সমস্ত কোলাহল শেষে নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে আছে মশাড়ীর ভেতরে!
সমস্ত প্রকৃতি আজ রাস্তায় নেমেছে, মিছিলে মিছিলে;
মুখরিত করে রেখেছে শহরের রাজপথ,
কারা যেন তাদের নি:শ্বাস ছিনিয়েছে বলে।
শহরের গলিপথে প্রকৃতির অর্ধাহারী শিশুরা আজ না খেয়ে ঘুমিয়ে আছে;
আযানের সুর অথবা মন্দিরের ঘন্টা তাদের ঘুম ভাঙাবে বলে!
নগরীর জোছনার মত যোনিতে আজ কোন প্রেম নেই!
ঢেউয়ের মত ঠোঁটের উরুতে আজ ভালবাসাও নেই!
সমস্ত প্রকৃতি কোনমতে বেঁচে আছে প্রেমহীন এক প্রেমিকের বুকে!
আর নগরী উদ্ধ্যত এক অন্ধ বিশ্বাসে বিকশিত সহস্র নক্ষত্রের নীচে।
সমস্ত শহর আজ এক পতিতা নগরী,
এখানে খরিদ করা প্রেমের ডিম্বাশয়ে জমা হয় নিষিক্ত নগরীর শুক্রাণু;
অত:পর জন্ম হয় মাতৃ পরিচয়হীন হাজারো জারজ ভবিষ্য পিতা।
ধরনীর সমস্ত প্রকৃতি এখন নংপুংসক পিতামহ,
তার সমস্ত জননকোষ নিষ্ফল হয়ে গেছে!
কোন মৈথুনে এখন তার শরীর থেকে ঘাম ঝরেনা।
তাই জন্ম হয়না কোন পবিত্র শিশু!
সমস্ত প্রকৃতি বেঁচে আছে শেষকৃত্যের প্রহরগুণে,
আর নগীর তার শরীরের ঘাম ঝরানোই ব্যস্ত;
হাজারো স্বাস্থবান অসুস্থ্য শিশু জন্ম দেবে বলে।
-------------সমাপ্ত----------
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯