হিন্দু ধর্মে বিবাহ বিষয়টিকে ধর্মের অংশ বলে গন্য করা হয়। বিবাহের পবিত্রতা রক্ষা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই পবিত্র কর্তব্য বলে মনে করেন। বিবাহ যেখানে ধর্মীয় অংশ সেখানে এটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা মোটেই শুভ ফল বয়ে আনবে না।তাই এটি বাধ্যতা মূলক না হয়ে ঐচ্ছিক রাখাই যুক্তি যুক্ত। আইন হলেই বিবাহের পবিত্রতা নষ্ট হবে। নিবন্ধন বাধ্যতা মূলক করা হলে এটি ধর্মীয় গুরুত্ব হারাবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা রাখা যেতে পারে। যেমন স্বামীর অবর্তমানে, স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর একটি অধিকার আইন দ্বারা স্বীকৃত হতে পারে। তবে আমি বিবাহকে আইনের ঘোরপ্যাঁচে বন্ধী করার বিপক্ষে। আইনেই যদি বিবাহ বিচ্ছেদের সুযোগ করে দেয় হিন্দুরা ধমীয় বিধান ও নৈতিকতা থেকে দুরে সরে যাবে।এটি সুদীর্ঘ কাল থেকে চলে আসা সামাজিক শৃংখলার মূলে আঘাত হানবে। বেশি বেশি লোক সামান্য কারনে বিবাহ বিচ্ছেদের দিকেই ঝুঁকে পড়বে। এতে সামাজিক ভিত্তি নষ্ট হবে।সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে।
অনেকেই যুক্তি দেখান যে, কেউ যদি ভুল জীবন সংঙ্গী বেছে নেয় সে ক্ষেত্রে নিবন্ধন না থাকায় বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইনী লড়াই করতে পারে না। কিন্তু আমি এমন একটি ঘটনার কথা জানি যেখানে সামাজিক ভাবে বিচ্ছেদ ঘটান হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুএকটি বিচ্ছিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতেই পারে। আর অভিভাবক যদি তেমন আশংকা করে থাকেন সে ক্ষেত্রে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ নিবন্ধন করে রাখতে পারেন। প্রশ্ন উঠতে পারে যদি কোন পক্ষের অভিভাবকগণ যদি রাজি না হয়, তাহলে কী ব্যবস্থা নেয়া যাবে? সে ক্ষেত্রে বিবাহটি হওয়াই কাম্য নহে। কারণ বিবাহের মাধ্যমে দুটি পরিবার ধর্মীয় ও আত্বীক বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদি বিবাহের আগেই দুপরিবারের মধ্যে একটি বিষয়ে সমযোতা না হয় তবেতো ভবিষ্যতে তা আরো সমস্যা সৃষ্টি করবে।
তাই হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতা মূলক না করে প্রস্তাবিত ঐচ্ছিক রাখা হোক। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিবাহ নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু তা কখনো সার্বজনিন পর্যায়ে নহে।প্রস্তাবিত বিবাহ নিবন্ধন আইনে কী আছে আমি জানিনা। তবে তাতে স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রীদের স্বামীর সম্পত্তিতে যাতে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় তার আইনগত স্বকৃতির জোর দাবী করছি।