somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপ্রিয় সত্য কথা: ফেসবুকে যা লেখা যায় না

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি



মানুষের বুকে যারা অদৃশ্য লাথি মারছে রোজ, তাদের ফিসফিসিয়ে একবার বাঞ্চোতও বলতে পারি না! কতটা অভাগা আমি।



বেঁচে থাকার জন্য আমিও আজকাল কিছুটা বদলে গেছি।



ধনী হতে জানি, মানতে শিখিনি এখনো।



আমার কল্পিত প্রেয়শীর উর্বশী দেহের কারুকাজ আমার চেয়ে সহস্রগুণ ভালো জানে সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ দুবৃত্তরা। আমি শুধু বসে বসে কবিতা চিবাই।



কবি হতে আমার ভালো লাগে না।



আমি শয়তান চিনে ফেলি, তারও আগে শয়তান আমাকে চিনে ফেলে!



সরকারি চাকরি করব না ভেবে ছিলাম স্বাধীন থাকার জন্য, এখন নিজেকে আরো বেশি পরাধীন মনে হয়! কে স্বাধীন এদেশে? রাস্তাড় মোড়ের চায়ের দোকানদারও তো স্বাধীন না। তার ওপরও ভূতের মতো চেপে বসে আছে এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং রাজনীতি। দিনে এক হাজার টাকা আয় করলে চারশো টাকা তার চাঁদা দেওয়া লাগে।



যা বলতে চাই, যা বলা দরকার, তার কিছুই বলতে পারি না। সম্ভব না।



কী হত এ জীবন দিয়ে এর চেয়ে বেশি আর— নরম বিছানা, গরম খাবার, আর মাঝে মাঝে নারী দেহ বদল; খুব কি জিতেছ তোমরা তাতে?



বুঝি, বলি না, একদম একা হয়ে যাব যে! ভয়তো কিছুটা পেতেই হয়।

ওরা এবং আমরা



দেশের শিক্ষিত মানুষের ৯৯% ধান্দাবাজা। মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম, বঙ্গবন্ধু —সামনে যা পায় চেটেপুটে খেয়ে ফেলে।



একটা যুগ বদলে দিয়েছিলেন জনাথন সুইফট্। একটা লাইনও সেরকম লেখার সুযোগ নেই। পাকড়াও করবে কেউ না কেউ।



কোনো কথা বলার সুযোগ নেই, কারো না কারো বিরুদ্ধে তো তা যাবেই। অথবা মাথা পেতে নেবে।



ওরা জানে কী দিতে নেই। ফলে মানুষগুলোকে আটকিয়ে দেয় পদে পদে। করো পারলে শূন্য পকেটে বিদ্রোহ! এটাই এদের প্রধান স্ট্রাটেজি। চেলা চামুন্ডা যা বানায় তা ওদেরই ক্ষুদ্র সংস্করণ।



চেয়ারটাই আসল কথা, ধর্ম বেঁচে, মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে, এখন শেখ হাসিনা বেঁচে —যে সময় যা বেঁচা লাগে।



কবি এদেশে কে? শাসকের গোলামী যে ঠিকঠাক মতো করতে পেরেছে। নতুবা তাকে হুমায়ুন আজাদের মতো ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে যেতে হয়েছে। পারবেন এতটা?



গত দশ বছরে এমন অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পেতে হলে বর্তমানে তারা প্রাইমারি স্কুলের চাকরিটিও পাবে না।



এই সরকার খেলতে জানে। মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম, তথাকতিথ আলেম ওলামা, এবং এখন করোনা নিয়ে —সবকিছু নিয়েই তারা খেলতেছে। প্রমাণিত হয়েছে যে, একটা আবাল জনগোষ্ঠী নিয়ে ইচ্ছেমতো খেলা যায়।



মানুষের কোনো সিন্ডিকেট থাকার কথা না। কিন্তু কবিদেরও এদেশে সিন্ডিকেট আছে।



ধাড়ি শিয়েল কিছু ছোট শিয়েল পালে, সংগঠন মানে এখন শিয়েলের পাল, সময় হলে তারা বুড়ো শিয়েলের স্বরে ডাকে।



যাদের শুয়োরের বাচ্চা বলার কথা, তাদের বলতে হয় স্যার! এটাই বাংলাদেশ!



ধর্মদুষ্টরা হত্যা করে? এইসব বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট করে মুখ খুলে দেখেন, দেখবেন— হত্যা তারাও করে।



নিজের লেখা নিজে একশোবার এডিট করতে হয়। তখন নিজেকে আর লেখক মনে হয় না, এডিটর মনে হয়। কতটা ভয়ঙ্কর সেল্ফ সেনসরশিপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে রাষ্ট্র, এই সমাজ!



গত দশ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার মশালটা তুলে দেওয়া হয়েছে কয়েকজন ক্যারিয়ারিস্টের হাতে, অনেক ক্ষেত্রে তারা ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িকও। মুক্তিযুদ্ধের পরেও ঠিক তাই হয়েছিল।



পশ্চিমা পুঁজিতে ভাগ না বসিয়ে এদেশে কেউ সফল হয়েছে, শীর্ষে গিয়েছে? একটা উদাহরণও দিতে পারবেন?



এদেশে লেখক হিসেবে সফল হতে হলেও ভারত এবং পাকিস্তানের মাঝখান দিয়ে চলতে হয়, মাঝে মাঝে সুবিধা মতো হেলতে হয়। বাংলাদেশ এখানে কোনো বিষয় না।



নিজের জন্য আমার কষ্ট হয় না, আমি খুব ভালোভাবেই টিকে আছি। কষ্ট হয় আমার মতো আরো অনেকের জন্যে, তারা টিকে থাকতে পারছে না। সিস্টেম তাদেরকে ছিটকে দিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
৮৭ বার পঠিত
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র ও নির্বাচিত শব্দের নয়া ব্যাখ্যা দিলেন ফরিদা-মজহার দম্পতি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৭


বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুটা ছিল জনতার কণ্ঠে, এখন সেটা রূপ নিচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট গলার একচেটিয়া লোকের তর্জন-গর্জনে । শুরুর দিকে বলা হয়েছিল, এটা অস্থায়ী সরকার—জনগণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকা আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনে সক্ষম হয় কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৮



আমাদের দেশের সরকার সমূহ যখন সরকার পরিবর্তনের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় তখন বিশ্ব মোড়ল হিসাবে আমেরিকা আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তন তাদের দায়িত্ব মনে করে। তারা এটা করে আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিছক যড়যন্ত্র নয়(কপি পেস্ট)

লিখেছেন পদাতিক চৌধুরি, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৮

*গা শিউরে ওঠার মত ঘটনা... বাংলাকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে? পড়ুন বিজেপির নিজেদের মধ্যেকার এক ব্যক্তির ফাঁস হওয়া মেসেজ..*

-------------------------------

আমায় আমার নাম, পরিচয় প্রকাশ করতে অনুরোধ করবেন না। চাকরি সহ জীবনটাও... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৫০

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩



গতকাল ছিলো বাংলা নববর্ষ।
সকালে এক জরুরী কাজে আমি উত্তরা গিয়েছিলাম। আমার তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু দেরী করে ফেললাম। আজ বাসার সবাই মাওয়া যাবে। সেখানেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই সময়ের কিঞ্চিৎ ভাবনা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

বাক স্বাধীনতা কিংবা যা মনে আসছে তাই লিখে বা বলে ফেলছেন, খুব একটা ব্যাক স্পেস চাপতে হচ্ছে না এখন, তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এবং যে কোন দল নির্বাচিত হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×