©কাজী ফাতেমা ছবি
উড়ুক পতপত করে পতাকা নীলের প্রান্ত ছুঁয়ে,
বিজয়োল্লাসে মাতুক হাওয়া,
উড়ুক ডানা মেলে পাখি মাথার উপর হয়ে ঘূর্ণ।
আমি বিজয়ের গান গাই হেরে গলা ছেড়ে দিয়ে
এইতো আমার স্বাধীনতা, এইতো আমার বিজয়,
বায়ান্ন দিলো ভাষার স্বাধীনতা
আমি সুর তুলে গাই জারিসারি ভাটিয়ালি
পল্লীগীতি, বাংলায় ছড়া গান...
আর একাত্তর দিয়েছে আমায় বিশ্বের বুকে এক খন্ড স্বাধীন মানচিত্র!
বাঙলার আকাশ, স্বাধীনতার আকাশ
এখানে সূর্য উঠে রক্ত রঙে ঠিক সবুজের ফাঁকে
সূর্য ডুবে যায় টুপ করে স্বাধীনতায় ফের সবুজ পাতার ফাঁক গলে।
ভালোবাসি বিজয়ের পতাকা, ভালোবাসি আমার ঐ মুক্ত আকাশ,
যেখানে সূর্য ছুঁয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় আমার
লাল সবুজ চির বিজয়ের পতাকা।
সবুজ পাতার মধ্যিখানে, ফুল ফুটেছে রঙে
পতাকার রঙ গায়ে মেখে, হেসে উঠে ঢঙে,
বিজয়ের রঙ উড়ছে হাওয়ায়, বিজয় দিবস কাল কী?
বউ পরেছে বেনারসী, লাল সবুজের পালকি!
পালকী চড়ে বিজয় কন্যা, এসে দাঁড়ায় থমকে
খুশির হাওয়া চারিদিকে, বাঙালি যায় চমকে!
দূর্বাঘাসে পা ফেলে চুপ, গাঁয়ের পথে আগায়
বিজয় কন্যা মনে সবার, নতুন আশা জাগায়।
রূপ বদলে সে বিজয় কন্যা, পতাকা রঙ মাখে
রক্ত রঙের ফুল হয়ে সে, ফুটে পাতার ফাঁকে।
একাত্তরের গাঁয়ের পথে, বিজয় যখন আসে
লাল সবুজের পোষাক পরে, পতাকাটা হাসে।
কতটা পথ হাঁটল বিজয়, স্বাধীনতার সুখে
ষোল ডিসেম্বর এলেই যেনো, সুখানন্দ বুকে।
বউয়ের বয়স সাতচল্লিশ হয়, সন্তান ষোল কোটি
ইচ্ছে লাগে এখনো সেই, পালকি ছুঁতে উঠি!
উড়াই হাওয়ায় স্বাধীনতায়, লাল সবুজ পতাকা
দেশটি আমার লাখ শহীদের রক্ত রঙে আঁকা!
শান্তির পায়রা ওড়ছে নীলে, স্বাধীনতার ডানায়
বিজয় দিনে হারাতে চাই, আমি দূর অজানায়।
সবুজ বুকে লেপ্টে আছে, সব শহীদের রক্ত
সেই ঊনি'শ একাত্তরে, দেশ হয় শত্রু মুক্ত।
দেশ'কে মুক্ত করতে সেদিন, প্রাণ দিয়েছেন যারা
তারাই সেদিন রুয়েছিলেন, দেশ স্বাধীনের চারা!
স্মরণ করি তাদের শ্রদ্ধায়, থাকেন যেনো ভালো
শান্তি যেনো পান কবরে, কালো নয় থাক্ আলো।
#বিজয় কন্যার হাসি, আমরা ভালোবাসি।
ডিসেম্বর মধ্য বয়সে আসলেই বিজয় কন্যার আড়ম্বরপুর্ণ সাজগুজ শুরু,
আহা শহর জুড়ে বিজয় কন্যা রঙধনু রঙ বেনারসীতে সেজে দাপিয়ে বেড়ায়,
চোখ ধাঁধিয়ে দেয়া রূপ দেখে মানুষ চমকে যায় আর বুকের বামে হাত রেখে খুঁজে স্বস্তি।
বিজয় কন্যার চোখে রঙবাহারী আলোর রাঙা মেকাপ,
চুলে তার বাঁধা লাল সবুজ ফিতেয়, চুল ওড়ে হেমন্তের হাওয়ায়,
হেমন্ত শেষ প্রান্তে আসলেই বিজয় কন্যা নড়ে চড়ে উঠে, আর শুরু হয় তার সাজগুজ।
মিঠে হাওয়ার সন্ধ্যায় বিজয় কন্যা হেসে উঠে খিলখিলিয়ে,
তার হাসির ঝলকে হারার তারার বাতি উঠে ঝিলমিলিয়ে।
সন্ধে হলেই বিজয় কন্যা হাওয়ার তালে নেচে উঠে, পুরো শহর জুড়ে চলে তার নৃত্য কলা;
আর স্বাধীন মানুষগুলো বিজয় কন্যার চোখে চোখ রেখে হয় আবেগে আপ্লুত,
মন সঁপে দিয়ে মানুষ সমস্বরে গেয়ে উঠে "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি"
সে সুর শুনে বিজয় কন্যা চোখ বুঁজে নিভে গিয়ে জ্বলে উঠে মানুষকে জানায় শ্রদ্ধা...
বিজয় কন্যা গেয়ে উঠে " জয় বাংলা, বাংলার জয়"
আহা কত মধু জড়ানো সে সুর, আমি আমরা ভালোবেসে ফেলি বিজয় কন্যাকে।
আমরা ঠিক তখনই লাল সবুজের পতাকা আকাশে উড়িয়ে গেয়ে যাই কোরাস গান....
বিজয় কন্যার হাসি আমরা ভালোবাসি।
বিজয়ের রঙ গায়ে মেখে, স্বাধীনতায় উড়বে
মানুষগুলো শহর জুড়ে, আনন্দেতে ঘুরবে,
বিজয় দিবস এলে শুনি, বঙ্গবন্ধুর ভাষন
কিন্তু দেশে খুব নৈরাজ্য, চলতেছে দুঃশাসন।
বিজয় কান্দে দুর্নীতিতে, বিজয় জরাজীর্ণ
বিজয় যেনো কুঁজো বুড়ো, বিজয়ের গা শীর্ণ!
বিজয় বন্দি শক্তির জালে, বিজয়ের চোখ অন্ধ
বিজয় দিল স্বাধীনতা, তবু কত দ্বন্দ্ব।
#বিজয়ের হাসি
শহর আজ আলোয় আলোয় আলোকিত,
রঙ ছড়ানো শহরের এককোণে আকাশটাও
রক্ত রঙে সেজে হেসে উঠে নিদ্বির্ধায়!
বিজয়ের রঙ মেখে আকাশ সেজেছে,
কী যে স্নিগ্ধ এক প্রহর আহা,
মুগ্ধ চোখ ডুবে যায় আকাশ ডহরে।
এই যে সূর্য ডুবে গেলেও আকাশ হাসছে
ঠোঁটে তার বিজয়ের রঙ!
একদিন এখানেও রক্ত ঝরেছিলো,
হিংস্র হায়েনারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো নিরীহ মানুষের উপর,
দূর্বাঘাস হয়েছিলো রক্তে লাল,
আকাশটা কেঁদেছিলো, আকাশের চোখে ছিলো রক্ত অশ্রু,
সেদিন এখানে নিস্তব্ধ থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিলো...
রাতের আঁধারেও মানুষ বাতি নেভা ঘরে চুপচাপ
কান পেতে শুনতে উৎসুক ছিলো বিজয়ের ধ্বনি,
সেদিন মানুষ একটি স্বাধীন পতাকা ওড়াবে বলে
গুনেছিলো অপেক্ষায় অগনিত প্রহর!
এলোমেলো পোস্টের জন্য সরি
মোবাইলে পোস্ট খুবই কষ্টকর
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৯