২০২০ সালে জানুয়ারীর ১৬ তারিখ গিয়েছিলাম পিকনিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। আমাদের প্রোগ্রাম শুরুর আগে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে দেয়া হয়েছিল। আমরা জালালাবাদ সিলেট কল্যাণ সমিতির সদস্যগণ চিড়িয়াখানায় একসাথে ঘুরেছি। অনেকেই কিছু হেঁটে আর পারেন নি। ফাঁকা বেঞ্চে বসে পড়েছিলেন। আমরা গুটা কয়েকজন সারা চিড়িয়াখানা ঘুরেছি। এই নিয়ে দুই তিনবার চিড়িয়াখানায় গিয়েছি। চিড়িয়াখানার পশুপাখি আগের চেয়ে কম। মানুষও কম সেখানে এখন।
হাতে ক্যামেরা কাঁধে ব্যাগ আসলেই কষ্টের জায়গা চিড়িয়াখানা। আলাদা আলাদা খাঁচা.... এখানে বাঘ অইখানে হাতি ইশ, বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। তাছাড়া ছবি তুলতে বেশ কষ্ট। খাঁচার ফাঁক ফোঁকরে ক্যামেরা ল্যান্স ঠেকিয়ে ছবি তুলেছি। কিছু ভালো আসছে কিছু মন্দ।
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা মিরপুরে। কিন্তু চিড়িয়াখানার ভিতরের অবস্থা জরাজীর্ণ। বাঘগুলো মরা মরা। অন্যান্য পশু পাখিও কম কম। যত্ন নেয়া হয় কম মনে হয়। আরেকটু যত্ন নিলে মানুষের বারবার যেতে ইচ্ছে করতো।
০২। এই চিড়িয়াখানা নাকি তৎকালীন নবাবরা ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা হিসেবে গড়ে তুলেন (উইকিপিডিয়া লিখা আছে) । পরবর্তীতে পঞ্চাশ সালের আগে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ঈদগাহ এলাকায় চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। এর ভিতরে নাকি একটা পুকুরও করা হইছিল। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস ছিল পাখি ছিল হাড়গিলা সারস ময়ূরও ছিল তখন।
০৩। এখনও ইমু পাখি, ময়ূর আছে। আছে অনেক অনেক হরিণ, আছে গন্ডার, জলহস্তি আর আছে বাগ, সিংহ দেখি নাই। জেব্রা আছে, একটা ঝিল আছে তাতে আছে শাপলা। আর সেই জলে আছে পেলিক্যান হাঁস।
আমার তো ঘুরতে ভালো লাগে। অন্যান্যরা বেশী মজা পান নাই। আমি পেয়েছি। পশুগুলোর ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে পেরেছি।
০৪। ঝিলের জলে শাপলা হাসে রঙিন তাহার ঠোঁট
মৌমাছিলা এসে দেখি মধু করছে লোট
দাও না বন্ধু খোঁপায় গিঁথে, শাপলা ফুলের মালা,
দাও সাজিয়ে শাপলা ফুলে আমার মনের ডালা।
০৫। হরিণ শাবক। কী যেন খাচ্ছে বাচ্চাটা
০৬। ভয়ংকর প্রাণিটি খেয়ে দেয়ে আরামে ঘুম পাড়ছে। ইচ্ছে করতেছিল একটা ঢিল মেরে জাগিয়ে দেই।
০৭। দাঁদগুলো দেখলেই বুঝা যায় সে কত ভয়ঙ্কর । কিছু মানুষের মতন।
০৮। আমাদের ক্রিকেট টিমের একজন। মন বেজার নায়িকা কাছে নেই তাই। উনার বউয়ের নাম মনে হয় শিউলী। লিখা দেখছিলাম।
০৯। আমাদের নীল পরী রাণী। উনি যখন পেখম মেলেন আমরা মুগ্ধ হই।
১০। হাজার রঙ উনার পুচ্ছতে থাকে। মহা ভাগ্যবতী ভাগ্যবতা এরা সবাই এরারে দেইখা মুগ্ধ হয়। আমিও হই।
১১। ঝিলের জলে ভাসছে শাপলা
১২। এই প্যালিক্যান পাখি। এদের যে বড় হা বাপরে........ কিছু ঘুষখোর টেন্ডারবাজদের মতন, সব যেন খেয়ে ফেলতে চায়।
১৩। ইহা একটি গরু। কোন প্রজাতির গরু জানি না। তবে বেশ তরতাজা।
১৪। ইহাকেও চিনি না। ছাগল না গরু কে জানে
১৫। আমাদের লম্বা গলার জিরাপ বেডি। .,....... গলা বাড়াইয়া এরাও কী চিল্লায়
১৬। জেব্রা। রাস্তার রঙ মনে করে উনার উপর দিয়ে হেঁটে যাবেনা সাবধান
১৭। তরতাজা ঘোড়া। ইহার পিঠে চড়া যাবে কী। উঠতে মন চায় । টগবগ করে দৌঁড়াইয়া রাজকন্যারে ভাগাইয়া নিয়া আসতাম
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭