©কাজী ফাতেমা ছবি
কষ্টের তীব্রতা কী, সে আমি জেনেছি পোয়াতি মায়ের নিকটে থেকে
আহারে কষ্ট, ব্যথায় কুঁকড়ে যেতে যেতে মায়ের হাত পা যায় বেঁকে।
ব্যথার ঝাঁকুনি'তে মা দুলে উঠে, চোখ বেয়ে অশ্রু কপোলে গড়ায়
মা ছাড়া কে আছে এমন ব্যথা সহ্য করে অবলীলায়-ধরায়?
ছটফটানি এমন, মা যেনো ঘুর্নিপাকে ঘোরে বিছানায়
আসছে নতুন প্রাণ উড়ে উড়ে-আসছে সে অদৃশ্য ডানায়।
হাত পা ছুঁড়ে মা ব্যথায় অস্থির,
তখনো দখল নিয়ে আছে অতিথি পেটের ছোট নীড়।
মায়ের গা থেকে টপটপ ঘাম পড়ে বেয়ে,
মা যায় কষ্টের ঘামে নেয়ে।
যে সয় সে বুঝে,তীক্ষ্ণ কষ্টের দলা গলা পাকিয়ে আসে বেরিয়ে
পুরুষ'রা হাসিমুখে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে, কষ্টানুভব যায় এড়িয়ে।
যে সন্তানের মুখ দেখার লাগি, মায়েরা জীবন কুরবানে করে না দ্বিধা
একদিন সেই সন্তান মাকে ছেড়ে দূরে যেতে জানায় আলবিদা!
বৃদ্ধাশ্রমের সিঁড়ি বেয়ে কোন মায়ের চোখে মাকড়শা বুনে জাল
সেই মাকে ছেড়ে সন্তান দিন কাটায় উচ্ছ্বাসে-
মায়েরা হারায় জীবনের তাল।
সন্তানের মুখ দেখে যে মা ভুলে যায়-
ঠিক এক্ষুনি তার মাথায় ভেঙ্গে পড়েছিলো ব্যথার পাহাড়-
পাহাড় সরিয়ে সে সন্তান আসে........
সন্তানের মুখ দেখে চুয়ে পড়ে মায়ের মুখে আনন্দের বাহার।
কত যত্নআত্তি, পেটে নিয়ে শত সেলাই আর ছেঁড়া কাঁটা জঠর
বুকে জড়িয়ে মা রাখে তার সন্তান, স্বপ্ন দেখে মা
তার সন্তান হবে ইঞ্জিনিয়ার পাইলট কিংবা ডক্টর।
কত আশা বুকে নিয়ে যে সন্তান হতে থাকে বড়
যে সন্তান পেটে নিয়ে মা কাঁপছিলো ব্যথায় থরথরো.....
সেই সন্তানে যদি দেয় সে মায়েরে অথৈ কষ্ট
তার জীবন হবে না সুখের, নষ্ট জীবন তার, মানুষ সে নষ্ট।
October 17, 2018 at 11:52 PM
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬