"দম্ভ আর মিথ্যে অহংকার – মানুষকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বানিয়ে ধ্বংস করে। মক্কার অন্যতম ক্ষমতাবান এক নেতার কবরের পাশে আজ গণ প্রক্ষালণ কক্ষ। ইতিহাস অবশ্যই ফিরে আসে। যারা ইতিহাস থেকে শেখে না, তারা হারিয়ে যায় দ্রুত।"
ব্লগার জাদিদ কিছুদিন আগে একটা পোস্ট করেছিলেন। সেটার শেষের অংশ তুলে দিলাম।
"শেখ হাসিনার প্রতি যে ক্ষোভ, রাগ, অসন্তোষ এবং ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকার জন্য তাঁর যে নানা কলাকৌশল, তার খেসারত দিতে হলো মৃত শেখ মুজিবকে। শেখ হাসিনা তো পালিয়ে বাঁচলেন; কিন্তু ধ্বংস করলেন তাঁর পিতা শেখ মুজিবকে। " ● মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক
"ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় দেড় হাজার ভাস্কর্য, রিলিফ ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলা হয়েছে। এসব ভাস্কর্য ও ম্যুরালের বেশির ভাগই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।"- প্রথম আলো।
ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ির আশে পাশে নিরাপত্তা বেষ্টিত। বাড়িটা পুড়িয়ে ফেলা হলেও পরবর্তী নিরাপত্তার কারণে 'জনতা' আর সেদিকে আগায়নি। জানি না তাদের অন্যকোন প্ল্যান আছে কিনা। হয়তো নিরাপত্তা উঠে গেলে আবার ঝাঁপিয়ে পড়বে । পরেরবার যদি আওয়ামীলীগ সরকারে না আসে তবে ৩২ নং বাড়িটা গণ প্রক্ষালণ কক্ষ হলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। শেখ হাসিনা জীবিত শেখ পরিবার এবং তাদের মোসাহেবরা গত ১৬ বছরে 'বঙ্গবন্ধু' কে ঠিক এই পর্যায়ে রেখে গেলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:৪৩