১.
নৌকার সঙ্গিনী জল
আমার সঙ্গিনী কে বল !
২.
হয়তো একদিন এই অন্দর শহরে একটি কোকিল ডাকবে !
আমি আর -
সাড়া
দিব না...!!
৩.
মানসিক পাথরে চাপা পড়ে গলে যাচ্ছে দেহ
মেঘাবৃত দিন
লাশের গন্ধমোড়ানো সন্ধ্যা...
সময়,
আমার লাশ
আমাকে দেখাচ্ছে ...
৪.
মনের ফুলটি বার বার দেখছিলো পাশের সিটের যুবকটি মুঠোফোনের পর্দায়। তো আমার চোখ কি দেখছিলো !!
আমার মন কি খুঁজছিলো..!!
অন্যদিকে এক ফর্সা কিশোরী গালে হাত দিয়ে রাজপথের সোডিয়াম আলোয়ে জোসনা ভেজা রাত দেখছিলো...
সে কাকে খুঁজছিলো !!
৫.
সুপ্তের খোলস ভেঙ্গে ব্যাপ্তেরো সীমানা ডিঙ্গিয়ে...
আমাদের স্বপ্নগুলো ম্যারাথন দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে
যেখানে রোজ বসন্ত আসে, যেখানে কালজুড়ে বসন্ত থাকে,
আমাদের কাল শুধুই বসন্তকাল হবে...
৬.
বসন্তবরণ
বিষাদ আব্দুল্লাহ
বসন্ত কি এসেছিলো !!
দিন আর রাত ভরে ওঠে ভারি নিশ্বাসের হাওয়ায়
মৃত দিন আর ঘোংরানো রাত...
কেউ আসেনি তবে কার প্রস্তানের আওয়াজ টের পাই
যেনো আত্মা বের হয়ে লাফালাফি করে প্রতিদিন দিনযাপনের চিলেকোঠায়...
৭.
উৎস্বর্গঃ প্রিয় বন্ধু রাজেল
ছোট ছোট পায়ের হামাগুড়িতে
নিজস্ব চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে ভূমন্ডলের অলিতে গলিতে হাঁটতে হাঁটতে
কিছু দুঃখ কুড়িয়েছো হয়তো
সুখপাখিদের কলরব তোমার মনপাড়াতে বসন্ত উৎসব
হয়তো ক্ষণস্থায়ী, বন্ধু পাড়া,
বিদ্যাপীঠে হৈ-উল্লাসে হরেক স্বপ্ন তোমার আংগিনায় রোজ কথা বলে, কবিতা শোনায়-
জীবনের গল্প বলে
প্রত্যহ তাই নিয়ে ভাবতে ভাবতে বয়সের রেখাপাত চিহ্ন করে
অশ্বগতিতে ধাবমান অন্তরীক্ষে তুমি
জীবন কি বহু...দূর... তাই না...
যাপিত দিন পুড়িয়ে
কংক্রিট বন্ধুর পথ মাড়িয়ে
দুঃস্বপ্নের নীড়ে বহ্নিশিখা জ্বালিয়ে
ধূম্রজাল ছিঁড়ে
ক্লান্তিহীন স্বপ্নবাজ তুমি ছুটছো
নিশ্চিত, ছুটতে ছুটতে এক-দিন
স্বপ্নীল জীবন তোমার হাতে চিমটি কাটবে
বৌয়ের আদৃত ঠোঁট দুটি যেমন কাঁপবে
প্রতিটি দিন গড়ে উঠবে আপনালোয়ে...
সত্য ও ন্যায়ের বল্লম সঙ্গে রেখো শুধু...
প্রিয় বন্ধু রাজেল, তোর জন্মদিনে, আমার উপহার...
৮.
আমার ঠোঁট হাসছে তোমার সারা শরীরে
তুমি কাঁপছো আমার সমস্ত অঙ্গে
দূর থেকে
নারীহীন এক কবি লোভী দৃষ্টিতে...
নিরুপায় হয়ে অতঃ পর কাঁদছে...