জ্ঞাতার্থে
১০ মে ২০০৯ "টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ।"শীরণামে ইমন১৯২৪ ভাইয়ের একিট কলাম লিখেন সামেহায়ার-ইন- ব্লগে লেখাটি খুব ভালো ও তথ্য বহুল।আমার প্রিয় লেখার তালিকা ভুক্ত করতে বিলম্ব করলাম না।
Click This Link
দুৎখজনক ভাবে লেখাটি অতিবিলম্ব আমার চোখে পরে।মন্তব্যের ঘরে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করলে বেশির ভাগ পাঠকরে চোখে বিষয়গুরো এরিয়ে যেতে পারে বলে আমি আমার নতুন ব্লগে কিছু লিখতে বসলাম।
আমার উপলদ্ধি:
উপরের লিংকের "টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ।"শীরণামে ইমন১৯২৪ ভাইয়ের সুপাঠ্য লেখাটির কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন না করে পারছি না।
এক:
সরকারের নিশ্চুপতা বলতে আমরা যদি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কে শুধু মাত্র বুঝে থাকি তা হলে বিরাট ভুল করা হবে। ভারত বিগত এক-দুই বছরে এ পরিকল্পনা হাতে নেয়নি, বিষয় টি আরও অনেক পুরাতন। মনিপুর রাজ্যের জনগণ বহু আগ থেকে লড়াই করে আসছে। নিচের লিংক এ দেখুন সে রকম একটি ২০০৬ সালের চিত্র
প্রশ্ন আসে বিগত বি এন পি জামাত জোট সরকার কিংবা দু'বছরের সেনা মদদপুষ্ট কেয়ার টেকার সরকার কি করেছে। কিংবা সে সময়ের বিরোধী দলের ভূমিকা কি?
দুই:
সরকার পরিবর্তন হয়েছে সত্য ; কিন্ত পানি সম্পদ সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয়ের আমলারা কি নিয়মিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেনি।এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়।Institute of Water Modelling নামক পানি উন্নয়ন বোর্ডে সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ২০০৫ সালে এ বিষয়ে একটা গবেষনা পরিচালনা করে।আসা রাখি খুব মীগ্রই উক্ত প্রতিবদেনের বিস্তারিত নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হতে পারবো। WARPO ২০০৭ সালে একটা গবেষনা চারিয়েছে সরকারের অর্থে।
তিন:
"টিপাইমুখ বাঁধ সম্পন্ন হলে, বাংলাদেশের সুরমা-কুশিয়ারা ও মেঘনার ধারা মরে যাবে। গোটা সিলেট অঞ্চলে নেমে আসবে প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয়। এজন্য সিলেটের দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের নাগরিকরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছে। তবে সরকার এ ধরনের জাতীয় ইস্যুতে জনগণের প্রতিবাদের মধ্যে রাজনীতির গন্ধ শুঁকতে শুরু করেছে। অর্থাৎ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে দেশব্যাপী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো যেসব কর্মসূচি নেবার কথা ভাবছে, সরকার তাকে দেশের রাজনৈতিক স্থিতি বিনষ্ট, বন্ধু দেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ করে তোলা এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছে।"
লেখককের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে কিছু বলার প্রয়োজন। টিপাই মুখ বাঁধ ইসুতে গণজারন ঘটানোর অন্য কোন বিকল্প নেই। ভারত এ বিষয়ে এতো বেশি অগ্রসর হয়ে গেছে এবং উত্তর ভারতে টিপাইমুখ ব্যারেজ নিয়ে গণ আন্দোলন এতো বেশি অগ্রসর হয়ে গেছে যে , এ অবস্থায় পিছিয়ে
আশা ভারতের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য বিরাট সহজ কথা নয়। জাতিসংঘের মতো ফোরামেআরোচনা করে খুব একটা পর পাওয়া যাবে না। এ ধরণের উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু মাত্র ক্ষমতাশীনরা বাহবা কুড়াতে পারে।সুতরাং , গণ আন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নাই। এ গণ আন্দোলনের জোয়ার বাংরাদেশের ৫৫৬০০ বর্গ মাইরল সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। যুক্ত করতে হবে সারা বিশ্বের পরিবেশ সচেতন মানুষ কে । এ আন্দোলনের বিপুলতা চিন্তা করতে আমাদের ভারতের ভূখন্ডের দিকেই তাকাতে হবে " নর্মদা বাচাও আন্দোলন" আমাদের শিক্ষার উৎস হতে পারে।
চার
আমার জানা মতে,১৭ হতে ১৯ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত 'Regional Cooperation on Transboundary Rivers: Impact of the Indian River-Linking Project' শর্ষিক কনফারেন্স প্রথম বারের মত 'টিপাইমুখ ব্যারেজের বিষয় টি আলোচনায় আসে। অন্তত প্রথম আমার চোখে আসে।
তার পরবর্তীতে তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকারের কোন উদ্যোগ আমরা লক্ষ্য করি নি। কিংবা বিরোদী দল আওয়ামী লীগ ও নিরব ছিল। " টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ।" বলতে বৃহৎ সকল রাজনৈতিক দলের নিরবতা কে বুঝায়।
আজ আমি কয়েকটি দলের নির্বাচনী ইমতেহার এ চোখ বুললাম। না চারদরীয় জোট না মহাজোট কারও নির্বাচনী ইশতেহারে এ সংক্রান্ত কোন বক্তব্য খুজে পেলাম না।
উপসংহার
সুতরাং, টিপাইমুখ বাধকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার বাইরে কোন রাজনৈতিক শক্তি সংর্কীণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের যে প্রয়াস চালাতে চাইবে না , তা কিন্তু ভাবা যায় না।কেউ ভারত প্রীতি আবার কেউ সস্তা বারত বিরোধীতার শ্লোগান তুলে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের চেস্টা করলে তা 'টুপাইমুখ ব্যারেজ' প্রতিরোধ আন্দোলনের মূলে কুঠারাঘাত করা হবে।
পাদটিকা
উল্লেখ্য দুই জোটের মেরুকরণের বাইরে একটি বাম রাজনেতিক দল তাদের সীমিত শক্তিতে ২০০৫ সালের প্রথম থেকে যে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তা উল্লেখ না করলে অন্যায় হবে। তাদের নির্কাচনী ইশতেহারেও সংশ্রিষ্ট বিষয়ে পরিস্কার বক্তব্য রয়েছে।অনুসন্ধিসুরা 'দা ডেইলি স্টারের' ২ মার্চ সংখ্যায় একরা চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন। নিচের লিংক
Click This Link