আমরা সবাই এতদিন জানতাম যে তনুকে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এটা আমরা জানতাম না বা এখনো কেউ জানিনা যে তনুর হত্যার পর তনুর ভাইয়ে বন্ধু সোহাগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গুম হয়েছে বা নিখোজ হয়েছে। এবং এই ব্যাপারে কারর কোন মাথা ব্যাথাও নেই।
channel24 এর তথ্য মতে,
“৭ দিন ধরে নিখোজ হয়েছে তনুর ছোট ভাইয়ের বন্ধু সোহাগ(ছবিতে) যিনি তনু হত্যার প্রতিবাদ করার জন্য সবাইকে সোচ্চার করেছিলো।
তনুর ছোট ভাইয়ের বন্ধু সোহাগের পরিবার জানাই তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আর পুলিশের পহ্ম থেকে বলা হয় সাদা পোশাকধারী কর্তৃক সোহাগের নিখোজের ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।“
এই হলো তনুর হত্যার বিচার করার সামান্য নমুনা...
আর কত তামাশা দেখবো বলুনতো... তনুকে মেরে ফেলা হয়েছে ভালো কথা কিন্তু তার জন্য প্রতিবাদ করা কেউ গুম হয়ে যাবে সেটা কতটা স্বাধীন দেশের মানুষের কাম্য??? এ কেমন বিচারের লহ্মন??
স্বাধীন স্বাধীন করে এভাবে আমরা আমাদের নিজেদের বিবেক আর কতভাবে ধর্ষন করতে থাকবো, একবার কেউ কি বলতে পারবেন???
আজ সাদা পোশাকধারী লোকগুলোর বিষয়ে কেউ কোন কথা বলে না....
আমরা অনেক দেখেছি, অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ/ বিভিন্ন সন্ত্রাস/ জামায়াতের লোক/ বিএনপির নেতা সহ অনেক ভালো ভালো লোক গুলোকে সাদা পোশাক নামধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা নিখোজ করা হয় তারপর তাদের লাশ পাওয়া যাই বেশ কিছু দিন পর... জঙ্গলে, ডাস্টবিনে, নদীতে।
এক জন ব্যাক্তি যেই হোক... খারাপ কিংবা ভালো... তার বিচার হবে কিন্তু তাকে গুম করা/ নিখোজ করে ফেলা আইনের কত নম্বর ধারাতে উল্লেখ আছে তা কি কারর জানা আছে???
তবে দীর্ঘদিন ধরে কেনো এই নিখোজ নিখোজ খেলা চলছে?
রহ্মক যখন ভহ্মক হয়ে যাই তখন তার পরিনতি সোহাগের মতন হতে থাকে। এভাবে অনেক সোহাগ দিন দিন হারিয়ে যেতেই থাকবে।
আরে সাদা পোশাকধারীরা তো জঙ্গী/ সন্ত্রাসীদের চেয়েও ভয়ংকর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতুন নাম আজ সাদা পোশাকধারী।
এরা বেছে বেছে বড় বড় মাথা ধরে যেই সব মাথাগুলো বিভিন্ন অপরাধের প্রধান সাহ্মি হিসেবে বেচে থাকে।
এরা বেছে বেছে বড় বড় মাথা ধরে যেই সব মাথাগুলো হ্মমতাশীলদের হ্মতির কারন হয়ে থাকে।
তনু হত্যার সাথে এমন কোন বড় পর্যায়ের লোক কিংবা বড় বাহিনীর কোন সদস্য জড়িত আছে যার কারনে আজ তনুর লাশ কবর থেকে তুলে এনে জজ মিয়ার নাটকে পরিনত করা হয়েছে। যা কারনে সোহাগকে নিখোজ করা হয়েছে। যার কারনে তনু হত্যার আসল কাহিনী চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
হতে পারে এর সাথে কোন সেনা সদস্যও জড়িত।
তনুর বিচার কার্য নিয়ে সেনাবাহিনীও নিশ্চুপ?? তাদের নিশ্চুপ থাকাটা কতটা শুভলহ্মন তা হয়ত কেউ বিশ্লেষন করবে না।
তনুর বিচার জীবনেও হবে না, হলেও তা স্বচ্ছ হবে না। যে দেশের ডাক্তাররা পোস্টমোর্টামে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট করে সেই দেশে বিচার কতটা স্বচ্ছ হবে তা বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তাই ছেড়ে দিন বিচারের আশা, অনেক তনুই এমন বিচার পাই নি... তাতে কি হয়েছে?? কোন সমস্যা?? আজ দেশের বিচার ব্যবস্থা ঘুমন্ত, আজ দেশের প্রশাসন রাজনৈতিক প্রভাবে পাগলা কুত্তার মতন… যে যার স্বার্থ, সংগঠন এবং বাহিনীকে বাচাতে ব্যাস্ত কিন্তু নিরীহ মানুষের সময় জীবন্ত প্রমান/সাহ্মি গুলো হারিয়ে যাই/ নিখোজ হয়ে যাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪