মনে আছে তোর?
ইচ্ছে দুপুর?
সেই যে সটান রাস্তাটা-
যার এপার-ওপার জীবন চলে-বেখেয়ালে।
তুই চিনিয়েছিলি রোদের ঢেউ
পথের বালাই, খেয়ালী বাঁক
আর আমি বলি, নদীর মতন;
না না তোরই মতন
তুই বললি, আমি কি আর ভাঙ্গতে জানি?
আমার জবাব; আমি তো তোর গড়ার পারে-
ইচ্ছে হলে ভাঙ্গতে পারিস,
ডুববো; সেতো তোরই জলে!
কমল না পাই কোমল পাব-এটুকু জানি।
তা না হলে পাওয়ার আশা জলাঞ্জলিই!
সে'ও তো তুইই। একই কথা।
তোর হাসিটা বিষাদ মাখা
বয়েই গেল!
ওদিকে নয়,
এদিক আমি।
তোকে না পাই তোর ছায়াকে ধারণ করি
দেখনা তুই, কেমন করে ভেঙ্গে পড়িস!
জানিতো তুই তাকাবিনা,
চোখে যাকে ধারণ করিস-
তাকে কি আর দেখতে আছে!
তুই তো বেজায় পাগল আছিস!
তোর ঠোঁটে হাসির রেখায় অশ্রুবিন্দু-
পারিসনি তো?
দেখনা কেমন ধরা পড়িস!
বলছিলি তুই;
ঝড়ের জলে ভিজব জানি,
তার দুহাতে ভরিয়ে দেব মেঘের জোয়ার
সেই নদীটা দুপুর নদী
যার দু'পারের কেউ ভাঙ্গেনা-
নিজেই ভেঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
জড়িয়ে পড়ে-ঠিক যেমন আমার ছায়া;
তোরই গায়ে! ভিজবি তুই?
পথ না ফেরে-ফিরবনা আর।
তাও না পারি,
পথের পিঠে সওয়ার হব।
যাবি না তুই?
আর আমি বলি,
জলাঞ্জলি হবার আশায় ঝাঁপ দিলাম এই অথই জলে
জল নিজেই শেষে পথ হয়ে যায়-
আমার সাথেই সে পথ চলে।
ছবি সূত্রঃ আন্তঃর্জাল
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২৭