আগের পর্ব।
এখন আসি ধাপে ধাপে পরিকল্পনায়:
উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে বিষমুক্ততা নিশ্চত করা।
উৎপাদনের পর্যায় শুরু হয় বীজ থেকে। আমরা বিতর্কিত জি.এম. বীজ ব্যবহার থেকে বিরত থাকব। তবে উন্নত জাত, সংকর (cross breeding) ব্যাবহার করব। উদাহরণ: মনোসেক্স তেলাপিয়া। তিন ভাবে কাজ টা করা যায়। ১. বাচ্চা বাছাই প্রক্রিয়া্য় পুরুষ বাচ্চা আলাদা করা, ২. রাসায়নিক প্রক্রিয়া্য় সকল বাচ্চাকে পুরুষ বাচ্চায় রুপান্তরের চেষ্টা, ৩. রেডিয়েশনের সাহায্যে সকল বাচ্চাকে পুরুষ বাচ্চায় রুপান্তর। আমরা প্রথম টা ব্যাবহার করব, তৃতীয়টা ব্যবহার থেকে বিরত থাকব।
বীজ সংরক্ষণের জন্য যে সব পদ্বতি আছে, বিষের ব্যবহার ছাড়া পদ্বতি গ্রহণ করব। বন্ধ্যা বীজের ব্যবহার থেকে বিরত থাকব। বীজের অধিকার থাকবে কৃষকের, এটাই আমাদের অন্যতম রুপকল্প।
রাসায়নিক সার, রাসায়নিক কীটনাশক, গ্রোথ হরমোন ইত্যাদির ব্যবহার পরিহার করব।রাসায়নিক সার পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করা হবে সবুজ সার উৎপাদন প্রক্রিয়ায়। বায়োগ্যাস প্লান্ট থাকবে, সার ও শক্তির যোগান দিবে, দিবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সহায়।
সমন্বিত বালাই দমন ব্যাবস্থার উন্নয়ণ ও ব্যবহার করব। নিমজাত কীটনাশক ব্যবহার করব। এড়ানো অসম্ভব হলে পরিমিত ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে, সাময়িক ভাবে।সেক্ষেত্রে রাসায়নিক ক্রিয়া নষ্টের জন্য সহযোগী প্রক্রিয়া চালাব এবং উৎপাদিত পন্যের বাজারজাতকরণ কালে রাসায়নিক ব্যবহার এর তথ্য প্রকাশিত থাকবে- এটা ভোক্তা অধিকার।
আপনাদের দোয়া ও পরামর্শ কাম্য।
[email protected]