নাজারাথের যীশু কি ফিরে এসেছিলো আবার
টুঙ্গিপারায় !!!
নাহলে মানুষকে কি কেউ এতো ভালবাসতে পারে
অবলীলায় ???
কারমেল পাহাড়ে যীশু শুনিয়েছিলেন
মানবতার বানী,
৭ই মার্চে বাংলার যীশু শোনালেন
বাঙালীর স্বাধীনতার অভয়বানী,
তিরিশ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে
এরপর রচিত হোল বাংলাদেশ নামের এক মহাকাব্য,
নাজারাথের যীশুর মতোই বাংলার যীশুকে বরন করা হোল
স্রদ্ধাবনত চিত্তে বাঙালী জাতি বললো
তোমার পদচুম্বনে পবিত্র হোক এই মাটি হে মহামান্য!!!!
নাজারাথের যীশুর মতোই বাংলার যীশু চেয়েছিলো
গড়তে ভালোবাসার রাজ্য
যেখানে থাকবে কেবল অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতা এবং সাম্য।
নাজারাথের যীশুর প্রিয় শিষ্য জুডাসের ন্যায়
স্বজাতিদের বিশ্বাসঘাতকতায় ক্রুশবিদ্ধ হলেন বাংলার যীশু,
মৃত্যুর পূর্বেও হত্যাকারীর প্রতি ছিল তার অগাধ বিশ্বাস
যেন পিতার কাছে কৈফিয়ত নিয়ে এসেছে কোন
এক অবোধ শিশু।
এরপর সবকিছুই নষ্টদের অধিকারে চলে গেলো
৭২ এর সংবিধান বাইবেল আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত হোল
রাজনীতির নামে শুরু হোল রাজনৈতিক বেশ্যাবৃত্তি
বাংলার যীশু এখন কেবলই স্মৃতি,
তবুও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে
বাংলার যীশুর প্রতিটি রক্ত বিন্দু থেকে জন্ম নেওয়া
চিলেকোঠার সেপাইরা জন্মযুদ্ধে নিয়োজিত
একটি লাল বিপ্লবের প্রতীক্ষায়।