আজকের দৈনিক যুগান্তর পত্রকার ১৩ নং পৃষ্ঠা জুড়ে প্রকাশিত হয়েছে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবির যৌক্তিকতা। পক্ষে বিপক্ষে কিছু দেশ বরেন্য ব্যক্তিবর্গের মতামতও প্রকাশিত হয়েছে। ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম স্যার বলেছেন "দাবি যৌক্তিক হলেও বয়স বৃদ্ধি কোন সমাধান নয়" উনার কথার সূত্র ধরেই বলতে চাই এটি যৌক্তিক দাবি হওয়া সত্তেও বয়স বৃদ্ধি যদি সমাধান না হয় এবং বয়সসীমা যদি রাখতেই হয় তাহলে প্রতিটা শিক্ষার্থী তার উচ্চশিক্ষা অর্জনে সার্টিফিকেট পাওয়ার দিন থেকে শুরু করে বয়সসীমা নির্ধারন করা হোক। আমরা জানি প্রতিটা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এপ্লাই করার সময় তার বয়স হিসাব করে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয় কিন্তু সেই শিক্ষার্থী তার সার্টিফিকেট পেয়েছে কবে সেটার কোন হিসাব নেওয়া হয়না। কেন এই অব্যবস্থাপনা? এর দ্বারা ওই শিক্ষার্থী দুই দিক থেকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে সেশনজটের কারনে তার পড়ালেখা শেষ করতে জীবনের অনেকটা সময় সে হারাচ্ছে অন্যদিকে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সে পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেনা। এর জন্য দায়ী কে? ওই শিক্ষার্থী কে কি এর জন্য দায়ী করতে পারবেন? কিন্তু দূর্ভাগ্য হলেও সত্য যে রাষ্ট্র প্রণোদিত শিক্ষা গ্রহণ করতে যেয়ে শিক্ষার্থীর জীবন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তবুও রাষ্ট্র তার দায়ভার গ্রহন তো দুরে থাক কর্ণপাতই করছে না। আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা দিন রাত কথার ফুলঝুরি ছড়াচ্ছেন কিন্তু এই বৈষম্যের বেপারে তাদের যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। আসলে এই দেশের বর্মান পরিস্থিতি হচ্ছে বহুল প্রচলিত সেই প্রবাদটির মতো "চাচা আপন প্রান বাচা"। যার যার সমস্যা তাকেই যেন সেটার সমাধান করতে হবে। সমাজ সভ্যতার রিতিই যেন কেউ মানতে নারাজ। স্যার কে সম্মানের সাথে বলতে চাই স্যার, আপনার বানী থেকে আমরা সমাধান চাই দায়সারা বক্তব্য নয়। এর দায় সরকার বা রাষ্ট্র স্বীকার করুক বা না করুক একটি বৃহৎ গোষ্ঠী শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেই ক্ষতি সর্বপরি আমাদের দেশের ক্ষতি। আসা করি আমাদের সেই সব তথা কথিত বুদ্ধিজীবিদের এবং সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
সমর্থক গোষ্ঠী এবং তাদের অবিভাবকদের ৩১ তারিখ বিকাল ৩ টায় শাহাবাগে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।