১.
বেদনার খাদ্য
বিষাদ আব্দুল্লাহ
বন্ধু,
বিষাদপল্লীতে বেড়াতে এসো
দ্যাখবে;
এ-ক প্রেমিক তরুণের দুমড়ে মুচড়ানো বুকে বেদনার পোকারা উল্লাসে মেতে আছে-
ভয় নেই, শুধু ছোঁয়না
ওকে মরতে দাও... !
হাতিরঝিল, রাতে, ১২.১০.১৪, ঢাকা।
২.
প্রস্থান / বিষাদ আব্দুল্লাহ
অন্তরীক্ষের সবচে উৎকৃষ্ট হরিৎ তরুণীফুল
তোমাকে বলছি,
হয়তো-
আমি আক্ষেপ নিয়ে মরে যাবো..
ঢাকা। ২৮.০৯.১৪
৩.
আছো অথবা নেই / বিষাদ আব্দুল্লাহ
তুমি আমার সারা শরীর, মাঝে মাঝে-
রোমকোষ জাগানিয়া, সারা শরীরে বাতাসের হামাগুড়ি খেলো
অতঃপর
রাতের শেষে গতানুগতিক নিঃসঙ্গতার ঝুলি নিয়ে ফের একা...
বিগত দিনগুলিতে যেমন
এ-কা...
এ-কা-ই হেঁটে চলছি... !
ঢাকা, ২৪.০৯.১৪
৪.
অতঃপর বিধবা / বিষাদ আব্দুল্লাহ
কর্পোরেট থাবা আমাকে বিধবা বানিয়ে রেখেছে
কিন্তু আমি তা নই
সকালের সূর্যের কিরণ তোমার ঘাম নিয়ে আসে
রাতের শেষে কেউ তোমার রক্ত শুষে নিয়েছে
তুমি লাশ হয়ে শুয়ে পড়ো
আমার পাশে
আমার শরীরের গন্ধভাসে তোমার চারপাশ
অথচ তুমি জ্যান্ত নও
৫.
শহরে কোনো চাঁদ নেই / বিষাদ আব্দুল্লাহ
শহরের দালানগুলো সামরিক কায়দায় চাঁদটাকে ঘিরে রাখলো
আমার কিচ্ছু করার নাই !
পৃথিবী তার নতুন-নতুন প্রভুদের দাসত্ব স্বীকার করে নিলো
তুমি তুলনারহিত উপমাহীন, প্রিয়তমা...
আমার কিচ্ছু করার নাই !
৬.
কারো দুটি হাত/ বিষাদ আব্দুল্লাহ
কৃষ্ণচূড়া ডালের ফাঁকে জোস্নার আলো গলে গলে পড়ছে
মষুল ধারে জোস্নার বৃষ্টিতে ভিজবো
কারো দুটি হাত ধরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে কবি'র হাত
যে কবি আজো খুঁজে পাইনি তোমাকে
৭.
প্রাণমূর্তি
বিষাদ আব্দুল্লাহ
অবশেষে দেখলাম,একা নই
ভিতরে আন্দোলিত হতে হতে প্রণয়ের নুড়িপাথর জমিয়ে গেলো, দৃষ্টির লুকোচুরিতে
অধুনায়, একটি প্রাণমূর্তির সঙ্গ নিচ্ছি
৮.
এ-ক দি-ন/বিষাদ আব্দুল্লাহ
শুণ্যে মিলিয়ে যাচ্ছে আশার বেসাতি।আবেগের সবুজ ডালে এক তৃষ্ণার্ত কাক কা-কা-কা করছে...
বসন্তের বায়ুবৃষ্টি তার শরীরে ভিজিয়ে দিচ্ছে...
সান্ত্বনায় বুঝি তৃষ্ণা মিটে!!
নগরের তাপিত জীবনে স্বপ্ন পুড়ছে আমার
বেঁচে থাকার অর্থ নিছক তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়
জীবন কেউ পুড়াচ্ছে, কেউ পুড়ছে
ভিখেরীর মতো দুটি হাত এখনো ভিক্ষা চায় প্রিয়জনের কাছে।
দ্যাখো, ভিখেরি হাত গুটিয়ে নিয়ে আমিও এ-ক দি-ন...