©কাজী ফাতেমা ছবি
মেধাশূন্য করতে দেশের, মানুষ করে হত্যা
লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে, তারাই অগত্যা,
বর্বর পশু পাক বাহিনী, মানুষ মেরে হাসে
জয়ের দুদিন আগে লাগে, মানুষ মারার চাষে!
স্তুপে স্তুপে মানুষ মেরে, হেথায় সেথায় রাখে
সেই দিনটি আজ করে সম্মান, মানুষ লাখে লাখে!
বাংলাদেশের সূর্য সন্তান, মারলো নির্বিচারে
তার দুদিন পরেই বিজয়, বাজলো হাওয়ার তারে।
মানবাধিকার কই ছিল, কোথায় জাতিসঙ্গ
কালোছায়া রক্তের হুলি, বিভিষিকা বঙ্গ!
বিজয় যখন চরম পর্যায়, রাজাকার পাক বাহিনী
করলো শুরু হতাযজ্ঞ, করুণ এ কাহিনী।
শিক্ষাবিদ কবি সাহিত্যিক, পেলো না হায় কদর
পাকদের সাথে ছিলো ঐ আল শামস্ আল বদর।
মারলো তারা প্রকৌশলী, চিকিৎসকও মারলো
অসহায় জনগণ যারা, তাদেরকেও না ছাড়লো।
চক্ষু বেঁধে নিলো তাদের বাড়ি থেকে টেনে
নির্মম পীড়ন দিয়ে মারলো, কী করে নেই মেনে!
শত্রু চক্র পারলো বুঝতে, যাবে শেষে হেরে
তাইতো জাতির সন্তান মেরে, রাখলো ধূলোয় গেঁড়ে।
জাতিকে হায় করতে পঙ্গু, বর্বর কান্ড করলো
রাত আঁধারের হত্যাকান্ডে, হাজার প্রাণ যে ঝরলো।
স্তব্ধ হলো বাঙলার মানুষ, স্তব্ধ হলো বিশ্ব
একটি রাতে শ' পরিবার, হয়ে গেলো নিঃস্ব!
রক্তে ভিজলো বাঙলার মাটি, রক্তিম রঙ নীলাম্বর,
ভুলবো নাকো আমরা কভু, সেই চৌদ্দ ডিসেম্বর।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২