ছবিটি আমাদের অফিসের ত্রিশ তলা ভবনের ত্রিশ তলার জানালা দিয়ে তোলা।
ক্যামেরা সনি সাইবার সট
©কাজী ফাতেমা ছবি
ইট পাথরের এই নাগরিক সভ্যতা ঢেকে দিয়েছে আমার আকাশ
এক টুকরো সবুজ মাঠ নেই যেখানে নিরবে দাঁড়িয়ে
দু:খ ঝেড়ে আসা যায়!
নিরবতা নেই,নেই কোনো নিথর মুহুর্ত
যেথায় পাথর বসে দু'ফোটা অশ্রু বিসর্জন দিতে পারি!
শুদ্ধ হাওয়ারা এই শহর ছেড়ে পালিয়েছে...
নি:শ্বাসে নিতে পারছি না আর এক চিমটি বিশুদ্ধ অক্সিজেন।
শহরের পথে পথে বিছানো কংক্রিট,
এক টুকরো ভেজানো মাটি নেই
যেখানে নুপূর নগ্ন পায়ে হেঁটে যেতে পারি
মিটাতে পারি মাটির ভেজা স্পর্শের স্বাদ।
এখানে কোকিল নেই,এখানে কাকেরা ভোরেই বসিয়ে দেয় সভা,
কা কা সুরের কর্কস সুর কানে এসে বিতৃষ্ণায় ভরে দেয়।
এই শহরের পথে দূর্বাঘাসের গালিচা ছড়ানো নেই
যার উপর পা ফেলে হেঁটে হেঁটে পার করতে পারি একটি স্নিগ্ধ ভোর।
মুখোশে ঢাকা মানুষ সব,উৎ পেতে বসে থাকে কখন কার সর্বনাশে...
রক্তবর্ণ চোখগুলো যেনো তীর তাক করা!!
আবাবিল পাখিদের মতই এখানে দেখি সাংবাদিক ঝাঁকে ঝাঁকে,
একই সুর শুনতে পাই টিভিতে,"আমাকে শুনতে পাচ্ছেন"!
এখানে তিল ঘটনা তাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে....
শেয়ারে শেয়ারে উঠে তুমুল ঝড়।
এই শহর এমন! যেখানে শিক্ষকদের কানে ধরে উঠানো বসানো হয়,
অনুকরণ প্রিয়'রা বেকুব বনে কানে ধরে ছবি আপলোডে ব্যস্ত থাকে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা
মডেল হয়ে দাঁড়িয়ে কানে ধরা ফটোজেনিক হয়ে...
সহর্মমিতা কুঁড়াতে হাপিত্যেশ করে।
এই শহর স্বপ্নের শহর হতে পারে না কারো,আমার তো নয়ই!!
এই শহর যান্ত্রিক শহর,
যার উপর টন টন ওজন ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে ইট পাথর কিংবা কংক্রিটে!
বড্ড হতাশায় আছি অথবা ভয়ে কখন যে
এই শহর তলিয়ে যাবে কালের অতল গহবরে
যেখানে পুনরায় সৃষ্টি হবে নতুন সভ্যতা,
যা দেখার জন্য,আমি, তুমি আমরা বেঁচে থাকব না!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৬