সুখবর! সুখবর!! এবার বেড়িয়ে হয়ে আসবে সকল ষড়যন্ত্র।
হা-মীমে আগুন তদন্তে দুটি কমিটি।
খবরে প্রকাশ................
আগুন লাগার কারণ তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি করেছে সরকার, অন্যটি করেছে বিজিএমইএ।
সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি করা হয়েছে ৫ সদস্যের। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল খান চৌধুরীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।এছাড়া পুলিশ বিভাগ, বিজিএমইএ, দমকল বাহিনী ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন।
বিজিএমইএ গঠন করেছে ৩ সদস্যের আরেকটি কমিটি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের জানান,
''এই কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।অগ্নিকাণ্ডের কারণে সম্পর্কে তিনি বলেন, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্তের পর আসল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।বাক বাকুম বাকুম.............."
জাতীয় দৈনিকের নিজস্ব প্রতিবেদকের প্রতিবেদন্।২২ ডিসেম্বর ২০১০ ।
এবার আর কোন আলসেমি নয়। দু'টো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ মাত্র ৭ দিনের মাথা।ডিজিটাল সরকার বলে কথা।
তদন্ত রিপোর্টদ্বয় থেকে জানা গিযেছ যে ..................
আগুণের কারণ সর্ট সার্কিটই বটে।বৈদ্যুতিক তারের মান! মাশাল্লা, মাশাল্লা। বিদেশ থেকে ইম্পোর্টেড।
তবে................
ইদুরের উৎপাত হয়ে ছিল ক'দিন। বৈদ্যুতিক ডিশট্রিবিশন বোর্ডের কাছে প্রাপ্ত ছাইয়ের ফরেনসিক রিপোর্টে জানা গেছে...ছাই পোড়া চিনেবাদাম আলাম পাওয়া গেছে।
ফ্লোরের দায়িত্ব পালন কারী দারোয়ান আনোয়ার হোসেন ( ৫০) কর্তৃক তদন্ত কমিটির নিকট প্রদত্ত তথ্য থেকে জানা যায় কাটিং ষেকশনের হেলপার রাজ্জাক ( ২১) আর শাবানা (১৭) , দু' জনার নতুন প্রেম...........কাজ ফাঁকি দিয়ে বৈদ্যুতিক ডিশট্রিবিউশন বোর্ডের কোণায় দিনভর গুজুরগুজু ফুসুর করতো.............দূঘৃটনার আগের দিন বিকালে ওদেরই দেখা গিয়েছিল ওখানে দাড়িয়ে চিনা বাদাম খেতে..........। হাতে থেকে খসে পরা বাদাম খেতে আসা ইদুর আর সে ইদুরই কাটে বৈদ্যুতিক তার ।
ইদুরের উৎপাত বিষয়ে কারখানার জেনারেল ম্যানেজার খলিলুর রহমান তদন্ত কমিটি কে জানান যে , '' ইদুরের উৎপাতের কথা বেশ ক'দিন আগেই ফ্লোর সুপারভাইজার প্রবীর ঘোষ প্রোডাকশন ম্যানেজার কে জানিয়ে ছিল। ইদুর মারতে আমি ৫০০টাকা বাজেট বরাদ্দ করা করি। এবং ফ্লোর সুপারভাইজার ইদুরের বিষ কেনার জন্য ৫০০টাকা দিয়ে পাঠিয়েছিল হেলপার শাকিব খান (১৮) কে পাঠিয়ে চিলেন গঙ্গা-যমুনা ডিপার্মেন্টল স্টোরে। শাকিব ফুটপাথ থেকে ৫টাকার ইদুর মারা বিষ কিনে, ৪৯৫ টাকা মেরে দিযেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। কেননা, অপরাপর শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, ঘটনার আগের দিন শাকিব ছুটির পরে তার ইয়ার দোস্তদের কে কারখানার সামনে দাড়িয়ে হালিম খাইযেছে।''
দুইটি তদন্ত কমিটিই এই মর্মান্তিক দুগটণার জন্য রাজ্জাক , শাবান ও শাকিব খন কে দোষী সাবস্ত করেছে। এবং খেউ যেন ভবিষ্রতে কারখানার মধ্রে চিনা বাদাম নাখায় সে বিসয়ে দারোয়ান কে ও ফ্লোর ইন চার্জকে সতর্ক থাকাবার জন্য বলেছে।
দুঘঠনায় দোষিদের শাস্তি বিষয়ে প্রতিবেদক সরাসির কারখানার মালিক আ.ক.আজাদের সাথে কথা বললে তিনি জানান যে, '' দুর্ঘটনায় রাজ্জাক , শাবান ও শাকিব খন ৩ জনই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিযেছ।''
****************************************************
ব্লগারের প্রশ্ন ৎ মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্যী শ্রমিক পুড়ে মরলো , তদন্ত কমিটি হল, কিন্তক কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি কই।