শুনো শুনো বন্ধু তোমরা
শুনো রে দিয়া মন
লিটন ভাইয়ার এক কাহিনী
করিবো গো বর্ণন!
ভুলা ভালা চেহারা তার
গিয়াস উদ্দিন নাম
উল্টা পাল্টা খাবার খাওন
শুনেছি তার কাম।
শুনেন তবে কি হয়েছে
লিটন ভাইয়ার ব্রেকফাস্ট
রুটি ভাজি খাওয়ার অভ্যাস
ছিলো অবশ্য মাস্ট ।
গাপুস গুপুস খেতে ভাইয়া
পছন্দ যে ভারী
দেরী হলে খাবার খাওন
ভাবীরে দেয় জারি।
একদিন সকালে কি হলো
কি যে বলি ভাইবোন
মনে হইলে সেই কথাটা
হেসে হেসে হই খুন।
খুব প্রভাতে খাইতে বসল
গিয়াস উদ্দিন ভাইয়া
আচম্বিতে দোরে কে-রে
কড়া নাড়ে যাইয়া।
রুটি ভাজি রেখে ভাইয়া
যেইনা দুয়ার খুলল
প্লেটে কি আছে কি নাই
সকল কিছুই ভুলল।
বন্ধুর কাছে বসে বসে
গল্পে আড্ডায় মশগুল
রুটিতে চোখ না রেখেই
মুখে পুড়ে খায় গুল।
-কাহিনী........
ভাইয়া যখন দুয়ার খুলতে
নাস্তা রেখে উঠল
সেই সুযোগ ইন্দুর একটা
রুটির ভিতর ঢুকল।
গল্পে মত্ত লিটন ভাইয়া
তৃপ্তিতে খায় রুটি
আরাম করে চিবিয়ে হায়
হেসেই কুটি কুটি।
বন্ধু বলে লিটন রে তুই
কি খেয়েছিস রে ভাই
রক্ত কেনো মুখের পরে
ওরে বাপরে ডরাই!
খেয়াল করে দেখে ভাইয়া
রুটির ভিতর ইঁদুর
মাথা তাহার পেটের ভিতর
আহ্ বেদনা বিদুর।
রাক্ষস কোক্ষস লিটন ভাইয়া
ঘেন্না তার ছিলো না
কিন্তু বন্ধুর পেট উথলিয়ে
বমি বন্ধ হলো না।
ওরে মারে খেতে বসলে
ভাসে একি দৃশ্য
ইন্দুর খাওয়া গিয়াস ভাইয়া
খাওয়ায় করলো নি:স্ব।
আমার দোষ নাই রে ভাইয়া
কাহিনীতো সত্য
ইন্দুর ধরে পার্সেল করুম
ইহাই হোক আপনার পথ্য।
(মাত্রা গুনলে হপে না... খেলুম না )
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫