ছেলের সামনে মা কে বিবস্ত্র করা হচ্ছে, ধর্ষন করা হচ্ছে আর বিচারের জন্য বিহ্মোভ করলেই গুলি করে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিবেককে কবরে দাফন করে দিছি আমরা!! আমাদের শরীরের চামরা অনেক পুরু হয়ে গেছে আর তাই নিজেদের চোখের সামনেও নিজের মা কে ধর্ষন হতে দেখতে হয় এই স্বাধীন বাংলাদেশে।
সন্তানের সামনে যখন মাকে ধর্ষন করা হচ্ছে আর তার জন্য যখন বিহ্মাভ মিছিল করা হচ্ছে এবং ঠিক তখন সেই মিছিলে পুলিশ নামক দু-পা ওয়ালা জন্তুরুপী মানুষের গুলিতে তিনটি প্রান শেষ হয়ে গেলো.. তবুও আমরা চুপ।
কেনো পুলিশ গুলি চালালো, কেনো তিনটি জীবন কেড়ে নিলো?? যে আইন সন্তানের সামনে তার মাকে ধর্ষন থেকে রহ্মা করতে পারে না সেই দেশে গুলি করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার নামে.. মানুষদের কি বোঝানো হচ্ছে??
হে মানুষ!! তোমাদের বিবেককে দাফন করার পরিনামে আজ তোমাদের মা তোমাদের চোখের সামনেই ধর্ষন হচ্ছে।
একজন সন্তানের সামনে তার মা ধর্ষন হচ্ছে, বিবস্ত্র করা হচ্ছে এবং এবং প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে একটু ভাবুন তো....? হ্যা টাঙ্গাইলের কথা বলছি।
হতে পারে এ প্রতিক্রিয়ার জন্য ব্যাথিত মানুষগুলো জোড়ে জোড়ে চিৎকার করে শহর কাপাচ্ছিলো- কারন সন্তানের সামনে মা ধর্ষন হয়েছে, বিবস্ত্র করা হয়েছে।
হতে পরে ব্যাথীত মানুষ কয়েকটা গাড়ি ভাঙ্গ-চুর করছে- কারন সন্তানের সামনে মা ধর্ষন হয়েছে, বিবস্ত্র করা হয়েছে।
হতে পারে ব্যাথিত মানুষ দেশের আইনের মুখে একত্রে লাথি মেরেছে- কারন সন্তানের সামনে মা ধর্ষন হয়েছে, বিবস্ত্র করা হয়েছে।
হতে পারে ব্রাথিত মানুষ পুলিশের গাড়িতে ইট মেরেছে কেউ- কারন সন্তানের সামনে মা ধর্ষন হয়েছে, বিবস্ত্র করা হয়েছে।
মা-ছেলের এই নির্যাতনের জন্য বিহ্মোভ মিছিলে এর চেয়ে কি বড় কিছু ঘটার দরকার ছিলো না??
এই প্রতিবাদ মিছিলে যত বড়ই ঘটনা ঘটুক না কেনো তবুও কি পুলিশের গুলি করা উচিৎ হয়েছে..??
তাই তো অনেক আগে বলেছিলাম এদেশের আইনের মুখে এখন মানুষ থুতু দেই আর কিছু কুকুর বিড়াল ছাড়া এই দেশের আইনকে কেউ মন থেকে শ্রদ্ধাও করে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২