somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার পরিচয়

ফিরে দেখা

আমার পরিসংখ্যান

ছায়া দে
quote icon
বই পড়তে ভালবাসি।জীবনে অনেক কিছু খুব কাছ থেকে দেখেছি। লিখতে শুরু করেছি সেই দেখাকে ফিরে দেখার জন্য।
আমার সকল পোস্ট (ক্রমানুসারে)

সুখবর !

লিখেছেন ছায়া দে, ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

আমার প্রিয় পাঠকদের একটা সুখবর জানাই। এতদিন আমার যতগুলো পোস্ট এখানে প্রকাশিত হয়েছে সেগুলির প্রসঙ্গে আমার প্রিয় পাঠক পাঠিকারা জানতে চেয়েছেন তারপর কি হল? তাদের এই জিজ্ঞাসা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে । এই ব্লগে প্রকাশিত আমার পোস্ট গুলো আরও অপ্রকাশিত কিছু রচনা নিয়ে অবশেষে আমি একটা বই লিখে ফেললাম । কলকাতার... বাকিটুকু পড়ুন

৫ টি মন্তব্য      ১৪০ বার পঠিত     like!

মা ফিরে এলেন

লিখেছেন ছায়া দে, ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৩

মাকে নিয়ে আমি যখন বাসায় ঢুকলাম তখন বিকেল গড়িয়ে গেছে।বাবা কাকারা ফেরেনি ঠাকুমা পিসীমাকেও ধারে কাছে দেখলামনা। আমি মার হাত ধরে পা টিপেটিপে উপরে উঠে এলাম।রাতে বাবা যখন অফিস থেকে ফিরলেন তখন সবাই মুখ টিপে টিপে হাসতে লাগলো।বাবা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন সবাই হাসছে কেন রে? আমি বল্লাম মা এসেছেতো... বাকিটুকু পড়ুন

৫ টি মন্তব্য      ৩৩৬ বার পঠিত     like!

গল্প নয়, সত্যি

লিখেছেন ছায়া দে, ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

সেদিন বাড়িতে মা আর আমি শুধু বিনিদ্র রাত কাটালাম।মার চোখ ফোলা , চোখের কোল বেয়ে শুকনো জলের দাগ , মুখের কষ বেয়ে রক্ত শুকিয়ে আছে।আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল মা র জন্য।কিন্তু বরাবরের অন্তরমুখী আমি মনের দুঃখ মনেই চাপলাম ।



আগের থেকেই কথা ছিল মা কদিনের জন্য বাপের বাড়ী যাবেন। সেই... বাকিটুকু পড়ুন

৭ টি মন্তব্য      ৩৪৩ বার পঠিত     like!

কেন এতদিন লিখিনি

লিখেছেন ছায়া দে, ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৬

প্রায় দু বছর পর আবার আজ লিখতে বসেছি।

এই সময়ে আমার জীবনে অনেক কিছু ঘটে গেল ।যা আমার প্রাত্যহিক জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে ওলোট পালোট করে দিয়ে গেছে।এমনিতে আমি একটু রুগ্রন প্রকৃতির।সব সময়েই কোন না কোন অসুখে ভুগি।এজন্য আমার নিজেরই নিজের প্রতি রাগ হয়। কিন্তু আমার স্বামীকে কোন দিন... বাকিটুকু পড়ুন

৭ টি মন্তব্য      ১৮৭ বার পঠিত     like!

হাড় হিম করা সেই রাত

লিখেছেন ছায়া দে, ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৪

একদিন মামা এসে মা কে নিয়ে যেতে চাইলেন। বোধহয় দাদুর অসুখটা বেড়েছিল, কিম্বা দাদু মা কে দেখতে চাইছিলেন। ঠিক হল আজ নয় পরদিন ভোরে মামা আসবেন, এসে মা কে নিয়ে যাবেন। সেদিন রাতে আমাদের বাসায় যে ঘটনা ঘটল তা আমার স্মৃতিতে আজও টাটকা হয়ে আছে। চোখ বুঁজলে আজও সেই রাতটার... বাকিটুকু পড়ুন

১৪ টি মন্তব্য      ৫২২ বার পঠিত     ১২ like!

কোলে নেওয়ার সাধ

লিখেছেন ছায়া দে, ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৬

আমার মায়েরা দুই বোন। মাসীমার সাথেই বাবার প্রথম বিয়ে হয়, খুব ধূমধাম করে। কিন্তু দাদা হওয়ার সময় সূতিকা হয়ে মাসীমা মারা গেছিলেন। দাদা তখন আঁতুড়ে বাচ্চা। দাদাকে দেখার জন্যই বাবা রাজী হয়েছিলেন মাকে বিয়ে করতে।



১২ বছরের মার বিয়ে হয়েছিল লাল পাড় শাড়ি আর গাঁদার মালা গলায় দিয়ে। দাদু্ এই বিয়েতে... বাকিটুকু পড়ুন

১১ টি মন্তব্য      ১৪৩৬ বার পঠিত     ১০ like!

যৌথ পরিবারে বড় হওয়া

লিখেছেন ছায়া দে, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৬

দিদি অঙ্কে আর ভূগোলে বেশ ভালো নম্বর পেত ।কিন্তু আর সব বিষয়ে ফেল বা প্রায় ফেল।আমি সব বিষয়ে মোটামুটি পাশ করে যেতাম।মেজকাকাবাবুর ছেলে মধু বররাবরই পড়াশুনায় ভালো ও ফার্ষ্ট সেকেণ্ড হত।আমার পরের ভাই গোপী ছিল একদম ফাঁকিবাজ ।পড়াশুনা একদমই করতো না। যেদিন আমাদের স্কুলে রেজাল্ট বেরোতো মা আমাদের ফেরার সময়... বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ১০৯৭ বার পঠিত     like!

মামার বাড়ি, ছুটিতে

লিখেছেন ছায়া দে, ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১২

আমার মায়ের বাবা মানে দাদামশাই ছিলেন সাধাসিধে ভাল মানুষ। বাংলাদেশে নড়ালের জমিদারের নায়েব ছিলেন দাদু,নাম সতীশ চন্দ্র বসু। আমরা শ্যামবাজারের বাসা বাড়িতে থাকাকালীন ছুটিছাটায় ঝিনাইদহের বাড়িতে যেতাম।ওখানে মেজকাকাবাবু সপরিবারে থাকতেন তখনো। কিন্তু দাদুরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এলেন পাকাপাকিভাবে। প্রথমে নদিয়া জেলার কল্যাণীতে জমি দেখলেন,কিন্তু বনবাদাড় বলে পছন্দ হল না।... বাকিটুকু পড়ুন

১২ টি মন্তব্য      ৪৩২ বার পঠিত     like!

নেহেরু, শ্যামাপ্রসাদ, গান্ধী, এলিজাবেথ, বুলগানিন, ক্রুশ্চেভ ...

লিখেছেন ছায়া দে, ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

আমি শ্যামবাজারের সরস্বতী স্কুলে তখন ক্লাস থ্রি তে পড়ি। বয়স সাত কি আট। ফুরফুরে পাতলা চেহারা ছিল। প্রজাপতির মতন এখানে ওখানে ছুটে বেড়াতাম। রান্নাঘরের হঠাৎ দরকারে লাগা মশলাপাতি আনতে বা টুকটাক দোকান বাজার করতে আমারই ডাক পড়তো। আর আমি মনের আনন্দে হাসিমুখে দোকান করে দিতাম।



তখনকার শ্যামবাজারের সাথে এখনকার শ্যামবাজারের পার্থক্য... বাকিটুকু পড়ুন

১৩ টি মন্তব্য      ৮২৮ বার পঠিত     like!

উপোসের গল্প

লিখেছেন ছায়া দে, ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:০৭

ইতুর ব্রত সবাই করতো। তাই দেখে আমি আর দিদিও উপোস করতাম।ভালই লাগত।সারাদিন পড়াশুনা করতে হতনা ।বিকেলের দিকে ঠাকুমা পিসীমা দোলো রাঁধতেন। যারা উপোস করতো তাদের পাথরের থালায় ভর্তি করে দোলো দেওয়া হত।



দোলো হল পায়েস জাতীয় একধরনের খাবার।একটা বিশেষ পদ্ধতিতে শুদ্ধ ভাবে রান্না করা হত।লাগত ২১টা তুলসীপাতা,২১টা চা্‌ল, ২১টা দূর্বা ।আতপচাল... বাকিটুকু পড়ুন

৮ টি মন্তব্য      ৫৯৮ বার পঠিত     like!

আমার শেষ ভাইফোঁটা

লিখেছেন ছায়া দে, ১২ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০৭

আমাদের শ্যামবাজারের বাসা বাড়িটা আমার শৈশবের স্মৃতি নিয়ে আজও মাথা তুলে দঁড়িয়ে আছে । জানিনা কোনদিন হয়তো ওটা আধুনিক কোন বহুতল বাড়ি হয়ে যাবে।



কিন্তু আমার শৈশব ঐ বাসাবাড়িতেই ফেলে এসেছি । তাই তাকে বারেবারেই খুঁজতে যাই ওখানে। আমার ছোটভাই গৌর ছিল সত্যিই দুরন্ত। মাঝে মাঝেই... বাকিটুকু পড়ুন

১০ টি মন্তব্য      ৩৬৬ বার পঠিত     like!

আমাদের বাসাটা ছিল হাট

লিখেছেন ছায়া দে, ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩২

শ্যামবাজারের বাসাটা ছিল হাট। মাঝে মধ্যেই দেশের লোক এসে উঠত। কখনও বেড়াতে, কখনও প্রয়োজনে। যারা আসত, তারা বেশ কিছু দিন থেকে যেত। তাদের কিন্তু যত্ন আত্তির কোনো ত্রুটি হত না। মা হাসিমুখে সবার জন্য রান্না করতেন। সবার শেষে নিজে খেতেন। কোনোদিন ডাল ঝোল থাকত। কোনোদিন কিছুই থাকত না।... বাকিটুকু পড়ুন

৩ টি মন্তব্য      ৪৮৫ বার পঠিত     like!

ছোটকাকিমা

লিখেছেন ছায়া দে, ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৯

ছোটকাকিমা কে দেখতাম ঘুম থেকে উঠে পরিপাটি করে নিজেদের বিছানা পাততেন, হাত দিয়ে ফুলিয়ে ফুলিয়ে বালিশগুলো বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতেন । আমি খুব মন দিয়ে কাকিমার বিছানা পাতা দেখতাম। আমাদের বাড়িতে চা খাওয়ার চল ছিলনা কিন্তু ছোটককিমার ছিল চায়ের নেশা । কাকিমার বোধহয় খুব অসুবিধা হত। দু পয়সা... বাকিটুকু পড়ুন

৮ টি মন্তব্য      ৮৬৮৭ বার পঠিত     like!

পড়াশুনো, দাদার গার্জেনগিরি

লিখেছেন ছায়া দে, ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৩০

ইতিমধ্যে আমরা স্কুলে ভর্তি হয়েছি। দাদা বিদ্যাসাগর স্কুলে। আমি আর দিদি সরস্বতী স্কুলে , আমার দুভাই আর মেজকাকার দুই ছেলে ভর্তি হল টাউন স্কুলে।



আমরা সব জ্যাঠতুতো খুড়তুতো ভাই বোনেরা সুর করে সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্য্যন্ত পড়াশুনা করতাম। প্রথম ঘরটা ছিল বেশ বড় । ঐ ঘরেই আমরা ছোটবড়... বাকিটুকু পড়ুন

৩ টি মন্তব্য      ৪১৮ বার পঠিত     like!

ছোটকাকার বিয়ে

লিখেছেন ছায়া দে, ০৯ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৪৩

এইসময় ছোটকাকার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা শুরু হল। নানান জায়গায় ঠাকুমা পিসিমা দিদি আর আমি মেয়ে দেখতে যেতাম। কোন মেয়েই পছন্দ হচ্ছিল না। একবার টালিগঞ্জে আমরা একই দিনে দুটো মেয়ে দেখতে গেলাম। প্রথম যে মেয়েটাকে আমরা দেখতে গেলাম তাকে আমাদের কারোরই পছন্দ হল না। মেয়েটা যেমনি মোটা তেমনি কালো।



সেইদিনই... বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ৫২২ বার পঠিত     like!
আরো পোস্ট লোড করুন
ব্লগটি ২২৭৬২ বার দেখা হয়েছে

আমার পোস্টে সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার করা সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার প্রিয় পোস্ট

আমার পোস্ট আর্কাইভ