somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনারা একটু ভেবে দেখবেন কি? (দ্বিতীয় পর্ব)

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটি একটি সিরিজ লেখা, এই লেখাটি পূর্ণাঙ্গ বুঝতে হলে আগের পোস্টটিও পড়া আবশ্যক।
এখানে ক্লিক করুন
"আপনার একটি খুবই সুন্দর নিখুঁত দেহ রয়েছে। আপনি আপনার হাত দ্বারা যে কোন জিনিস খুবই সাবধানতার সাথে ধরতে পারেন যা আধুনিক অনেক উন্নত মেশিনও পারে না। আপনি আপনার পায়ের দ্বারা দৌড়াতে পারেন। আপনার রয়েছে নিখুঁত চোখের দৃষ্টি যা অনেক উন্নত গুণসম্পন্ন ক্যামেরা থেকে অধিকগুণে ভাল। কান দিয়ে আপনি যখন শব্দ শোনেন তখন আপনি কোন হিসিং শব্দ শুনতে পান না, একদম ক্রিস্টাল ক্লিয়ার শব্দ শুনতে পান যা অনেক হাই-ফাই সাউন্ড সিস্টেমও তৈরী করতে পারে না। অনেক অঙ্গ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নেই কিন্তু ঐসকল অঙ্গগুলো একত্রে কাজ করে আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনার হার্ট, কিডনী, লিভার এগুলোর উপর আপনার কোন কন্ট্রোলই নেই কিন্তু তবুও তারা নিখুঁতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আজকে হাজার হাজার বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়াররা অবিরামভাবে একত্রে কাজ করে যাচ্ছে ঐ অঙ্গগুলোর মত অঙ্গ বানাতে। কিন্তু তাদের এত পরিশ্রমের ফলাফল শূন্য এবং তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। সেইজন্য বলা যায়, আপনি একটি নিখুঁত সৃষ্টি কারণ যে অঙ্গগুলো মানুষও বানাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।


আধুনিক প্রযুক্তির তৈরী খুবই হাইটেক সম্পন্ন একটি হাত মানুষের হাতের তুলনায় একেবারেই নস্যি কারণ এই হাত রুক্ষ বা হাতের মতো মোলায়েম নয়। মহান আল্লাহ মানুষকে খুবই নিখুঁত করে সৃষ্টি করেছেন এবং এতই নিখুঁত যে তাতে কোন প্রকার অপূর্ণতা নেই।


আমাদের চোখ দিয়ে আমরা খুব পরিস্কার ভাবে দেখতে পারি যা খুবই সেনসেটিভ সম্পন্ন একটি ক্যামেরা দিয়ে দেখা সম্ভব নয়, আমাদের কান দিয়ে আমরা এতই পরিস্কার ভাবে শুনতে পারি যে আজকের আধুনিক সভ্যতার তৈরী মাইক্রোফোন এবং স্টেরিও সিস্টেম দিতে ব্যর্থ। এখানে সন্দেহ করার অবকাশ নেই যে এইসব নিখুঁত গুণসম্পন্ন দেহের অঙ্গগুলো স্বতস্ফুর্তভাবে সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেহের সকল নিখুঁত এবং সঠিক গুণাগূণ সম্পন্ন অঙ্গগুলো মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।

একটি অতি সাধারণ যন্ত্রেরও একজন ডিজাইনার থাকে সেখানে মানুষের মত একটি জাটিল সিস্টেমের প্রাণী আকস্মিক ঘটনার থেকে কিভাবে অস্তিত্বলাভ করতে পারে? এখানে কোন সন্দেহ নাই যে, মহান আল্লাহই সর্বপ্রথম মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহই প্রথম মানুষের দেহে এমন ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছিলেন যে যেখান থেকে তাদের সন্তান জন্ম লাভ করেছিল এবং পরবর্তীতে সাফল্যের সাথে বংশ পরম্পরায় তা বলবৎ থাকে। মহান আল্লাহ মানুষের কোষের মাঝে এমন নিশ্চিত ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যাতে মানুষের এই বংশ পরম্পরা অব্যাহত থাকে। মহান আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে আমরাও এই নিশ্চিত ব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছি এবং এই নিশ্চিত ব্যবস্থার মাধ্যমেই মানুসের বংশ ধারা অব্যাহত থাকবে।

একটি উদাহরণঃ আপনাদের নিশ্চয়ই ধারণা আছে যে কিভাবে একটি কম্পিউটার অপারেট বা পরিচালিত হয়। একজন প্রোগ্রামার কম্পিউটারটির ডিজাইন করে থাকেন। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষজ্ঞরা ফ্যাক্টরী বা কারখানাতে কম্পিউটারের বিভিন্ন জটিল যন্ত্রগুলো বানিয়ে থাকেন যেমনঃ মাইক্রোপ্রসেসর, মনিটর, কী-বোর্ড, সিডি, লাউড স্পিকার এবং এরকম আরো অনেক যন্ত্রাংশ। এখন ধরুন, আপনার একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার আছে যা দিয়ে আপনি অনেক কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। কিন্তু এই কাজ গুলো করার জন্য সফটওয়ারের প্রয়োজন হয়ে থাকে যাকে ''প্রোগ্রাম" বলা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের তৈরী করা এই প্রোগ্রামগুলো ছাড়া আপনি কম্পিউটার চালাতে সক্ষম হবেন না।


কম্পিউটার পরিচালনা বা অপারেট করার সফটওয়ারগুলোকে প্রোগ্রাম বলা হয় যা কম্পিউটার অপারেট করার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। মহান আল্রাহকে ধন্যবাদ কারণ তিনি আমাদের জ্বিনের ভিতর ঠিক এই রকম তথ্য সম্বলিত প্রোগ্রাম স্থাপিত করে দিয়েছেন যার ফলে আমাদের দেহের অঙ্গগুলো নিখুঁতভাবে আমাদের অজান্তে কাজ করে যাচ্ছে।


মানবদেহের এই স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম একটি কম্পিউটারের চাইতে অনেক অনকে জটিল। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে কেও বলছে না যে কোন এক আকস্মিক ঘটনায় কম্পিউটারটি অস্তিত্ব লাভ করেছে কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে কেউ কেউ বলছে মানবদেহের এই জটিল প্রোগ্রাম আকস্মিক ঘটনার ফলে অস্তিত্ব লাভ করেছে।

আমরা আরও জানি সকল প্রোগ্রামই আবার সকল প্রকারের কম্পিউটারের জন্য প্রযোজ্য নয়, এর জন্য একজন প্রোগ্রামারকে জানতে হয় কম্পিউটারটি কেমন এবং তার জন্য কোন ধরনের সফটওয়ার লাগবে। সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম, কম্পিউটার চালাতে হলে তার যন্ত্রাংশের সাথে সমাঞ্জস্যশীল প্রোগ্রাম লাগবে। এখানে একটি মজার বিষয় লক্ষ্য করুন, যদি কেউই এই যন্ত্রাংশগুলো এবং প্রোগ্রামগুলো না বানাতো তাহলে আমরা কম্পিউটার চালানো তো দূরের কথা কম্পিউটার কি তাই জানতাম না। মাবনদেহও ঠিক একই এই কম্পিউটারের মত। আমাদের দেহের কোষের ভিতর জ্বিনের মাঝে প্রোগ্রামগুলো ঠিকমতো দেওয়া আছে যার কারণে আমরা অস্তিত্ব লাভ করেছি। এখন প্রশ্ন হল, কে মানবদেহে এই প্রোগ্রামটি অস্তিত্ব স্থাপন করে দিয়েছিল? উত্তরটি সবারই জানা - সর্বাশক্তিমান আল্লাহ।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×