মাইকেল মধুসূদন দত্ত যিনি ইংরেজিতে অনেক কবিতা সাহিত্য রচনা করেন কিন্তু তাহা ইংরেজরা মূল্য দিতে অনিহা প্রকাশ করে। কারন তারা তাদের সংস্কৃতি নিয়ে খুবই রক্ষনশীল। অন্য জাতি হিসাবে তাদের সংস্কৃতির উপর চর্চা হয়ত তারা এখনো মেনে নিতে চায় না বা পারে না।
তিনি তারপর বাঙলা ভাষায় কবিতা, সাহিত্য রচনা করেন, শুধু তাই নয় বাংলা ভাষার সনেটের প্রবর্তক ও তিনি।
বাঙালির হিন্দু সম্প্রদায়ও তখন তাকে সেভাবে মেনে নেয় নি, যা অনেক ইতিহাস। উনি বিয়েও করেছিলেন ইঙলিশ লেডিকে। যখন এই বাঙলায় পা রাখেন কপোতাক্ষ নদ পর্যন্তই উনার ঠাই ছিল, ওপারে আর যেতে পারেন নাই। ওখানে বসে বসে তিনি সনেট কবিতা লিখেছেন।
উনার অনেক দুঃখ ছিল তখন, আবার তিনি বিদেশে ফিরে যান। রাগ হন নাই অনেক দঃখ পেয়েই উনাকে ফিরে যেতে হয়েছিল।
কিন্তু উনার সৃষ্টিকে /প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করার মত ছিল না। যার প্রভাব যুগ যুগ ধরে মানুষ মনে রাখবে।
এখন হয়ত অনেকে অনেক সনেট লিখেন, ষঠকে ভাবের প্রদান ঘটান। তেমনি আমার এক শিক্ষক তিনি বললেন উনাকে (মাইকেল মধুসূদন দত্তকে) ফলো করে আমি ক্লাশ নাইন টেনে অনেক সনেট লিখিছি, অনেক ভাবদ্বয় ঘটিয়েছি।
আশ্চার্য মিলকরনও করেছি, যেমনটা ছিল ক খ খ ক / গ ঘ ঙ এরকমের। তিনি বললেন এক পর্যায়ে আমি সব ছিড়ে পেলেছি। বললাম কেন স্যার। অনেকটা এড়িয়ে গিয়ে বলল কোন কিছুর শুরুতে প্রতিভার মূল্য খুব কম লোকেই দেয়। আমি তাদের খপ্পরে পড়েছিলাম। সেই সময় অনেক দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু হতাশ হই নাই, এখন সেই দুঃখটা নাই কারন তখন হতে চেয়েছিলাম সাহিত্যিক বা কবি আজ হলাম সচিব। জীবন যুদ্ধে আপনি অনেকবার হারবেন, অনেকবার অনেকবার পড়ে যাবেন তাই বলে হতাশ হবেন না।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ যিনি জন্মের আগেই পিতৃহারা, ৬ বছর পর মাহারা। অন্তত আপনার কষ্টটা তো আর উনার চেয়ে বেশি না!