খুন করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হল লাশ গুম করা । অনেক ঠান্ডা মাথার খুনিও লাশ দেখে ঘাবড়ে যায় অনেক সময় । তাড়াতাড়ি লাশ লুকাতে যেয়ে ভুল করে বসে ,যার ফলে ধরা পরে যায় । এক্ষেত্রে অবশ্য সে ভুলটা হবে না । এ বাড়ির আশে পাশে জনবসতি ঐরকম নেই বললেই চলে । যে বাড়িটা তৈরি করেছিল,সে বাগান বাড়ি হিসেবে ব্যবহারের জন্য তৈরি করেছে ।।এখানে বাড়িওয়ালা মেয়ে-মদ নিয়ে ফুর্তি করার জন্য আসতো । ফুর্তি খুব বেশিদিন কপালে সইলো না । একদিন এই বাড়িতেই ফুর্তিরত অবস্থায় হার্ট এটাকে মারা যায় । হজ্ব করে ফেরা একজন বেশ্যা-মদ আবৃত হয়ে মারা গেছে,ব্যাপারটা বেচারার পরিবারের জন্য অস্বস্তিকর ছিল । তাই সম্ভবত বাড়ির পরবর্তী মালিক-মালকিনরা লজ্জায় এদিকটা খুব একটা মাড়াত না । বাড়ি বহুদিন পরে ছিল খালি,তালায় জং ধরে গিয়েছিল,ভেতরে মাকরসার জালে ভর্তি,চারদিকে আগাছায় জঙ্গলময় । বাগান বাড়ি রূপান্তরিত হয়েছিল ভূতুড়ে বাড়িতে । এজন্যই সম্ভবত নামমাত্র ভাড়ায় ভাড়া দিয়েছিল । এখন সে বাড়ির আলপনা আঁকা মেঝেতে পরে আছে লাশটা । জখমটা হয়েছে ঘাড়ের কাছে । থেমে থেমে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে । রক্ত খয়েরি মেঝেকে লাল বর্ন দান করছে । ঘাড়ের কাছে কাটা অংশ থেকে থেমে থেমে ছিটকে রক্ত বেড়িয়ে আসছে । দেখতে ভালো লাগছে ব্যাপারটা । খাটের উপর পা ঘুটিয়ে বসে একজন মুগ্ধ হয়ে রক্ত বের হওয়ার দৃশ্য দেখছে । আচ্ছা শরীরে থাকা পুরো রক্ত বের হয়ে যেত কতক্ষন লাগবে ?
মানুষের শরীরে কতটুকু রক্ত থাকে ?
লাশটা কী করবে ?
লাশের ব্যাপারে অবশ্য ভাবনা চিন্তা করাই আছে । পাশের রুমে ১৫ টি ক্ষুদার্থ কুকুর অপেক্ষা করছে । শরীরে থাকা মাংসগুলো যাবে তাদের পেটে । একদিনে অবশ্য শেষ হবে না,যা বাকি থাকবে পলিথিনে মুড়ে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হবে পরবর্তীতে খাওয়ানোর জন্য । হাড়-গোড়,নারি-ভুরি আর হাঁসি মাখা মুখটা পুতে রাখা হবে পেছনে ঝুপঝাড়ের মত হয়ে উঠা বাগানে ........
__________________________________________
-এই যে.........
মেয়ে কন্ঠের ডাকে বই থেকে মুখ তুলে ঘুরে তাকালো পেছনের দিকে । আজকে রাতুলের ভার্সিটিতে প্রথম দিন । দুয়েকজনের সাথে হাই,হ্যালো হয়েছে বটে কারো সাথে সেভাবে পরিচয় হয়নি । সবাই এখন ব্যস্ত নবীনবরন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কনসার্ট নিয়ে । রাতুলও সেখানে ছিল কতক্ষন তবে ভালো না লাগায় চলে এসেছে । মুক্তমঞ্চের পাশের বেদিতে বসে বই পড়ছে । মেয়েটির সাজগোছ দেখে মনে হচ্ছে সে নিজেও নবীনবরন অনুষ্ঠানে এটেন্ড করতেই এসেছে । পরনে শাড়ি,মাথার খোপার মধ্যে অনেকগুলো ফুল । কাজী নজরুল কী এরকম কাউকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল,’মোর প্রিয়া হবে এসো রানী,খোপায় দেব তারার ফুল’
-আপনি কিছুটা অদ্ভুত সেটা জানেন ? সবাই যেখানে কনসার্টে নাচানাচি করছিল আপনি সেখানে দাঁড়িয়ে বই পড়ছিলেন । অ মাই গড! ভাবা যায় । আচ্ছা আপনি কী সব সময়েই এরকম না এটেনশন সিকের জন্য ভাব নিচ্ছেন ?
হড়বড় করে কথা বলে যাচ্ছে মেয়েটা । মেয়েটার চোখের মধ্যে এক ধরনের অন্য রকম চাঞ্চল্য আছে , ব্যাপারটা আসলে ভাষায় ঠিকঠাক প্রকাশ করা যাচ্ছে না । গোল গোল চোখ দুটির মধ্যে যে অপার্থিব সৌন্দর্য দেখা যাচ্ছে , সেটা কী কারো পক্ষে লেখায় ধারন সম্ভব ? জীবনানন্দ কী পারতেন ? তার বনলতা সেনের চোখ কী এর চেয়ে সুন্দর ছিল ?
-সুন্দরী মেয়ে দেখে তব্দা খেয়ে গেলেন নাকি ?
কোমড়ে দুই হাত দিয়ে মাথা ঝাকিয়ে শাসন করার ভঙ্গিতে বলল মেয়েটা । ভঙ্গি দেখে না হেসে পারলো না রাতুল । রাতুলের সাথে মেয়েটাও হেসে উঠলো । তবে হাসিটা রাতুলের মত নিঃশব্দে নয়,শব্দ করে হাসি ।
-আমি রাতুল
হাত বাড়িয়ে দিল মেয়েটির দিকে । বাঙালি মেয়েরা সচরাচর কারো সাথে হ্যান্ডশেকে আগ্রহী হয় না । কেউ হাত বাড়িয়ে দিলে নিজেদের শামুকের মত ঘুটিয়ে নেয় । অন্য কোনো মেয়ে হলে হয়তো রাতুল হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিত না । এই মেয়ে অন্য টিপিক্যাল বাঙালি মেয়েদের মত নয় সেটা এতক্ষনে বুঝে ফেলেছে রাতুল । তবে মেয়েটা হ্যান্ডশেক করলো নাহ । বাড়ানো হাত ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পাশে পাশে বসতে বসতে বলল
-হঠ! সেই কতক্ষন থেকে দাঁড়িয়ে আছি কোথায় বসতে বলবে, না! ইনি আয়মান সাদিকের মত হাসি হাসি পোজ দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে হ্যান্ডশেক করার জন্য । হাউ ফলিস !
______________________________
-এই বুদ্ধু! চায়ে কী সাহিত্য খুজছিস নাকি । চা খা ,তোর চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে
ধমকে উঠলো নীরা ।
-আচ্ছা,আমাদের প্রথম দেখার কথা মনে আছে তোর ?
এবার নীরা বড় বড় চোখ করে তাকালো রাতুলের দিকে । তারপর বলল
-অ আচ্ছা ,আমার হাবু বাবুটা এতক্ষন নস্টালজিক হয়ে অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করছিল ।
তারপরই মাথার পেছনে থাপ্পর লাগিয়ে বলল
-বুদ্ধু তাড়াতাড়ি চা খা । এই ইন্টারভিউ মিস করলে তোর আর চাকরি করা হবে না
-আর খাব না । রিক্সা ডাক.........
রিক্সায় উঠে নীরা বলল
-বুদ্ধু,বলতো তোর চাকরিটা হয়ে গেলে আমরা কী করবো ?
-জানিনা
-তোর চাকরি হয়ে গেলে আমরা একটা বাড়ি ভাড়া নেব । তবে এখানে না,গাজীপুর থেকে একটু বাইরে গ্রামের দিকে-ফার ফ্রম মেডিং ক্রাউড
পাশ করার পরপরই নীরা চাকরি পেয়েছে । রাতুলের ব্যাপার সম্পুর্ন উল্টো । এই দেড় বছরে দশের অধিক ইন্টারভিউ দিয়েছে । চাকরির দেখা এখনো পায়নি ।
-বাবা ফোন দিয়েছিল । তোর কথা জিজ্ঞেস করলো......
-কী বললো?
-কী আর বলবে । বলল জামাই কোথায় ? বললাম ,বুদ্ধু টয়লেটের কমোডে বসে বই পড়ে । তারপর বলল,শোন মা ! জামাইকে এভাবে সম্বোধন করতে নেই ।
রাতুল হেসে বলল,তারপর তুই কী বললি ?
-আমি আর কী বলবো । বললাম,আমি তো ওকে বিয়ে করিনি । বারবার জামাই-জামাই করছো কেন ? শুনে খটাস করে ফোন রেখে দিল
নীরার মুখে হাসি । ব্যাপারটা সত্য,নীরা-রাতুল প্রচলিত আইন মেনে বিয়ে করেনি । আসলে ওরা প্রচলিত-অপ্রচলিত-ধর্মীয় কোনো ধরনের আইন মেনেই বিয়ে করেনি । ব্যাপারটা নীরার বাবা মেনে নিতে পারেনি । উনি আত্মীয়-স্বজন ডেকে নীরাকে ত্যাজ্য ঘোষনা করেছেন । নীরা বাবার একমাত্র মেয়ে । সে কারনেই হয়তো ভদ্রলোক নিজের রাগ বেশিদিন পুষে রাখতে পারেন নি । এখন মাঝে মাঝেই নীরাকে ফোন করেন । নীরার বাবা ফোন করলেই নীরা বাবাকে রাগিয়ে দিয়ে মজা পায় । রাগের এক পর্যায়ে ভদ্রলোক ফোন রেখে দেন । দীর্ঘদিন পর আবার ফোন দেন,আবারো সে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ।
-তোর কী মনে হচ্ছে ,এবার কী চাকরি হবে ?
-বাবা তো সেরকমই বলল । আর বাদ দে,হলে হবে না হলে নাই । আমার তো চাকরি আছে । তবে চাকরি হলে আরেকটা সুখবর পাবি , না হলেও অবশ্য পাবি । তবে চাকরি হলে ভালো । দুই খুশি একবারে সেলিব্রেট করবো
রাতুল ভাইবা দিয়ে বের হয়েছে । চাকরি হবে মনে হচ্ছে । ভাইবা বোর্ডে তাকেই কিছুই জিজ্ঞেস করেনি । কোম্পানির মালিক নীরার বাবার পরিচিত । রাতুলকে ডেকে নিয়ে অফিসে বসিয়ে নীরার বাবা উনাকে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন তার ফিরিস্তি শোনালো ।
-আপনার শ্বশুর না থাকলে তো আমার কোম্পানিই হতো না । আপনার শ্বশুর তো আমার কাছে দেবতার মত । তার জামাইকে সামান্য একটা চাকরি দিতে পারবো না সেটা কী হয়
স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে,এই চাকরি পাওয়ার পেছনের মূল কারন নীরার বাবা । অন্য সময় হলে হয়তো চাকরিটা রাতুল নিত না । তবে এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন । নীরা গাজীপুরের এই কোলাহল ছেড়ে গ্রামের দিকে বাড়ি নিতে চায় । তবে সেটা নীরার একার চাকরির বেতন দিয়ে সম্ভব না ।
-কী রে । গুম হয়ে বসে আছিস কেন ? বাবার লবিং-এ চাকরি পাবি এজন্য মন খারাপ ?
-বাদ দে । কী জানি সুখবর দিবি ,সেটা বল ।
-তোর পুরোনো কয়েকটা প্রেমিকার নাম বল
-আমার পুরোনো প্রেমিকা নাই
-নাই কে বলল । ঐ যে তুই ছোট সময় যার সাথে বর-বউ খেলতি,তারপর তোর আব্বাকে গিয়ে একদিন বললি,আব্বা আমি বিয়ে করে ফেলেছি । ঐ মেয়ের নাম কী ছিল ?
-শ্রেয়া । ওর নাম দিয়ে কী করবি ?
-আমাদের একটা মেয়ে হবে ,তার নাম দিব শ্রেয়া ।
বলেই জিভে কামড় দিল ।
-যা শালার,বলেই ফেললাম ।
বলেই জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখলো নীরা । এই নীরা অন্য নীরা,সব সময়ের দুষ্টো-ডানপিঠে নীরা নয় । সব মেয়ের মধ্যেই কী কনসিভ করার পর এমন পরিবর্তন আসে ?
-আচ্ছা বলতো এখন আমরা কোথায় যাচ্ছি ? হা করে তাকিয়ে আছিস কেন ? আমরা আমাদের নতুন বাড়ি দেখতে যাচ্ছি । তোকে বলিনি ? শিট বাল! মনে ছিল না । আচ্ছা শোন,আমি গাজীপুরের বাইরে একটা বাড়ি দেখেছি । দেখেছি মানে ভাড়া নিয়েও ফেলেছে । আমরা পরশু সেখানে উঠছি । তোর পছন্দ হবে,বাগান বাড়ি টাইপ ।
গল্পটা এভাবে চলতে পারত । নাটকীয়তা ছাড়া কোনো গল্প সম্পূর্ন হতে পারে না । নীরা-রাতুলের জীবনেও সে নাটকীয়তা আসলো খুবই শীঘ্রই । না ঠিক নীরা না,রাতুলই গল্পে নাটকীয়তা নিয়ে আসলো । এক পূর্নিমা রাতে বারান্দায় বসে সিদ্ধার্থ পড়তে পড়তে রাতুলের মধ্যেও ভবঘুরে হওয়ার নেশা চাপলো । প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই ভবঘুরে হওয়ার বীজ সুপ্ত থাকে । কারো কারো মধ্যে থাকা ভবঘুরে হওয়ার বীজ পূর্নিমা রাত্রে ডালপালা মেলে দেয় । তারা জীবননানন্দের কবিতার পঙক্তি
‘ যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ।
বধু শুয়ে ছিল পাশে—শিশুটিও ছিল;
প্রেম ছিল, আশা ছিল—জ্যোৎস্নায়— ‘
পাঠ করতে করতে জোছনায় বের হয়ে যায় । কেউ হয়তো কখনো ফিরে আসে ,কেউ যায় লাশকাটা ঘরে । রাতুল তাদের একজন হয়ে নীরাকে কিছুই না জানিয়ে ঘুমন্ত নীরাকে একবার দেখে বের হয়ে গেল জোছনায়.........
____________________________________________
রাতুল দরজায় কয়েকবার কড়া নাড়ল । সবকিছু সেই আগের মতই আছে , আট মাসে মনে হচ্ছে পরিবর্তন হয়নি কিছুরই । টবগুলোতে লাগানো গোলাপ গাছে ফুল ফুটেছে । আচ্ছা নীরা তার আটমাস পর ফিরে আসাটা কীভাবে দেখবে ? দরজা খুলে গেল । ভেতর থেকে নীরা বলল,ভেতরে আয় ...
নীরাকে দেখে বুঝার উপায় নেই রাতুলের ফিরে আসাটাকে কীভাবে নিয়েছে । অনুভূতিহীন মুখায়ব ।
-হঠাৎ করে .........
কথা শেষ করতে দিলনা নীরা । এর মাঝেই বলে উঠল
-আমি জানতাম তুই ফিরে আসবি
-তুই আগের থেকে রোগাটে হয়ে গেছিস
-কী করবো বল । তুই চলে যাওয়ার পর সব কিছু একাই করতে হয়েছে । নিজের কথা ,শ্রেয়ার কথা ভাবতে হয়েছে । অতিরিক্ত টেনশন-চাপের কারনেই হয়তো অসুস্থ হয়ে পরলাম । একদিন অফিস থেকে ফেরার সময় চলন্ত রিক্সা রিক্সা থেকে পরে গেলাম । অনেক দিন হাসপাতালে থাকতে হল । আমার মেয়ে শ্রেয়া পৃথিবীতে আসার আগেই বিদায় নিল ...
নীরা রাতুলকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না শুরু করলো । কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলতে লাগলো
-তুই থাকলে আমার এত টেনশন করা লাগতো না । চাকরিও হয়তো ছেড়ে দিতাম ,আমাদের শ্রেয়াকে পৃথিবীতে আসার আগেই বিদায় নিতে হতো না ।
রাজ্যের অপরাধবোদ এসে হঠাৎ জড়িয়ে ধরল রাতুলকে । নিজেকে অপরাধী মনে হতে লাগলো । মনে হল তার সারা গায়ে লেপ্টে আছে নিজের অনাগত সন্তান হত্যার ছাপ । এর মধ্যে নীরা বলে যেত লাগলো
-হাসপাতাল থেকে বাবা নিয়ে যেতে চেয়েছিল । যাইনি । কেন যাইনি জানিস ? জানতাম একদিন তুই ফিরে আসবিই । সন্তান হত্যার দায় তুকে চুকাতেই হবে
এই প্রথম বার রাতুলের মনে হল নীরা অস্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে । দুহাতে ধরে নীরাকে সামনে নিয়ে আসলো রাতুল । ভালো করে তাকিয়ে চমকে উঠলো রাতুল । নীরার সারা শরীরেই ফ্যাকাশে একটা আভা ,অনেকদিন যাবৎ কেউ আলো-বাতাসহীন কোথাও আটকে থাকলেই এরকম হয় । নীরা ভয়ংকর অসুস্থ টের পেল রাতুল । রাতুলের হাত দুটি সবেগে সরিয়ে দিল নীরা । তারপর দাতে দাত চেপে বলতে শুরু করলো
-আমি এখানে কী করেছি জানিস । অনেক ভেবে চিনতে তোকে কী শাস্তি দিব বের করেছি
রাতুল শান্ত স্বরে বলল
-নীরা তুই অসুস্থ ,ভয়ংকর অসুস্থ । চল তোকে আমি সাইকিস্টের কাছে নিয়ে যাব । এবং কথা দিচ্ছি,আর কখনো তোকে রেখে কোথাও যাব না
ততক্ষনে নীরা হাতে তুলে নিয়েছে বটি । বটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে,দীর্ঘ দিন যাবৎ কেউ এটাকে দাড়ালো করছে । চকচকে দাড়ালো বটি হাতে নীরা রাতুলের দিকে এগিয়ে আসছে । রাতুল এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নীরার দিকে.........
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮