কেউ ব্যস্ত হলো হতে শামিল শবযাত্রায়
কেউ অপারগতায় ঘরে বসে কাতরায়
সুখে হাসে কেউ দু:খ সমুদ্দুরে সাঁতরায়
সুখে দুখে কেটে যায় ঠিক জীবনযাত্রায়।
এক দিকে রোদ হাসে অন্য দিকে মেঘ কালো
অন্ধকারে ডুবে কারো ধরা, কারো খেলে আলো
কারো মন্দে কাটে ক্ষণ কারো কাটে খুব ভালো
সাজানো গুছানো কারো ক্ষণ কারো আলুথালু।
দু:খ কারো দিকে ধেয়ে আসলে বুঝে সে কষ্ট
সুখে থাকলে বুঝে না সে দু:খের জ্বালা স্পষ্ট
সুখে থেকে থেকে কেউ হয়ে যায় পথভ্রষ্ট
সুখের অসুখে ভোগে ক্রমে হতে থাকে নষ্ট।
দু:খ যখন জীবনে এসে দিতে থাকে দোলা
সব ছেড়েছুড়ে হয় সেদিন সে পথভোলা
অনুসূচনায় তার মনে জ্বলে অগ্নি চুলা
যে বুঝে তার জন্যই তবে থাকে সুখ তোলা।
রঙ্গে ঢঙ্গে যে কাটায় জীবন অধিক সুখে
রোগে ভোগে বেলাশেষে কাটে জীবনটা দু:খে
সুনামি আসলে ধেয়ে সাধ্য কার তারে রুখে
বিধাতা জীবনে তার দেন দু:খমন্ত্র ফুঁকে।
সংযত জীবনে হয় সুখ কম দুখ্ কম
বাড়ে তাতে ধৈর্য্য ধীরে আর আত্মসংযম
বেশি পেতে হাপিত্যেশ করে ছেড়ে দিলে দম
পেয়ে আত্মহারা শেষে দেখো দোরে খারা যম।
মৃত্যুর দুয়ারে খারা, ধরার সুখে কি লাভ
অহম নিয়ে যে মনে, ছিলে ধরে ভাবসাব
অনন্তকাল থাকবে সুখে দেখেছিলে খা'ব
পরকালে সেই তুমি হবে জ্বলন্ত কাবাব্।