খেলে অন্য এলাকার খেলোয়াররা আর নাম হয় নিজ এলাকার।
খেলে অন্য দেশের প্লেয়াররা আর নাম হয় চিটাগং, সিলেট, রংপুর, বরিশালের। ব্যাপারটা ঠিক টাকা দিয়ে সুনাম কেনার মতন। এই বিষয়টা ভাবতে ভাবতে মেজাজটা চরম গরম।
অমক একালা বনাম অমক এলাকার খেলা অথবা অমক জেলা বনাম অমক জেলার খেলা। খেলার নামে অন্য দেশ থেকে প্লেয়ার টাকা দিয়ে কিনে এনে পাগলা দর্শকদের ঠিক কি বুঝানো হচ্ছে। আমার এলাকা বা আমার জেলার খেলায় যদি বাইরে থেকে টাকা দিয়ে খেলোয়ারই আনতে হবে তবে সেই লেখাই আমার এলাকা বা আমার জেলার কি কৃতিত্ব আছে??
বাইরে থেকে প্লেয়ার এনে জাস্ট আমার জেলার বা আমার এলাকার টাকা বেশি এটাই প্রমান করানো হয়।
ঝিনাইদহের বিরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে কিছুদিন আগে পাগলাকানা ইউনিয়ন এবং ঘোড়শাল ইউনিয়নের ফুটবল খেলা হলো। আমি অবাক হলাম উভয় দলের ২২জন খেলোয়ারই ঝিনাইদহের বাইরের এবং ২০জন খেলোয়ার নাইজেরিয়ার নিগ্রো। এই যখন অবস্থা খেলায় জয়ী হলো পাগলাখানা ইউনিয়ন। ১১জন প্লেয়ার বাইরে থেকে এনে জয়ী হয়ে পাগলাখানা ইউনিয়ন কি কৃতিত্ব অর্জন করলো তা অনেহ্মন ধরে ভেবেও বুঝতে পারলাম না। এ কৃতিত্ব কি পাগলাকানার কোন লোকের?? বিবেক দিয়ে ভাবলে কখনই এটা হতে কৃতিত্ব বয়ে আনবে না।
কিন্তু পাগলা দর্শক যারা আনন্দ ছাড়া আর কিছুই উপভোগ করে না তারা নিজ এলাকার নাম ধরে ধরে হয়ত স্টেডিয়াম কাপাচ্ছিলো কিন্তু এ জয়ের দাবীদার কারা?? এ জয়ের দাবিদার হলো পাগলাকানা ইউনিয়নের মেম্বার এবং বড় বড় নেতাদের। এ জয়ের পরে সবাই বলবে অমক এলাকার অমক মেম্বার বা চেয়ারম্যান বা নেতা ১লহ্ম টাকা বা তার বেশি টাকা দিয়ে ১০টা বিদেশী প্লেয়ার আনছিলো।
নাম হবে নেতাদের কিন্তু এলাকার নবাগত যে প্লেয়ারগুলো তৈরী হচ্ছে তারা সর্বদা খেলা করার সুযোগ থেকে বন্চিত হচ্ছে এবং দিন দিন খেলা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
টাকার গরম দেখিয়ে নিজ এলাকার খেলাপ্রেমী যুবক গুলোকে খেলা থেকে দিন দিন দুরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিনিময়ে লোক দেখানো সুনাম নিয়ে কিছু সংখ্যক লোক সর্বদা মেতে থাকে যা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩