ইরান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ।
লোকসংখ্যার ৯৬ ভাগ
মুসলমান ।
আমেরিকার চোখে চোখ
কথা বলার মতো দুঃসাহস
দেখিয়েছে এই দেশটি ।
আগামী ১২ জুন থেকে
শুরু হওয়া বিশ্বকাপ
ফুটবলের ২০ তম
আসর
"দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ",
খেলবে ইরান ।
এই পোস্টটি বেশি
বড় করবোনা ।
শুধু ইরান নামক
দেশটির সততা তুলে
ধরবো ।
আমরা সবাই জানি,
খেলা শেষে খেলোয়াররা
প্রায়ই জার্সি অদল-বদল
করে ।
প্রিয় খেলোয়ারের
জার্সি নিতে
অনেকেই নিজের
জার্সি দেয় ।
কিন্তু ইরানের জন্য
জার্সি বদল সম্পূর্ণরূপে
নিষিদ্ধ ! করেছে
সে দেশের সরকার ও
ফুটবল কর্তৃপক্ষ ।
আশ্চর্য হচ্ছেন ?
আশ্চর্য তো আমিও
হয়েছিলাম ।
তবে একটু থেমে
আশ্চর্য হন ।
সবচেয়ে বিস্ময়কর
কথাটা তো এখনো
বলিনি ।
বিশ্বকাপে সব দল
যেখানে প্রতি ম্যাচে
নতুন জার্সি
পরবে সেখানে
ইরান মাত্র একটি !
জার্সি দিয়েই
বিশ্বকাপ খেলবে !
সে দেশের সরকার
জানিয়েছে,
"অর্থনৈতিক সংকট
নিরসনে ইরানের
খেলোয়ারদের জন্য
বিলাসিতা কম রাখা হয়েছে ।"
এতে অবশ্য ইরানের
খেলোয়াররা অখুশি নয় ।
এবার আসি আমাদের
দেশের কথায় ।
গত টি-টুয়েন্টি
বিশ্বকাপের
বাংলাদেশের জার্সি
নিশ্চয়ই দেখেছেন ।
অত্যন্ত সুন্দর
ডিজাইন ও উন্নত
মানের কাপড়
দিয়ে তৈরী ঐ জার্সি
তৈরীতে খরচ হয়েছে
বিপুর অর্থ ।
তাছাড়া যতো দূর
জানি বাংলাদেশ ক্রিকেট
টিমের সবাই অতি
উচ্চমানের খাবার খায় ।
এতোসব খরচ নিশ্চয়ই
আমাদের দেশের
অর্থনীতি বহন করে ?
এখন প্রশ্ন হল-
ইরানের মতো একটি
দেশ যেখানে অর্থনৈতিক
সংকট নিরসনে
খেলোয়ারদের সুযোগ
কমিয়ে দেয় সেখানে
বাংলাদেশ কীভাবে
বিলাসীতায় মেতে থাকে ?
ধিক্কার এইসব
বাঙালীদের জন্য ।
বলেছিলাম পোস্ট বড়
করবোনা ।
তাই করবো ।
এই ঘটনা মূল্যায়ণ
করবেন আপনারা ।
আপনারাই বলবেন-
কেন আজো আমরা
শক্তিশালী অর্থনৈতিক
ভিত্তি গড়ে তুলতে পারিনি ?
আপনি বের করবেন-
কেন মুক্তিযুদ্ধারা আজো
ক্ষুদার্ত পেটে ভিক্ষা করে ?
ধিক্কার এ দেশ
পরিচালনাকারীদের প্রতি।
মাঝে মাঝে এই ভেবে
কষ্ট পাই যে-
আমি যে দেশ,সমাজে
থাকি সেখানে কিছু
জারজ পশুতুল্য সন্তানের
জন্ম হয়েছে ।
নিজেকে তখন বাঙালী
ভাবতে খুব কষ্ট পাই ।
লজ্জিত হই বাঙালী
ভাবতে নিজেকে ।
তবে আশার কথা হল-
এইসব পশুদের ঠিক
পথে আনতে একদিন
বাংলাদেশ জাগবে,
জাগতে যে হবেই ।।