(ছবিটি পেইন্টে আঁকা)
তুমি দু'হাত পেতে শুধু দীর্ঘশ্বাসগুলো ধরো
দেখো, কতটা আগুন জমিয়ে রেখেছিলাম
তোমার নরম হাত পুড়ে যাবে, সাবধান
খুব সন্তর্পণে রাখতে পারো বুক পকেটে!
বিরহে পুড়িয়ে মেরে কতটা শান্ত তুমি আহ্
উধাও হয়ে যায় মন আমার বৈরী হাওয়ায়
খুঁজতে এসো না আর আমায় তোমার মাঝে
পারি নে সইতে - বড্ড হাঁসফাঁস লাগছে
অবহেলার চাদর সরিয়ে নাও!
রোজ রোজ কৈফিয়তের
ডাকবাক্স হাতড়াতে পারব নে...
তৃষ্ণার অতলে ডুবে নিঃশ্বাস বন্ধ'র যোগাড়
আর তুমি থেকে যাও নির্বিকার!
বুকটা শূন্যতার হাহাকার
এতটা দূরে ছিটকে পড়ো, ছুঁতে পারি নে।
মনদেয়ালের কোণে কোণে তুমি মাকড়শা..
পিরপির করে হাঁটো.... আর আমি শিহরণে কাঁপি
সেই ফাঁকে তুমি মৌনতার জাল বুনে
ছুটে বেড়াও স্বাধীনতায়...
বিরহ হাওয়া এসে ঝরায় ধূলো...
আমি হয়ে যাই পুরান, সে তুমি বদলে যাও,
দূরে যাও, যাবার বেলা দিয়ে যাও দীর্ঘশ্বাস।
এসো এবার, জমানো দীর্ঘশ্বাস নাও হাতের মুঠোয়
এ ভার আর সইতে পারছি নে...
বলার, শুনার, দেখার তৃষ্ণায় আকণ্ঠ ডুবে আছি।
তৃষ্ণা মিঠাবে আমার, তুমি আমার হবে?
এই তুমি কি আমার শরত হবে?
শুভ্র মেঘের নরম পালক হবে?
কাশবনের সাঁই সাঁই হাওয়া হবে?
কিংবা হেমন্তের সকালের দূর্বাঘাসের উপর
ঝরে পড়া শিউলি হবে?
শীত সকালের রোদ্দুর হবে?
কিংবা বসন্ত রঙা শাড়ি হবে?
শাড়ীর ভাজে ভাজে সেঁটে রবে
শিমুল অশোক কিংবা কৃষ্ণচূড়া হয়ে?
নিঃশ্বাসে বেলির ঘ্রাণ হবে?
কিংবা বকুল হাসনাহেনা?
হয়ে যাওনা গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ?
পুড়িয়ে দাও আমায় গ্রীষ্মের রোদ্দুর প্রেম আগুনে!
বর্ষার ঝমঝমানি বৃষ্টি হয়ে এসো...
মিটিয়ে দাও আজন্ম বিরহ তৃষ্ণা...
ঋতু জুড়ে থাক আমার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে
ভালবাসায় প্রেমে, শুধু তুমি আমার হয়ে,
আমি ছুঁয়ে দিব তোমায়, তুমি গলে যাবে
লেপ্টে থাকবে এই তৃষ্ণার্থ বুকে!
আসবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৫