somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মসিউর রহমান বনাম স্বপ্নের পদ্মা সেতু

০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা দেশপ্রেমিক (প্রধানমন্ত্রীর আগেই আমি বললাম) মসিউর রহমান আবার কাজে যোগ দিলেন। আবার হয়তো বেঁকে বসবে বিশ্ব ব্যাংক।কারন বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলের পর এ প্রকল্পে ফিরে আসার ক্ষেত্রে তাদের চার শর্তের প্রথমটি ছিল, যেসব সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ছুটিতে পাঠাতে হবে।
কী এমন অপরিহার্য মশিউর রহমান যে, এর কোন বিকল্প সরকার খুঁজে পাচ্ছেননা। তাকে কী অন্য কোন দায়িত্ব দেয়া যেতো না। না হয় তাকে ওএসডি উপদেষ্টা করেই রাখা যেতো। ওএসডি মন্ত্রীর পর(কোন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব না দিয়ে সুরজ্জিত সেন গুপ্তকে তো ওএসডি মন্ত্রী করে রাখা হয়েছিল) না হয় তিনি হতেন ওএসডি উপদেষ্টা। (অবশ্য ছুটিতে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর উপদেষ্টা মসিউর রহমানকে দেখা যায়)। এতে সরকারের দুকুল রক্ষা হতো। তা না করে তদন্ত কাজ চলা কালেই তিনি কিনা স্বপদে যোগ দিলেন।
যে আশা এতদিন আমরা সাধারণ জনগণ বুক বেঁধে ছিলাম এ সরকারই পদ্মা সেতুর নিমার্ণ কাজ শুরু করে যেতে পারবে এবং বিশ্বব্যাংকের সাথেও একটি সম্মান জনক সমযোতায় পৌঁছতে পারবে, তা কী আবার সূদুর পরাহত? বিশ্বব্যাংকের শর্ত বঙ্গ হওয়ায় বিশ্বব্যাংক যদি আবার বেঁকে বসে তাহলে কী সত্যিই নিজেদের টাকায় সরকার পদ্মা সেতু নির্মান করতে পারবে। অবশ্য এটি অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে আমরা কোন অপমান জনক চুক্তির মাধ্যমে কোন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের কাছ হতে সহযোগিতা নেয়া হোক তা চাইনা। তবে সরকার যতই বলুক না কেন? পদ্মা সেতু প্রকল্পে উপস্থাপিত দুর্নীতির তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এমন অবস্থায় সরকার কঠোর অবস্থানে যেতে পারে না। এক মাত্র যদি প্রমাণিত হয় যে সত্যিই কোন দুর্নীতি হয়নি তাহলে বিশ্বব্যাংকের এই অপমান জনক অভিযোগের জন্য বাংলাদেশ ক্ষতি পূরণ চাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বার বার বলছেন নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করার। এখন সরকারের যে অবস্থা জনগণ কী সত্যিই সরকারের উপর বিশ্বাস রেখে সরকারকে আর্থিক সাহায্য করবে? যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের নিরপরাধ প্রমানিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ জনগণ কখনো স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে সরকারের নিজেদের অর্থে সেতু করার উদ্যোগকে মেনে নিবেনা। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী যদি সে চেষ্টা করেনও ছাত্রলীগকে কী তিনি সত্যি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন?
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টোকাইদের রফিকুন নবীর ক্যানভাসেই মানায়, শিল্প-সাহিত্য সৃষ্টিতে কিংবা রাষ্ট্রক্ষমতায় নয়

লিখেছেন মিশু মিলন, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:১১

সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, সংগীতকে আমি দেখি সিরিয়াস ধরনের কাজ হিসেবে। কারণ, এসব শিল্প মানুষের মানসপটে খুব প্রভাব ফেলে, একটা সমাজের চরিত্র গঠনে প্রভাব ফেলে। ফলে এসব শিল্পের সঙ্গে তাদেরই যুক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণচোখ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮


(ষড়ঋপু সিরিজের তৃতীয় কাহিনি — লোভ)

⸻ সতর্কীকরণ: ছায়া পড়লে আলোও কাঁপে ⸻

এই কাহিনি কেবল একটি গল্প নয়। এটি এক মানসিক প্রতিচ্ছবি, যেখানে লুকিয়ে আছে মানব আত্মার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব লুটপাটের শেষ কোথায়!

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

আধা লিটারের পানির বোতল দোকানদার কেনে সর্বোচ্চ ১২.৫০ টাকায় আর ভোক্তার কাছে বিক্রি করে ২০ টাকা। এগুলো কি ডাকাতি না?

গোপন সূত্রে যতটুকু জানা যায়,
প্রাণ ৮.৫ টাকা কেনা
ফ্রেশ ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।



আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা
March for Gaza | ঢাকা | ২০২৫

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আল্লাহর নামে শুরু করছি
যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী,
যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা—যারা জুলুমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×