অতএবঃ এখন আমি কবিতার সমাধিভূমিতে দাঁড়িয়ে
একটি সারাংশ টানতে পারি।
যেসব নির্বোধ পূর্বপুরুষ
কবিতায় শিল্পোত্তীর্ণ হতে চেয়ে
আমাকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল
তাদের সে অধিকারে সমাপ্তিরেখা দিতে পারি।
সত্ত্বার গভীরে শারীরিক অস্তিত্ব রেখে
কবিতার সূর্যোদয়ে পূণ্যবান
হতে চেয়েছিল যেসব মাতৃত্ব--------
কি অদ্ভূত!
সভ্যতার আদিমতায়
সেসব পঙ্কিলতায়, পরকীয়ায় আর অন্ধকারে নিমজ্জিত।
কবিতায় যুবতীঘ্রাণ পেয়েছিল যেসব যুগল
হৃৎপিন্ডের ভিতর, যাদের দুঃখজয়ের অভিসন্ধিগুলো
জেগে উঠেছিল তীব্র আকুতি নিয়ে--------
কি অপ্রত্যাশিত!
যুবকের অধঃপাতে, ভ্রুণ হত্যার দােষে
নাবালিকার করুণ কাহিনীতে কুমারিত্ব হেসে উঠেছিল।
প্রকৃতপক্ষেঃ কবি এখানেই দায়বদ্ধ,
কবিকেই জানতে হয় অন্তরীক্ষের কথা
কবিকেই অস্তিত্বময় হতে হয় প্রেম, মৃত্যু আর ঈশ্বরে
সব বিমূর্ততা ছেড়ে কবিকেই দিতে হয় মৃত্যুর মুখে নতুন ভাষা।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৯