How many lives do we live? How many times do we die? They say we all lose 21 grams at the exact moment of our death. And how much fits into 21 grams? How much is lost? How much is gained?
সত্যিই তো, একটা মানুষ যখন মারা যায় তখন তার শরীরের ওজন কতটুকু কমে? মারা যাওয়া মানে তো শরীর থেকে আত্মাটির বের হয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে আত্মাটির ওজন কত? আত্মার ওজন ২১ গ্রাম। অবশ্য আত্মার ওজন ২১গ্রাম হবার পূর্ব শর্ত হলো আত্মা একটি বস্তু, অন্যথায় এর ওজন থাকার কথা না।
২১ গ্রামোস সিনেমাটি ডেথ ট্রিলজির দ্বিতীয় পর্ব। মৃত্যুই যেখানে সিনেমার বিষয় সেখানে আত্মার ওজন নিয়ে প্রশ্ন আসবে এতে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। তাই বলে সিনেমাটি কিন্তু বিজ্ঞানের কপচানি নয়। বরং মানবিকতা, ক্ষোভ, দু:খ, কষ্ট, অনুশোচনার গল্প ২১ গ্রামোস বা ২১ গ্রাম। হার্টের অসুখে আক্রান্ত পল রিভার্সের হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। সুস্থ্য হয়ে উঠার পরে স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রশ্ন জাগে তার হার্টটা কোথা থেকে পাওয়া গেল। খুজে বেড়ায় সে। জ্যাক জর্ডান যদিও একসময় অ্যালকোহলিস্ট ছিল, দুবছর হলো সে সঠিক রাস্তায় ফিরে এসেছে, নিয়মিত প্রার্থনা করে, চার্চে যায়, বাইবেল অনুযায়ী নিজের জীবন এবং পরিবার পরিচালনা করে। কিন্তু সেই জ্যাককেই ঘটনাক্রমে জেলে যেতে হয়, সে অনুভব করে যীশূ তার সাথে প্রতারনা করেছে। আর ক্রিস্টিনা পেকের সুখের সংসার হঠাৎ একদিন ভেঙ্গে যায় যখন তার স্বামী এবং ফুটফুটে দুটি কন্যা রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। একদিন যে সংসার তাকে ড্রাগ থেকে ফিরিয়ে এনেছিল, সেই সংসার ভেঙ্গে যাওয়ায় আবার ড্রাগের দিকেই ঝুকে পড়ে ক্রিস্টিনা।
খুব সাধারণভাবে বললে সিনেমার কাহিনী একরকম সরলই, তবে পরিচালনা আর গল্প বলার ভঙ্গীতে এই সিনেমা হয়ে উঠেছে চরম জটিল। এই তিনটি চরিত্রের বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যত একই সাথে বর্ননা করা হয়েছে। দর্শকের দায়িত্ব হলো খুব সচেতন ভাবে সিনেমা দেখে পুরো কাহিনী বুঝে নেয়া। এই যে নন-লিনিয়ার ভঙ্গিতে গল্প বলা সেটা কতটা জরুরী ছিল সেটা খুব একটা বোঝা না গেলেও এটা সত্যি যে এই ভঙ্গীটা নিতান্ত ব্যর্থ নয়। ভাষা স্প্যানিশ, তবে সিনেমাটা আমেরিকান। পরিচালক আলেসান্দ্রো গন্জালেস ইনারতুতু।
ট্রিলজির প্রথম পর্বের মতোই এই সিনেমার কাহিনী তিনটির সাথে একটি সংযোগ আছে। ক্রিস্টিনার স্বামী এবং সন্তানকে যে গাড়িটি হত্যা করে সেটির চালক ছিল জ্যাক জর্ডান আর ক্রিস্টিনার স্বামীর হার্ট নিয়ে নতুন জীবন শুরু করে পল । পল চরিত্রে শন পেন অভিনয় করেছে, ক্রিস্টিনা চরিত্রে নাওমি ওয়াটস। নাওমি ওয়াটস ২০০৩ সালের অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এই সিনেমায় পাশ্বচরিত্রে অভিনয়ের কারনে।
শেষ পর্ব: আগামীকাল
আমার কিছু পুরানো পোস্ট:
তিনটি ওয়েস্টার্ন মুভি: ডেডম্যান, আনফরগিভেন, ৩.১০ টু ইউমা - আমার দেখা সেরা ওয়েস্টার্ন মুভিগুলোর দুটো রয়েছে এখানে।
সেন্ট অব উইমেন - একজন অন্ধ লোক কতটা ব্যক্তিত্ববান হতে পারেন? আল পাচিনোর সিনেমা।
প্রতিদিন একটি মুভি-১: সিটি লাইটস - এক সপ্তাহে সাতটি মুভির রিভিউ লেখার ইচ্ছে ছিল। প্রথম দিন চার্লি চ্যাপলিনের সিটি লাইটস । রোমান্স-কমেডি মুভি।
প্রতিদিন একটি মুভি-২: এল এ কনফেডিন্সিয়াল - দ্বিতীয় পর্বে লিখলাম এল এ কনফেডিন্সিয়াল নিয়ে। পুলিসের কাহিনী নিয়ে নির্মিত এ মুভিতে অভিনয় করেছেন রাসেল ক্রো, কেভিন স্পেসির মতো তারকারা।
ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কাক্কুস নেস্ট - মেন্টাল হসপিটালে কি হয়? মানসিক রোগীরা কি আসলেই রোগী? বাস্তবতার প্রতীকি সিনেমা, জ্যাক নিকলসনের অসাধারণ অভিনয়।
কুল হ্যান্ড লিউক: সিস্টেমের বিরুদ্ধে হাসিমুখে প্রতিবাদ - কাক্কুস নেস্টের সাথে এই সিনেমার নাম উচ্চারণ করতেই হবে। পল নিউম্যানের অভিনীত এই সিনেমার থিম যে মোটামুটি একই।