বাংলাদেশে এক সময় চরমপন্থী দলগুলো তাদের শ্রেণী শত্রুদের জবাই করে হত্যা করতো। এখন একইভাবে মানুষজনকে জবাই করে হত্যা করছে একদল মোল্লা-মৌলভী সন্ত্রাসীরা!
বাংলাদেশে বিচার বিভাগের মাধ্যমে নয়। ক্রসফায়ারের মাধ্যমে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের সমূলে উৎপাটন করা হয়েছে। এখন যারা ইসলাম ধর্মের নামে মানুষ জবাই করছে তাদের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ার সহজ অথবা সম্ভব নয়। কারণ এতে শুধু মোল্লা-মৌলভী না এখন যারা এসব ঘটনা নিয়ে উফ-আহ করছেন তাদের অনেকেও খেপে যাবেন। খালেদা জিয়াও ঘি ঢালবেন!
বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর ধর্মভীরু সদস্য যারা অবলীলায় ক্রসফায়ার করেন, মোল্লা সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ার করতে তাদেরও হাত কাঁপবে অথবা তাদেরও মনের মণিকোঠায় বেহেস্তে যাওয়া নিয়ে দুর্ভাবনা তৈরি হবে!
আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি হচ্ছে এই যে এভাবে ধর্মের নামে মানুষ জবাই হচ্ছে এ নিয়ে বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতারা নীরব! এর মানে তাদেরও অনেকের এ নিয়ে সায় আছে। আর জামায়াত-হেফাজত অথবা এসব ধর্মীয় সন্ত্রাসী এদের সবার লক্ষ্যেই এক। হাজার বছরের এই অসাম্প্রদায়িক দেশটাকে তারা ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে চায়।
ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের মানুষ জবাই বন্ধ আরেক কারণে কঠিন! এরা এর ট্রেনিং পায় প্রতি বছরের কুরবানির ঈদে! পাড়া মহল্লায় এদের দিয়েই রাস্তাঘাটে সবার সামনে পশু জবাই দেয়ানো হয়! কুরবানির পশু জবাই একইভাবে এই তল্লাটে আগেও হয়েছে। কিন্তু ধর্মের নামে মানুষ মানুষকে জবাই করতে পারে এমন আগে মানুষের কল্পনার অতীত ছিলো!
ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের বিনাশ করতে পাকিস্তানের লাল মসজিদে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল। বাংলাদেশে এটাও সহজ না। এক মতিঝিল হেফাজতের তান্ডব মুক্ত করতে গিয়ে আড়াই হাজার লাশ (!), ট্রাক ভর্তি লাশের (!) মিথ্যা গল্প সামাল দিতে কতোকিছুই না করতে হয়েছে মনে পড়ে?
অতএব যে যতোজনের ব্যর্থতা অথবা ব্ক্তব্য নিয়ে হাসি তামাশা করুন না কেনো দুঃখিনী বাংলাদেশে কিন্তু মানুষ মাঠে না নামা পর্যন্ত এভাবে ধর্মের নামে মানুষ জবাই থামবে না।