ে অর্থনৈতিক লাভালাভের বিষয়টিই মুখ্য হয়ে উঠেছে। তাই
আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে এই ধরনের তৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান
জানাচ্ছি।
সমমর্যাদা ও সমস্বার্থের নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতসহ এ অঞ্চলের দেশ ও
জনগণের মধ্যে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও
উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই; কিন্তু তার জন্য বৃহৎ রাষ্ট্রের খবরদারী ও
কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পরিহার করে ভারতকেই প্রথম এগিয়ে আসতে হবে এবং সৎ
প্রতিবেশীর প্রমাণ দিতে হবে। মহাজোট সরকারকে আমরা সতর্ক করে দিয়ে বলতে
চাই, নিজেদের দলীয় রাজনৈতিক ও গোষ্ঠীগত বিবেচনায় নতজানু নীতি নিয়ে দেশের
স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সাথে অসম ও অন্যায্য চুক্তি ও আঁতাত গড়ে
তোলার অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকুন। তানাহলে জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে
সর্বাত্মক অবস্থান নিতে বাধ্য হবে। দেশবাসীকেও আমরা সরকারের এসব অশুভ
তৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক ও সোচ্চার হবার আহ্বান জানাচ্ছি।
কর্মসূচি
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সকল অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, সীমান্তে
কাঁটাতারের বেড়া প্রত্যাহার, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ছিটমহল সমস্যা,
বাণিজ্য ঘাটতিসহ ভারতের সাথে বাংলাদেশের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের
দাবিতে এবং ভারতের কাছে নতজানু হয়ে তাদের চাহিদা মত ট্রানজিট-করিডোর
সুবিধা প্রদানসহ দেশবিরোধী চুক্তি স্বাক্ষরের অপতৎপরতার প্রতিবাদে আগামী ৪
সেপ্টেম্বর ২০১১ রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন
অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় ঐদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেল ৪টায় সমাবেশ ও
বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
আপনাদের উপস্থিতির জন্য আবারও ধন্যবাদ।