আশ্বিনের বৃষ্টি এই আসে এই যায়। যেনো এই মেঘ রোদ্দুরের খেলা। প্রায়ই খেকশিয়ালের বিয়ে হয় যদিও দাওয়াত পাই না কখনো। এমন দিনে বাইরে বের হলে যে স্নিগ্ধতা চোখে পড়ে তাতে ছবি না তুলে থাকা যায় না। একই প্লেস হোক আর একই ছবি বারবার হোক সে আমার তোলাই লাগে। মোট কথা আমার ভাল লাগে ছবি তুলতে তো আমি কি করবো। আর দেখার পালা আপনাদের ...... যে সবুজগুলো দেখতে পাচ্ছে সেগুলো আসলেই এমন সবুজই । বৃষ্টিতে ভিজে আরো স্নিগ্ধতা ফুটে উঠেছে। ভেজা পাতাগুলো ছুঁয়ে দেখতে কার না মন চাইবে। আমারও এমন লাগে তখন বৃষ্টির আঙ্গুলে নিয়ে নেই। এই তো জীবন সুন্দর জীবন । সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার কত উপকরণ মহান আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। শোকর আলহামদুলিল্লাহ। যদিও যন্ত্রের শহরে মানুষ সুন্দর খুঁজে না টাকা খুঁজে। সুন্দর দেখে না টাকা দেখে। কেউ তাকায় না হয়তো এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুন্দরে। তাই আমিই হাতে নিলাম এ বিশাল দায়িত্ব আপনাদেরকে দেখাবো বলে হাহাহাহা । ধুরু কিছু লেখার সময় মানুষ পাশে দাড়ায়ে থাকলে কিচ্ছু মনে থাকে নাকি। আহারে কত বিশাল একটা সুন্দর কাব্যিক কাব্যিক ভাব ছিল যে এই ফটো পোস্টে লিখব কিন্তু হলো না আর এতক্ষণ পাশে লোকজন দাড়িয়েছিল। সব গুলায়ে ফেলছি.......... আচ্ছা যাই হোক ফটো তো আর ভুলে যায়নি আমাকে।
১। এমন করেই তুমি আমাকে কাঁদাও। হৃদয়ে রক্তপাতা......সেখানে ঝরে এমনভাবেই অশ্রু হয়তো তুমিই দেখতে পাওনা। দেখো কেমন করে আমার হৃদয়ের ছবিটা তুলে এনেছি। এবার দেখো পরখ করে...... কতটা রক্ত ঝরে পড়ছে যেনো বৃষ্টির ফোঁটা চুয়ে চুয়ে।
২। তুমি যদি হবে সবুজ ,. তবে আমি হতাম তোমার শুভ্রতা-আর এভাবেই তোমার বুকে প্রেমের জলে সিক্ত করতাম আর তুমি স্নিগ্ধবেলায় আমাকেই জড়িয়ে ভালবাসতে।
৩। গোলাপ ফুটেনি তাকে কি! দেখো দেখো চেয়ে বৃষ্টি ফুটেছে। আচ্ছাতুমি কেনো বৃষ্টি ভালবাসনা। দেখোনা তাকিয়ে গোলাপের কুঁড়ি পাতা বৃষ্টির ফুলগুলো কতটা মুগ্ধতায় তাকিয়ে আছে তোমার পানে। এই আমাকে বৃষ্টির ফুল এনে দিবে আঁচলে তুলে?
৪। সবুজ পড়েছে আজ মুক্তোর গহনা। দেখো কেমন সেজেছে সে স্নিগ্ধতায় আর তুমি অন্তত: একটা কাঠগোলাপ দিতে পারতে খোপায় গুজে। ....... তুমি শুধু ব্যস্ততাকেই সখি বানালে-যাও না তাকে নিয়েই ঘর করো সুখের- সে তোমাখে ক্লান্তি দিবে আর আমি দিব তোমাকে অনন্ত সুখ-কি কিচু বুঝলে?
৫। আঙ্গুলটা ধরে রাখ এখনি গড়িয়ে পড়বে পাতার চোখে বৃষ্টি । আমার চোখের বৃষ্টি তুমিদেখবে না কিন্তু পাতার চোখের বৃষ্টি দেখে অন্তত আমাকে বুঝতে পারবে-নিরবে কত অশ্রু ঝরে যায় অগোচরে -কে তার রাখে খবর-তুমিও না
৬। সবুজে আর বৃষ্টির মাখামাখি দেখলে হিংসা হয় না তোমার-এভাবে আমাকে জড়াতে পারো না। শুধু তো ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিলে অষ্ট প্রহর। কোমায় আর কাটাবে কতকাল । তার চে চলো বৃষ্টিবিলাসে মাতি।
৭। টকটকে সবুজের বুকে যেমন বৃষ্টিরা বসে নিশ্চুপ। আমিও তোমার বুকে গুটিসুটি মেরে নিশ্চুপ বসে গুনব সুখের প্রহর। তুমি ঠেলে ফেলে দিয়োনা । যেমন পাতা আঁকড়ে ধরেছে বৃষ্টির ফোটা তুমিও আমায় ধরে রাখ না প্লিজ। ভালবাসায় হই মাখামাখি।
৮। আর কিছু চাইনে আমি শুধু..... বৃষ্টির মুক্তার এক জোড়া কানের দুলচাই আর নাকের নোলক-এইটুকুন দিতেও নারাজ তুমি। আর কিছু লাগবে না দিতে। যাও তুমি ঘুমাও!
৯। ধরো পাতা আমার চোখ-তুমি একটু আঙ্গুল ছুয়ায়ে দাও না দেখবে অঝোরে ঝরবে সুখের বৃষ্টি। তোমার বুক ভিজে যাবে খুশির বন্যায় । তুমি আমি ভাসব সুখের ভেলায়।
১০। তোমার চিরসবুজ ভালবাসার বুকে... এভাবে পড়ে থাকতে দাও, আজন্ম ভালবেসে তোমায় পাগল করে দিবো। হ্যাঁ হ্যাঁ আমি তোমার হেমায়েতপুরই হবো যেখানে তুমি থাকবে বন্দি হাহাহা
১১। বৃষ্টি এলেই ছুঁয়ে দেখি......কতটা স্নিগ্ধতা মাখানো বৃষ্টির ফোঁটায় সে যদি তুমি বুঝতে । আর তুমি শুধু ঘুম বিলাসেই মত্ত। কাঁথা গায়ে ঘুমপ্রহর শেষে উঠে বসলেই বৃষ্টি আর থাকে না। তার চেয়ে ঢের তুমি ঘুমিয়েই থাকো আর আমি করি বৃষ্টি বিলাস।
১২। তুমি যদি হও পাতা তবে আমি হবো তোমার বৃষ্টি
ভালবাসা চুয়ে চুয়ে পড়বে তোমার বুকে ঠিক এভাবেই। এমন ভালবাসা চাওনা বুঝি?
১৩্। টলটলে পানির মতই আমার প্রেমও স্বচ্ছ
তুমি কি আমার ভালবাসা হবে......
স্বচ্ছ প্রেমের জলে ভাসবে কি সুখে
১৪। ঝরে পড়া ফুলকাব্য আমি-তুমি এভাবে প্রেমের ছুরি বসিয়ো না
ভালবাসার শুভ্র রক্তে মাখামাখি......দেখো ফিরে কতটা মুগ্ধতার সময় গেলো
তুমি এভাবেই থেকো কিন্তু।
১৫। তোমার দখিনের জানালাটা খুলে দেখো অঝোরে ঝরছে তোমার জানালার শার্শিতে বসে আছি লেপ্টে বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে। একটু ছুঁবে নাকি
১৬। মানকচু বড্ড প্রিয় আমার...... তুমি বৃষ্টি এলেই আমার জন্য একটি মানকচু পাঠিয়ে দিয়ো খামে করে। আমি মাথায় দিয়ে অঝোর শ্রাবণে আসব তোমার দোরে....... গ্রহণ করো বৃষ্টির অতিথিকে
১৭। একদিন চোখ থেকে ঝরে পড়বো তোমার বুকে।
অশ্রগুলো পাতার বুকে সেঁটে দিয়ে আমি থাকব তোমার বুকে।
১৮। ভিজিয়ে দিবো-রাঙিয়ে দিবো মন তোমার-যদি বলো পাশে থাকব
আর আমি তোমাকে নিয়েই জলতরঙ্গ প্রেমের ছবি মনে আঁকব।
১৯। ঘাসের ডগায় স্নিগ্ধতার রেশ
এমন প্রহর আমার লাগে গো বেশ।
নগ্ন পায়ে হাটি চলো
মন হবে গো এলোমেলো।
২০। পুঁইয়ের বুকে বৃষ্টির দানা
এমন স্নিগ্ধতার বর্ণনা অজানা
মুগ্ধ আমি-তুমিও হবে
আশা রাখি পাশেই রবে।
২১। কচু পাতার পানির মতই মোদের জীবন
তবুও কত আশায় রঙিন করে গড়ি ভূবন।
২২। সবশেষে শাপলা-
বৃষ্টি ভেজা শাপলা প্রহর
শত হাজার গাড়ির বহর
(কষ্ট করে দেখার জন্য ধন্যবাদ)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭