আসলে কি হয়েছে মোদ্দাকথা পিসি থেকে ছবিগুলো ডিলিট করে দিব। আহারে কত সময় ব্যয় করে ছবিগুলো তুলেছি। তাই আর কি এখানে রেখে দেই-কারো ভাল লাগলে তো এক্সট্রা পাওনা। শরত চলে যাচ্ছে-হেমন্ত আসতেছে। এমন আকাশ পেতে আরো এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। আকাশ আমার চিরজন্মের ভালবাসা। আকাশের রঙ পাল্টানো ভাল লাগে। আকাশের মতই মানুষ রঙ পাল্টায়। ঋতু ভেদে আকাশের রঙ হয় ভিন্ন। সব আকাশই ভাল লাগে । তবে ছাই রঙা আকাশ মনটাকে বিষন্ন করে তুলে। তখন কোথায় বেড়াতে গেলে বা প্রকৃতির ছবি তুলতে গেলে দেখা যায় পুরো ছবিটাই নষ্ট শুধু ঐ আকাশ বেটার কারণে। কারণ সে রঙ ধরেছে ফ্যাকাশে বিবর্ণ তাই । তাই ভাল লাগার আকাশকে ধরে রাখা এই আরকি তো শুরু হয়ে যাক দেখাদেখির পালা-
১। আচ্ছা মেঘ তুমি এত ব্যস্ত থাকো কেনো? আকাশে কিসের চাষ করছো শুনি। হাল বাইছো নাকি নীলের? গতকাল তো আঁধার করে দিয়েছিলে আমার মনের আকাশটা। ওমা কি বিভৎস অন্ধকার নেমে এসেছিল কাল সকালটাতে।
২। তুমি তখন সারা আকাশজুড়ে মুখ কালো করে নিশ্চুপ। আর আমি মেঘের নিচেই মুগ্ধতা নিয়ে হাঁটছিলাম। এলোমেলো হাওয়া খুব ভাল্লাগছিল হাঁটতে, ভেবেছিলাম এখনি নামবে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। কিন্তু না তুমি তো গলে পড়ো নি... আমি অবাক হয়ে ভেবেছি তুমি শুধু আমার জন্যই বুঝি আকাশে ঝুলে আছো... এই ভাদ্রের গরমে মাথায় শীতল ছায়া হিসাবে!
৩। মেঘ তুমি ঐ আকাশজুড়ে
ঝুলে থাক আমার জন্য
মাথার উপর ছায়া তুমি
তোমার জন্য জীবন ধন্য।
৪। কভু কালো কভু সাদা
মেঘের ছোঁয়ায় মুগ্ধ আমি
তাইতো বলি নীল আকাশটা
আমার কাছে খুব যে দামী।
৫। আহা দেখো দেখো গোধূলিয়া বেলা । কি যে ভাল লাগা এ প্রহর। পাখিরা নীড়ে ফিরছে সাথে আমিও ফিরব। লালাভার সাথে মাখামাখি তুমি লাল আকামের মেঘ ব্ড্ড ভালবাসি মেঘ বড্ড ভালবাসি
তুমি শরত তুমি বৈশাখ
মেঘের পরে মেঘের বাড়ি
আকাশটাতে থাকো গো মেঘ
আসো না তাই দিব আড়ি।
৬। নেমে এসো রোদের বাড়ি
উঠোনজুড়ে শীতলপাটি
বসবে তুমি আরাম করে
ছোঁয়া দিবে ভেজা মাটি!
৭। মেঘের জন্য হাওয়াই মিঠাই
রাখছি দেখো বয়াম ভরে
ও মেঘ তুমি খেয়ে দেখো
সুখ আসবে যে মনের ঘরে।
৮। কি নিয়ে ব্যস্ত তুমি আজকাল কে জানে! পিছু ফিরে তাকানোর টাইম নেই তো তাই না? এতটা অবহেলা না করলেও পারো। আবারও মুগ্ধ হতে শিখতে পারো। আকাশ দেখো তবে মুগ্ধ হও মেঘ মুগ্ধ হতে শিখো..
৯। সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এলো....... সকল সময়ের আকাশেই আমার মুগ্ধতা। দেখো মেঘ কিভাবে তোমায় ধরে রাখছি ক্লিকে ক্লিকে হাহাহা
তোমাকে আর মুগ্ধ হতে দেখি না কেনো? তুমি কি সব ভুলে গেছো.... অতীতের নানা রঙের দিনগুলির কথা। কত না উচ্ছ্বাসে ভরা ছিল আমাদের দুই একটা ক্ষণ। কি সুন্দর সাজিয়ে কথা বলতে মেঘ তুমি।
১০। মেঘ দেখো ওরা আমার আকাশটা ঢেকে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। আমি এই মধ্যাহ্নে উঠেছিলাম নিশ্চিন্তে আকাশ দেখব আর ওরা ঘাম ধুলায় ঝরিয়ে বোনে যাচ্ছে আকাশ স্বপ্ন-কতটা অসহায় আমি আজ-তুমি দেখতে পাচ্ছো মেঘ।
তুমি কি রাগ করলে?
হঠাৎ যদি ঝরে পড়ো চোখের পাতায়। কি যে হবে তখন আমার সে আমি জানি নে। অবশ্যই ভাল লাগার ক্ষণ হবে সেটা। মেঘ তুমি তাহলে বৃষ্টিই হয়ে যাও..... এমন কালো মুখ গোমরা করে রাখা ভাল্লাগে না।
১১। নীলের মাঝে তুমি কালো মেঘ.... সে মানায় না যে। কই শরতের আকাশে পরতে পরতে ছড়াবে শুভ্রতা সেখানে মুখ কালো করা মেঘেদের দল উৎ পেতে বসে আছে মন খারাপের কারণ হিসাবে।
১২। মেঘ তুমি বৃষ্টি হয়ে যাও
গলে গলে পড়ো
চোখে পড় ঠোঁটে পড়ো
হঠাৎ ঝরোঝরো।
১৩। কালো মেঘের মাঝে তুমি
লুকাও অনায়াসে
সময় আমার কাটে হায়রে
খুব কষ্ট আয়াসে।
১৪। মেঘের ছোঁয়া চায় যে রোদ্দুর
মনটা শীতল করতে
রোদ্দুর চায় একবার হলেও
মেঘের হাতটা ধরতে!
১৫। ভালবাসে না মেঘ রাজায়
রোদ্দুর রাখে দূরে
রোদ্দুর থাকে দিবারাতি
অলীক মেঘের ঘোরে।
১৬। ঘুমের ঘোরে কখনো প্রলাপ বকলে আমার নামটাই বকো। আশেপাশের সবাই জানুক মেঘরোদ্দুরের ভালবাসা অথচ সে কিছুই না। কল্পনার জাল বুনা প্রহর! আচ্ছা মেঘ, তুমি আর কবিতা লিখছ না কেনো!
১৭। তোমার লেখায় আগের মত মুগ্ধতা নেই। বাব্বা কি কককড়ে কথা তোমার মুখের যেনো চালভাজা। কই একটু স্যন্ডুইচের মত নরম মোলায়েম ভাষা হবে মুখের তা নয়!
১৮। চালভাজা কথায় যেনো আমি পিষে যাই চুপসে যাই! মুগ্ধতা হারিয়ে যায় কিন্তু মুগ্ধতা হারাতে আমি চাইনা মেঘ এইটুকুন নিয়েই ত বেঁচে আছি।
[img|http://i.imgur.com/Q4u1JnZ.jpg
১৯। বিদায় নিতে চাচ্ছ চিঠিময় ভুবন থেকে তাই না! কেনো চলে যাবে! আমি তো তোমাকে বিরক্ত করিনি, বা করতেও চাই না। আর চিঠি নিয়ে বিরক্তবোধ করোনা প্লিজ। এটি এড়িয়ে যাও। এদিক এস না আকাশেই ঝুলে থাক বৃষ্টির কাছাকাছি অথবা নীলের কাছাকাছি।
২০। মেঘ, লিখতে গিয়ে ঘুম পাচ্ছে, উঠে দেখো শহর ঘুমিয়ে আছে। শহরের গায়ে ভোরের কুয়াশা চাদর.. হালকা ঠান্ডা ভোরে আর কে উঠতে চায় আরাম ছেড়ে বিছানা থেকে। সবাই নিশ্চিন্তে ঘুমের। দেশে আর আমি জেগে চিঠি লিখছি।
২১। মেঘ, লিখতে থাকলে ত লিখতেই থাকি দি এন্ড দিতে মুঞ্চায় না তো। মনে হয় কত কথাই না বাকি রয়ে গেলো। তবুও সব কিছুরই শেষ আছে যদি তা শুরু হয়। ভাল থেকো হর হামেশা। সমাপ্তিতে-রোদ্দুর।
২২। মেঘ কেমন আছো? আলহামদুলিল্লাহ ভালই আছো আশা করছি। আজ থেকে তিনদিনের ছুটি আমাদের । ছুটি পেলেই ভাবি ফযরের নামায পড়ে খুব করে একটা ঘুম দিব। কিন্তু ঘুম দেয়া আর হয়ে উঠে না সেই ছুটির দিনেই ঘুম ভেঙ্গে যায় সকালে হাহাহা কি মজার না ব্যাপারটা হাহাহা । সেই কা কা কিচির মিচির ধ্বনিতে জেগেই উঠতে হয় । তখন কি হয় জানো শুধু আমি একা জেগে নীড়ের সকলেই বেঘোর ঘুমে । কি নিস্তব্ধ ঘরটি আমার.......সুনসান নিরবতা ভালই লাগে ।
২৩। ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি..... কি নিশ্চিন্ত ঘুম একেকজনের। আমার ইচ্ছা মেঘ তোমার ঘুমন্ত মুখ দেখব বলে কিন্তু তুমি তো ঘুমাও আকাশ সীমানায় । নীলের চাদরে শুভ্র মেঘের তুলোর বালিশে মগজ ঢুকিয়ে..... এত দূরে যে মন বাড়ালে কিংবা চোখ বাড়ালেও তোমার ঘুমন্ত মুখ দেখতে পাবো না তাই না ।
২৪। খুব ইচ্ছে ছিল ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে এক মিনিট নিরবে দেখে যাব আর পরখ করবো কতটা শান্তি নিয়ে আছো আকাশের বুকে মেঘ হয়ে। রোদ্দুরের আলোতে তোমার মুখটা মনে হয় উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বল ঝলমল করবে। আকাশের শূন্য হাওয়ায় তোমার কপালে এলোমেলো চুল দাপটে ঘুরে বেড়াবে আর তুমি কিনা তখন স্বপ্নে বিভোর।
২৫। কখনো হাসবে কখনো কাঁদবে স্বপ্নদেশে ডুব দিয়ে আর আমি সব কিছু মুগ্ধতাতে দেখে যাবো। আহা মনে শান্তি নিয়ে তোমায় নিয়ে কাব্য আঁকবো মনে মনে......
২৬। আকাশ নীড়ে ঘুমায় মেঘ যে
গায়ে দিয়ে মেঘের চাদর
শুভ্র মেঘের তুলোর বালিশ
আর নীল কাঁথা বুলায় আদর।
২৭। স্বপ্নে বিভোর মেঘের রাজা
এপাশ ওপাশ গড়াগড়ি
রোদ্দুর আলোয় মুখখানি তার
ঝলমল আলোর ছড়াছড়ি।
২৮। ঠোঁটে হাসি চক্ষু পিটপিট
ঠোঁটটি ভেঙ্গে আবার কান্না
হাসি কান্নায় স্বপ্নে বিভোর
স্বপ্নে ঝরে হিরে পান্না!
২৯। আচ্ছা,এই তুমি কি এখনো ঘুমাচ্ছ। তুমি খুব স্বার্থপর মেঘ। তোমার প্রয়োজনে আমার আকাশ জুড়ে ভেসে থাকার জন্য আস আবার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে আর আমাকে মনেই রাখনা। যেনো অবহেলায় রোদ্দুর মরে যাই সেটাই চাই। একবার ফিরেও তাকাও না। আমাকে অনুশোচনার সমুদ্দুরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে নিজে পথ ধরো আকাশ গন্তব্যে। দু দন্ড কথা বলার টাইমও নেই। আচ্ছা যাক গে এ যার যার বিবেচনা। রোদ্দুর এত সহজে হার মানে না, সে তার ইচ্ছে মতই জ্বলে নিভে।
আজ খুব রোদ্দুর বাইরে। তাকিয়ে দেখো দখিনের জানালা খুলে। তোমার জানালার শার্শিতে রোদ্দুর সেঁটে আছে। ছুঁয়ে দাও.... না না, ছুঁবে না, পুড়ে যাবে মেঘ তুমি গলে যাবে, না আমি এখন আর বৃষ্টি চাই না, খরাই চাই -আমি নিজে পুড়ব তোমাকেও পুড়াব। যাও যাও ঐ নীল আকাশটাতে ঝুলে থাক। তোমাকে শরতের মেঘের মাঝেই ভাসতে দেখতে চাই। আমি মুগ্ধতা চাই মেঘ। নীলের মাঝে সাদা মেঘ.. আহ কি শুভ্রতা।
৮০ এবার । ভাল থাকুন সবাই আকাশের শুভ্রতার মতই জীবন হোক পবিত্র সুন্দর।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১