রাজাকারদের মেয়ে ও বউগুলোনরে গনিমতের মাল হিসেবে ঘোষণা দেয়ার দাবী- আসুন সবাই মিলে এই দাবীকে গণদাবীতে পরিণত করি- পোস্টে সমস্যাটা কোথায়? এখন এমন অবস্থা হইছে, রাজাকারগো লগে মুক্তিযোদ্ধারাও পছন্দ করতাছে না
কিন্তু গনিমতের মাল বিষয়ডা তো আমার মেন্টালিটির ব্যাপার না। এটি স্বয়ং মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর মেন্টালিটির পরিচায়ক। তিনিই সর্বপ্রথম কোনো ধর্মের ভিতর এই গনিমতের বিষয়টি আনেন। আচ্ছা, মুসলমানরা যখন অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে গনিমতের মাল প্রত্যয়টিকে ব্যবহার করেন, তখন কি অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে এটি শোভন দেখায়?
এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধে কি রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্, পাকিস্তানী হানাদাররা তাদের ঘরেরই মা-বোন তূল্য অপর মুসলমান নারীর সম্ভ্রম লুটে নেয় নি?
আমি তো বলেছি- মুক্তিযোদ্ধারা জিতে এইদেশ স্বাধীন করেছে। তারা তাদের মহান লক্ষ্যকে অর্জন করেছে। কিন্তু তারপর এই ইসলাম ধর্মেরই নিয়ম অনুযায়ী হারু পাটির যা কিছু সম্পদ - ঘর, বাড়ি থেকে শুরু করে তাদের ঘরের নারীদেরকেও গনিমতের মাল হিসেবে গ্রহণ করেছে।
তাহলে এখানে আমার মেন্টালিটি খারাপ হতে যাবে কেন?
মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই গনিমতের মাল হিসেবে রাজাকারদের ঘরের নারীকে পাবে- এই চিন্তা করে যুদ্ধে যায় নি। কিন্তু তাই বলে বিজেতা হিসেবে যদি গনিমতের মালগুলো পায় তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
রাজাকারদের ঘরের নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসেবে দাবী করায় আমাকে একজন লিখেছে- আমার কি ঘরে মা-বোন নাই? তাহলে ইতিহাসের স্বাক্ষ্য অনুযায়ী মুসলমানরা যখন যুদ্ধ জিতে অন্য নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসেবে গ্রহণ করতো, তাদের ঘরে মা-বোন ছিল না। মহানবীর ঘরে মা-বোন ছিল না?
নারীদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি- রাজাকার ঘরের মেয়েরা কেমন? তারা ভবিষ্যতে আরো রাজাকার জন্ম দেবে। তাছাড়া জামাতীদের নিয়ম হলো ওরা নিজেদের মধ্যেই আত্মীয়তা করে। ফলে ঐ মেয়েটি কোনোদিনই সেখানে মুক্তমনা হয়ে বেড়ে উঠতে পারবে না। তারচেয়ে যদি গনিমতের মাল হিসেবে কোনো মুক্তিযোদ্ধার ঘরে যায় তাহলে বরং ভালো থাকবে। বিশেষ করে ভবিষ্যতের রাজাকার উতপাদন তাহলে একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
আর অন্যায় বলছেন কেন? ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় গনিমতের মাল হারাম নয়, খারাপ নয়। এই আমরাই তা সময়ে গ্রহণ করেছি। এখন ধোয়া তুলসী হলে চলবে কেন যেখানে ঐসমস্ত মেয়েদের উপর আমাদের অধিকার রয়েছে!
বরং তাড়াতাড়ি তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা করা হোক।