আচ্ছা নাস্তিকরা কেন পূজা/হিন্দুয়ানী কালচারের পক্ষে বলে ?
আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, আজকালকার কথিত নাস্তিকরা নিজেদের পুরোপুরি
নাস্তিক বলে দাবি করলেও তারা শুধুই ইসলাম ও ইসলামী কালচারের বিরুদ্ধে বলে। কিন্তু
পূজা বা হিন্দু কালচারের বিরুদ্ধে কিছু বলে না। বরং আরো পক্ষে বলে। কারণটা কি ???
আসলে এর পেছনে একটা ভাইটাল কারণ আছে। এ কারণটা বোঝার আগে আপনাদের একটা
ঘটনা শোনাবো। আসুন ঘটনাটা আগে শুনে নেই-
এক নমঃশুদ্র হিন্দু তার ধর্ম পরিবর্তন করেছে। কারণ তার ধর্ম তাকে সম্মান দেয় না। সে ধর্ম
পরিবর্তন করে হয়েছে খ্রিস্টান।
নমঃশুদ্র হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করার পর সবাই তাকে প্রশ্ন করলো:
“আচ্ছা, আপনি ধর্ম যখন পরিবর্তন করলেন, তখন ইসলাম কেন গ্রহণ করলেন না, কেন খ্রিস্টান
ধর্ম গ্রহণ করলেন ?”
তখন ঐ ব্যক্তি উত্তর দিলো-
“দেখুন, আমি জানি ইসলাম ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইসলাম ধর্মে মদ খাওয়া
নিষেধ, জুয়া খেলা নিষেধ, পতিতাগমন নিষেধ, নাচ-গান নিষেধ। হিন্দু ধর্মে থাকতে
আমার এ বদঅভ্যাসগুলো ছিলো। আমি যখন ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইলাম, তখন দেখলাম ইসলাম
ধর্মে এ বাজে কাজগুলো নিষিদ্ধ, তাই মুসলমান হলে আমাকে ঐ বাজে কাজগুলো বাদ
দিতে হবে, যা আমি পারবো না। কিন্তু খ্রিস্টান ধর্মে এ সমস্যা নেই। খ্রিষ্টান হলে মদ
খাওয়া, জুয়া খেলা, পতিতাগমণ করা, নাচ-গান করায় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, বরং
এগুলোতে আরো সাহায্য পাবো। আমি আরো ইচ্ছাখুশিমত সেগুলো করতে পারবো। তাই
আমি ইচ্ছে করেই মুসলমান না হয়ে খ্রিস্টান হয়েছি।”
উপরের গল্পের মত বর্তমান নাস্তিকদেরও হলো একই অবস্থা। তারা নিজেদের নাস্তিক
বলে দাবি করলে শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে বলে, কিন্তু পূজা কিংবা হিন্দুয়ানী কালচারের
বিরুদ্ধে বলে না। কেননা ইসলাম তাদের যাবতীয় অপকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু পূজা
বা হিন্দুয়ানী কালচার তাদের যাবতীয় অপকর্মের বাধা সৃষ্টি করা তো দূরের কথা, উল্টো
সকল যাবতীয় অপকর্ম ও অশ্লীলতার যোগান দেয়। এ জন্যই নাস্তিকরা ইসলাম ও মুসলমানদের
বিরুদ্ধে বললেও পূজা কিংবা হিন্দুয়ানী কালচারের বিরুদ্ধে বলে না, পক্ষে বলে।
এ জন্যই কথায় আছে- চোরে চোরে মাশতুতো ভাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩