ইচ্ছা করলেই এতদিন বিকল্প মাধ্যমে ফেচবুকে আসতে পারতাম কিন্তু ইচ্ছে করেই এতদিন বিকল্প মাধ্যম ব্যাবহার করিনি।
কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হলাম সরকার ফেচবুককে ভয় পাই কারন ফেচবুক হলো মানুষের নিজের মতপ্রকাশের একটি বড় ধরনের প্লাটফর্ম যে প্লাটফর্মে সরকারের বিপহ্মে বেশি সমালোচনা বেশি হয়। আর এই কারনেই আজ বাংলাদেশে মতপ্রকাশে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে।
মূল বিষয় সমালোচনার পরিধি যেমনই হোক সেটা সত্য না মিথ্যা সেটা যাচাই করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। টেলিভিশন কিংবা পত্রিকায় নিজের মত প্রকাশ করতে হলে টাকা দেওয়া লাগে কিন্তু ফেচবুকে কোন টাকা ছাড়া স্বাধীনভাবে নিজের কথা তুলে ধরাটা যেনো সরকার কোন ভাবেই গ্রহন করতে পারছে না।
ফেচবুকে যারা violence সৃষ্টি করে তাদেরকে শাস্তি দিন কিন্তু তাই বলে ফেচবুক বন্ধ করে রাখাটা মটেও কাম্য নয়।
একজন অপরাধী চাপাতি দিয়ে মানুষ খুন করছে তাই বলে কি মাংস কাটার জন্য চাপাতি তৈরী করা বন্ধ হয়ে যাবে। কখনই না....
মূল বিষয় হলো অপরাধীদের ধরুন এবং শাস্তি দিন।
অপরাধীদের কাজ অবৈধ পিস্তল দিয়ে মানুষ হত্যা করা কিন্তু তাই বলে কি কখনো অস্ত্র তৈরীর কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে...।
এটা একটা সিম্পল ব্যাপার যে, "ফেচবুক বন্ধ করার সাথে জনগনের নিরাপত্তার কোন সম্পর্ক নেই।"
ব্যার্থতা এটাই যে, "মূল-অপরাধীদের ধরতে না পারা"
আমরা জানি যে, যুদ্ধপরাধীদের ফাসি দেওয়ার জন্য ফেচবুক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের যে মানুষটি যুদ্ধপরাধীর বিচার চাই না সেও এক প্রকার অপরাধী। তাকেও আইনের মুখোমুখি করা উচিত কিন্তু তাই বলে মত প্রকাশের মাধ্যমে তালা মারাটা কখই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না।
একটি ঘটনা ঘটলে তার পহ্মে বিপহ্মে নানা রকম মতামত আসবে- এটা সুস্থ মস্তিষ্কে গ্রহন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করা সকল রাজনৈতিক দলের নৈতিক দ্বায়িত্ব হোওয়া উচিৎ বলে মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬